সুষম খাদ্যের অভাবে আমার স্বামী ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়েছেন : মিসেস আফিফা আযম

সোনার বাংলা ডেস্ক
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযমের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আবারো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তার পরিবার। গত শনিবার প্রিজন সেলে সাক্ষাৎ শেষে তার স্ত্রী এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘আমার স্বামী আজ ২৫ দিন কারান্তরীণ। ১১ জানুয়ারি তিনি গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তাঁর ওজন ৭২ কেজি ছিল। গত সপ্তাহে আমরা জানতে পেরেছি তাঁর ওজন ৭০-এ নেমে এসেছে। আজকে তাঁকে দেখে আরও কম মনে হয়েছে। গত ২৫ দিনে চারবার তাঁর সাথে দেখা করতে পেরেছি। প্রতিবারই আমার মনে হয়েছে যে তিনি ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আজ তাঁকে দেখে এসে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে মনে হলে দুর্বলতার কারণে তাঁর কথা বলতে অসুবিধা হচ্ছিল, গলার আওয়াজ নিচু ছিল এবং কথা জড়িয়েছে যাচ্ছিল। এ অবস্থায় আমি আমার স্বামীর জীবন নিয়ে অত্যন্ত শঙ্কিতবোধ করছি।

একজন ৯০ বৎসরের মানুষের পারিবারিক পরিবেশে যে সেবা-শুশ্রƒà¦·à¦¾ ও যতœ এবং পরিমিত ও সুষম খাদ্য প্রয়োজন তার অধিকাংশই তিনি পাচ্ছেন না। চিকিৎসকগণ তাঁর চিকিৎসার ব্যাপারে যথেষ্ট যতœà¦¬à¦¾à¦¨à¥¤ আমরা তাঁদের নিকট কৃতজ্ঞ। তবে, আমার স্বামীর খাবারের ব্যাপারে হাসপাতাল ও কারা প্রশাসনের উদাসীনতা ও নিলিপ্ততা উদ্বেগজনক ও বেদনাদায়ক। তাঁর পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য উভয় কর্তৃপক্ষের নিকট গত ২৫ দিন ৬-৭ বার আবেদন করা হলেও এ ব্যাপারে তাঁদের নীরবতা ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কি না তা খতিয়ে দেখার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি। আমি আশঙ্কা করছি যে, আমার স্বামীকে অপুষ্টিতে ভুগিয়ে দিন দিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ ও এ সমস্যার আশু সমাধান আশা করছি।’’ গত ১১ জানুয়ারি থেকে অধ্যাপক গোলাম আযম বিএসএমএমইউ-এর ‘প্রিজনসল’-এ রয়েছেন।