রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৭ম সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১ ॥ ১ জিলকদ ১৪৪৫ হিজরী ॥ ১০ মে ২০২৪

॥ একেএম রফিকুন্নবী॥
মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টিই করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। ইবাদত করতে হবে তাঁর দেয়া পদ্ধতিতে এবং তাঁর পাঠানো নবী-রাসূলদের দেখানো পথে। শেষ কিতাব মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আল্লাহর মুহাম্মদ সা.-কে শেষ নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। আর কোনো জীবন পদ্ধতিও আসবে না এবং আর কোনো নবীও আসবেন না। তাই শেষ নবীর দেখানো এবং শেখানো পথেই আমাদের জীবন চালাতে হবে- ব্যক্তি থেকে সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে।
শেষ নবীর ওপর অর্পিত বাণী হলো, ‘ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ’। সমাজে আমরা ভালো কাজ করার জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি ছাড়াই সব কাজ আঞ্জাম দেয়ার আদেশ এবং মন্দ কাজের প্রতিরোধ করার দায়িত্ব আমাদের সচেতন নাগরিকদের। আমি মনে করি আমরা যারা সমাজকে সত্যের পথে ডাকতে চাই আর অসত্য থেকে জনগণকে রক্ষা করতে চাই, তাদের দুর্নীতিমুক্ত থেকে চাঁদাবাজি রোধ করে সমাজকে চালানোর সব পথ চালু রাখতে হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি বা দুর্নীতির প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। আমরা নিজেরা দুর্নীতির ধারে কাছেও যাব না, অন্যকেও যেতে দেব না। এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
চাঁদাবাজি গ্রাম-গঞ্জ, হাট-বাজার, নদীর ঘাটসহ শহরের সর্বক্ষেত্রে অর্থাৎ ফুটপাত থেকে সরকারি বেসরকারি অফিসে চাঁদা বা স্পিডমানি না দিলে কোনো কাজই হয় না বা ফাইল নড়ে না। রিকশা গ্যারেজ থেকে শুরু করে লঞ্চঘাট, সড়কপথে চলা, বিমান, রেলপথে টিকিট করতে গেলেও চাঁদাবাজির খপ্পরে পড়তে হয়।
আমাদের ছোট দেশের জনশক্তি প্রায় ১৮ কোটি। ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। তাই এ অধিকসংখ্যক লোকের চলাচল, খাবার সংগ্রহ, ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মালামাল পৌঁছানোর জন্য নদীপথ, সড়কপথ, আকাশপথ ও রেলপথ ব্যবহার হয়ে থাকে। অতি চাপে পড়ে মানুষ বাধ্য হয়ে একে অপর থেকে আগে টিকিট কেনার জন্য উদগ্রীব হয়ে চাঁদাবাজদের খপ্পরে পড়ে যায়, যা এড়ানো খুবই দুঃসাধ্য। বিশেষ করে বিভিন্ন অকেশনে তো আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। তারপরও আমরা এর প্রতিকার চাই। আমাদের পথ বের করতে হবে। স্বচ্ছ পথ বের করতেই হবে।
আমরা যারা সমাজকে মহান আল্লাহর পথে এবং রাসূলের দেখানো বাস্তব জীবন অনুসরণ করতে চাই, তাদেরই সমাজের সব দুর্নীতি, চাঁদাবাজির পথ বন্ধ করার বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। নিজেরা ভালো চললে মহান আল্লাহ আমাদের সহজ-সরল পথের দিশা দেখাবেন ইনশাআল্লাহ।
গত কয়েকদিন পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন হাটেহাঁড়ি ভেঙে দিয়ে বললেন, ১০ হাজার টাকার কৃষিঋণের জন্য সাজা পেতে হচ্ছে আবার ১০ হাজার কোটি টাকা খেলাপি করে সরকারের প্রধানদের সাথে চা খাচ্ছে। খুবই দুঃখজনক এবং পরিত্যাজ্য। আমাদের দুর্নীতি ওপর থেকে বন্ধ করতে হবে। মাথা ঠিক হলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের অবস্থাও পরিবর্তন হবে। কয়েকদিন পূর্বে এনবিআরের সাবেক প্রধান আবদুল মজিদ সর্বাঙ্গে ব্যথার কথা বলে ছেড়ে দিয়েছেন, ওষুধ দেব কোথায় বলেননি। আমরা বলতে চাই, সর্বাঙ্গেই ওষুধ দিতে হবে। তাহলেই ওপরতলা থেকে নিচ তলার লোকদের দুর্নীতি কমানো সম্ভব হবে। দুর্নীতি করতে করতে বিচারের আওতায় না আসাও দুর্নীতিবাজরা এখন লাই পেয়ে গেছে। তারা মনে করে তাদের ওপরে কেউ নেই। আমি বলতে চাই, দুর্নীতিতে যারা ডুবে গেছে, তাদের ধরার লোক দুনিয়ায়ও আছে, আবার শেষ বিচারের দিনে তাকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আসতে হবে। আমরা ভুলে যাই আমাদের সৃষ্টিকর্তার ক্ষমতার কথা। তিনি প্রত্যেক সৃষ্টির সবকিছুই অবগত আছেন এবং তাঁর নিয়ন্ত্রণে আমরা সবাই পরিচালিত হচ্ছি। আমরা যা প্রকাশ করি, তাও তিনি জানেন, আবার যা আমরা মনে মনে চিন্তা করি, তাও তিনি অবহিত। তাই তাঁর পাকড়াও উপায় দুনিয়ায়ও নেই, আবার আখিরাতে তো নেই-ই। কারণ আখিরাতে তিনিই হবেন একমাত্র বিচারক। তাঁর কাছে কিন্তু ছাড় পাওয়ার উপায় থাকবে না। আপনি দেশের প্রধান হন আর তার পিয়ন হন, সবাই মহান আল্লাহর কাছে তার কাজ দিয়ে বিবেচনায় আসবেন। যদি একজন পিয়ন তার কাজ দিয়ে ঈমান ও আমলের দিক দিয়ে তাঁর বসের চেয়ে ভালো ফল দেখাতে পারেন, তবে তিনিই বড় মর্যাদার হবেন আল্লাহর কাছে। বড় বস কোনো দাপট সেখানে দেখাতে পারবে না। তাকে দুনিয়ার কাজের খারাপ ফল ভোগ করতেই হবে। আর আখিরাতে সীমাহীন সময়ের জন্য। আমাদের দেশের সব বিভাগে এমনভাবে দুর্নীতি ঢুকে পড়েছে, ছোট-বড় অফিসার, বস এবং পিয়ন সবাই দুর্নীতির মধ্যে নিমজ্জিত। কোনো অফিসে কাজ করতে গেলে অফিসের ছোট অফিসারের দ্বারস্থ হতে হয়। শুধু ভাগ-বাঁটোয়ারার প্রশ্ন? কোন টেবিলে কত দিয়ে ফাইল পাস করতে হবে, তার হিসাব-নিকাশ। পূর্বেই নির্ধারণ করে কাজে এগোতে হয়। কয়েকদিন পূর্বে আপনারা দেখেছেন দেশের নিয়ন্ত্রক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক ফরমান জারি করেছে, ব্যাংকে কোনো সাংবাদিক ঢুকতে পারবেন না। কারণ ইতোপূর্বে ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার কূুলকিনারা করতে পারেনি। হয়তো আবার এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে যে, সাংবাদিকরা তা ধরে ফেলতে পারেন, তাই তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিসে ঢুকতে পারবেন না।
ব্যাংকের রাঘববোয়ালরা এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার কারণে দেশের যেমন মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে; অন্যদিকে কোটি কোটি টাকা দেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। দেশের বিনিয়োগে ভাটা পড়ছে। শুধু তাই নয়, দেশের ব্যাংকের টাকা ঘাটতি পড়ার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অধিক সুদে টাকা ধার নিয়ে অনেক ব্যাংকের দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা করতে হচ্ছে, যা ব্যাংকের আমানতদারদের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সাথে মার্জ করার চিন্তা করতে বাধ্য হচ্ছে। ব্যাংক যদি মার্জই করতে হবে, তবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে এতদিন বাংলাদেশ ব্যাংক ঐ সব ব্যাংকের গতিবিধি লক্ষ করেনি কেন? যদি বলা হয়, ওপরের চাপে তারা ব্যাংক পরিচালনা ও ঋণগ্রহীতাদের দাপট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, তাহলে দুর্বল ব্যাংকের পরিচালক ও ঋণগ্রহীতাদের আগে শনাক্ত করা হোক। তাদের দুর্বলতা থাকলে তা আগে বিচারের আওতায় আনা হোক। প্রমাণ মিললে তাদের জরিমানা করা হোক এবং আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়া হোক। ভয় পেলে চলবে না। যারা ব্যাংক কর্মকর্তা এবং এর সাথে জড়িত, তাদেরও বিচার হতে হবে। ২-৪ লাখ টাকা ঋণ দিতে ব্যাংক কর্মকর্তারা একগাদা লিস্ট হাতে ধরিয়ে দেন, যা পূরণ না করলে ঋণ দেয়া যাবে না। তাহলে ব্যাংক কর্মকর্তারা যে লাখকোটি টাকা নাম-ঠিকানাবিহীন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিলেন কার নির্দেশে বা আদেশে। এগুলো ধরা মোটেই কষ্টের কিছু নয়। সৎ, যোগ্য, খোদাভীরু কয়েজন কর্মকর্তাই দ্রুত এদের বের করতে পারবেন এবং আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসা করলেই সব থলের বিড়াল বের হয়ে আসবে, ইনশাআল্লাহ। আমাদের দেশে এখনো সৎ অফিসারের অভাব নেই। শুধু দরকার সাহসী ভূমিকা নেয়া।
দুঃখের কথা আর কত বর্ণনা করা যাবে! সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে যদি দুর্নীতি তদন্তে বাধা আসে, তবে বুঝতে হবে ‘ডাল মে কুচ কালা হায়’। ভয় পাওয়া যাবে না। এ দেশটা কারো বাপের তালুক নয়। দেশ ১৮ কোটি মানুষের। তাদের স্বার্থেই সবকিছু প্রকাশ করতে হবে। আমার বিশ্বাস, দেশের সচেতন মানুষ জেগে উঠলে দল-মত-নির্বিশেষে সততার সাথে কাজ করলে সব দুর্নীতির উৎস বের করা সময়ের ব্যাপার। দেশের বড় প্রকল্পগুলোর সমাপ্তির সময় বার বার বৃদ্ধি করে দুর্নীতির আরেক খাত সৃষ্টি করা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
দেশের মাটি, পানি সমতল ভূমি উন্নয়নের সহায়ক। দেশের কৃষি বিভাগের কাজ প্রশংসার দাবিদার। ধান, চাল, গম, ফলফলাদি দেশে প্রচুর হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দেশ থেকে অনেক প্রচলিত ও অপ্রচলিত পণ্য বিদেশে রফতানি হচ্ছে। প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে। দেশের গার্মেন্টশিল্প ও জনসম্পদ রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আমদানি আশাব্যঞ্জক। এখানেও দুর্নীতি ও টাকা পাচারের পথ বন্ধ করতে পারলে আমাদের দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে বেশিদিন লাগবে না। চাই সৎ লোকের শাসন। যোগ্য লোককে সঠিক জায়গায় নিয়োগ দিতে পারলে দেশের অর্থনীতির চাকা ভালোভাবে চলবে, ইনশাআল্লাহ।
পত্রিকায় দেখলাম টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগের নিজস্ব লোকদের উপজেলা একতরফা নির্বাচনের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ আয় বেড়েছে ৪২০০ শতাংশের বেশি। এ যেন আলাদীনের চেরাগের চেয়েও শক্তিশালী তথ্য। উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের বা বর্তমানে কর্মরত চেয়ারম্যানদের আয়ের উৎস কী? টিআইবি উল্লেখ করেছে, এ লোকদের আয়ের উৎস এনবিআর ও দুদকের মাধ্যমে পর্যালোচনা হওয়া জরুরি।
আমরা চাই যদি কারও বৈধভাবে আয় বেড়ে থাকে, ভালো কথা। দেশের প্রচলিত নিয়মে আয়কর দিয়ে থাকলে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আয়ের উৎস সঠিক না থাকলে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা সরকারের কাজ। ছাড় দেয়া যাবে না।
এভাবে এমপি, মন্ত্রী, জেলা ও ইউনিয়নের প্রতিনিধিদেরও আয়ের উৎস জানা সরকারের বড় কাজ। বৈধকে উৎসাহ দেব, আর অবৈধকে প্রতিরোধ করা দেশের জন্য কল্যাণকর।
দেশে কার্যকর বিরোধীদল না থাকায় সরকারি দল নিজেরা নিজেরাই পাতানো নির্বাচনে গত ১৫ বছর দেশ অপশাসনে চলছে। ফলে দুর্নীতির শাখা-প্রশাখা বেড়েই চলছে। বিরোধীদলের কমর শক্ত হলে সরকারি দল স্বেচ্ছাচারী হতে পারতো না। দুর্নীতি অনেক কমে যেত। আমরা সরকারি ও বিরোধীদলের শক্ত অবস্থানের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আবার বলতে চাই, এ সুজলা-সুফলা নদীমাতৃক এ জন্মভূমিকে সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। যদি সচেতন মানুষ তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করে। ঈমান ও যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সাহসিকতার সাথে যার যার দায়িত্ব পালন করলে, আমরা অবশ্যই দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে পারব, ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন, কোনো সন্দেহ নেই।
ইসলামী ব্যাংকসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার বহু প্রতিষ্ঠান এ দেশে গড়ে উঠেছে গত ৫০ বছরে সৎ লোকদের উদ্যোগে। আমাদের বিশ^াস, সততা ও যোগ্যতা সঠিকভাবে প্রয়োগ করলে এ দেশের অর্থনীতি, সমাজনীতি, স্বাস্থ্য খাতসহ সব খাতে গতি আসবে, সন্দেহ নেই। দেশ ছোট হলেও দেশের জনসম্পদ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে উন্নত দেশ করতে সময় লাগবে না।
সৎ, সাহসী, নির্ভীক নেতৃত্ব আমাদের অতি প্রয়োজন। আমার ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা বলে এ দেশে জামায়াতে ইসলামীই পারে অন্যান্য দল ও জনগণকে সাথে নিয়ে এ দেশকে সুখী-সমৃদ্ধশালী দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ে তুলতে। আমরা দৃঢ়ভাবে আহ্বান জানাতে চাই, জুজুর ভয় নয়, আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন। তাই ১৮ কোটি মানুষের এ দেশকে গড়ার পরিকল্পনা নিয়ে দৃঢ়ভাবে এগোতে পারলে দেশের মানুষের উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া পাওয়া যাবে। অন্যান্য দল ও গোষ্ঠীকেও আমরা দেশ গড়ার কাজে পেতে চাই।
অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। অভিজ্ঞতাই বলে দেয় পরিবারতন্ত্র, স্বজনপ্রীতি, দলবাজি দিয়ে দেশ এগোবে না। এতে ব্যক্তি, গোষ্ঠী, পরিবারের উন্নতি হবে, কিন্তু জনগণের উন্নতি হবে না। আমাদের ১৮ কোটি মানুষের উন্নতি চাই, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, রাষ্ট্র চাই। চাঁদাবাজি প্রতিরোধ করতে চাই। নিজে ভালো হলে, আদর্শ নেতা হতে পারলে দেশ গড়তে সময় লাগবে না। আমাদের দেশের মানুষ কর্মঠ। কাজের প্রতি আন্তরিকতা আছে। যুবকরাও কাজের প্রতি আগ্রহী আছে। সবাইকে দক্ষশক্তি রূপে গড়ে তুলতে আমরা সাহসী ভূমিকা রাখতে পারলে দেশ ভালো হবে, দেশের লোক কাজ পাবে, খাই খাই রব থাকবে না। দেশ দুর্নীতিমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী হবে। আমরা সাহসী নেতৃত্বের অপেক্ষায় রাইলাম।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।