মালদ্বীপে ইসলামের প্রসারে উদ্বিগ্ন ভারত

মালদ্বীপে ইসলামের প্রসারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত। এমনটাই মন্তব্য করেছেন টাইমস অব ইন্ডিয়ার পররাষ্ট্র বিশেষজ্ঞ ইন্দ্রানি বাগচি। ১৩ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে ইন্দ্রানি জানান, ২০০৯ সালের ২৭ মে লাহোরের ইসি হেড কোয়ার্টারে বোমা হামলা করে আল কায়েদার সদস্য আলি জলিল। আলি জলিল মালদ্বীপের নাগরিক। এই হামলার কিছুদিন পূর্বেই তিনি আল কায়েদায় যোগ দেন। এই তথ্যটি ভারতের জন্য ভীতিকর। আগে থেকেই মালদ্বীপে ইসলামের প্রসার নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল ভারত। ২০১০ সালেই মালদ্বীপের ইসলামিক জঙ্গীদের কার্যকলাপ লক্ষ্য করা যায়। সে সময় পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান থেকে নয় মালয় সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা তখন আল কায়েদা ও তালেবানদের সঙ্গে জঙ্গী প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে মালদ্বীপের তরুণরা। নাশিদ সরকারের আমলে সার্ক সম্মেলনে প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ নিয়ে প্রতিবাদ জানায় একদল বিক্ষোভকারী। তারা প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণকে অনৈসলামিক বলে আখ্যা দেয়। গত সপ্তাহে মালদ্বীপের জাতীয় যাদুঘরে একটি বৌদ্ধমূর্তি গুড়িয়ে দেয়। এদিকে ভারতেও ইসলামী জঙ্গিদের পদচারণা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মালদ্বীপ, পাকিস্তান ও ভারতের ইসলামিক জঙ্গিদের প্রসার বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক সঙ্কটে পরিণত হচ্ছে। মালদ্বীপের সাম্প্রতিক অসি'রতার জন্যও এই জঙ্গি তৎপরতাই দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।