অ ব লো ক ন
মার্কিন-সৌদি চুক্তি বিভ্রম ও বাস্তবতা
॥ মা সু ম খ লি লী ॥
সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রথম বিস্তারিত প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রকাশ করে। এরপর গার্ডিয়ান, রয়টার্সসহ অন্যান্য গণমাধ্যম এ নিয়ে খবর ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে। মধ্যপ্রাচ্য সফরকারী আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও সৌদি পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী ফয়সল বিন ফারহান দুই দেশ এ ধরনের একটি চুক্তির কাছাকাছি বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ চুক্তি স্বাক্ষরের অনেক তাৎপর্যপূর্ণ দিকের একটি হলো এর সাথে তৃতীয় দেশ হিসেবে ইসরাইলের সম্পৃক্ততা। শেষ পর্যন্ত তিন দেশের সমন্বয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তি সম্পন্ন হলে মধ্যপ্রাচ্যে এর বিরাট প্রভাব থাকতে পারে।
চুক্তির ইসরাইল কানেকশন
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের রূপান্তরমূলক পরিকল্পনার একটি বড় অংশ ছিল সৌদি আরব এবং ইসরাইলকে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে দেখা। এটি ঘটানোর জন্য ওয়াশিংটন মনে করে যে, একটি আনুষ্ঠানিক প্রতিরক্ষা চুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়ের সাথে রিয়াদকে সম্পৃক্ত করতে হবে। অন্যদিকে সৌদির ইচ্ছানুযায়ী ইসরাইলকে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে সাহায্য করার জন্য অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইসরাইলের একজন প্রধানমন্ত্রীর জন্য প্রকাশ্যে এ ধরনের শেষ খেলার বিরোধিতা করে দ্রুত এ দরকষাকষির পরিসমাপ্তি ঘটানো কঠিন। এমনকি হামাসের বিরুদ্ধে বর্তমান ....বিস্তারিত
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই
॥ একেএম রফিকুন্নবী॥
মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টিই করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। ইবাদত করতে হবে তাঁর দেয়া পদ্ধতিতে এবং তাঁর পাঠানো নবী-রাসূলদের দেখানো পথে। শেষ কিতাব মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আল্লাহর মুহাম্মদ সা.-কে শেষ নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। আর কোনো জীবন পদ্ধতিও আসবে না এবং আর কোনো নবীও আসবেন না। তাই শেষ নবীর দেখানো এবং শেখানো পথেই আমাদের জীবন চালাতে হবে- ব্যক্তি থেকে সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে।
শেষ নবীর ওপর অর্পিত বাণী হলো, ‘ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ’। সমাজে আমরা ভালো কাজ করার জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি ছাড়াই সব কাজ আঞ্জাম দেয়ার আদেশ এবং মন্দ কাজের প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আমাদের সচেতন নাগরিকদের। আমি মনে করি আমরা যারা সমাজকে সত্যের পথে ডাকতে চাই আর অসত্য থেকে জনগণকে রক্ষা করতে চাই, তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে চাঁদাবাজি রোধ করে সমাজকে চালানোর সব পথ চালু রাখতে হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি বা দুর্নীতির প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। আমরা নিজেরা দুর্নীতির ধারে কাছেও যাব না, অন্যকেও যেতে দেব না। এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
চাঁদাবাজি গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, নদীর ঘাটসহ শহরের সর্বক্ষেত্রে অর্থাৎ ফুটপাত থেকে সরকারি বেসরকারি অফিসে চাঁদা বা স্পিডমানি না দিলে কোনো কাজই হয় না বা ফাইল নড়ে না। রিকশা গ্যারেজ থেকে শুরু করে লঞ্চঘাট, সড়কপথে চলা, বিমান, রেলপথে টিকিট করতে গেলেও চাঁদাবাজির ....বিস্তারিত