গিলানি অভিযুক্ত দণ্ডিত হলে পদ হারাবেন

আদালত অপমাননার মামলায় দণ্ডিত হলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রজা গিলানীর ৬ মাস কারাদণ্ড ও তিনি তার স্বপদে থাকার অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। আদালতে অভিযোগ গঠনের পর সমনজারির প্রেক্ষিতে গত সোমবার ইসলামাবাদে পাকিস্তানের উচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে গিলানি সশরীরে হাজির হন। ’৯০ এর দশকে পাকিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও তার স্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরহুম বেনজীর ভূট্টোর স্যুইস ব্যাংকের একটি একাউন্টে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত ১২ মিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগে সুইজারল্যান্ডের আদালতে দায়ের করা মামলা স'গিত রয়েছে। সেটি পুনরায় চালুর জন্য ২ বছর আগে সংশ্লিষ্ট সুইস কর্তপক্ষকে চিঠি দিতে পাকিস্তানের উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্যের কারণে গিলানীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলা হয়, শুনানি শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই গিলানির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে বলে আসছেন যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জারদারিকে সংবিধান অনুযায়ী মামলা থেকে দায়মুক্ত দেয়া হয়েছে। গিলানি আদালত অবমাননার মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে অভিহিত করেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আল জাজিরা টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে গিলানি বলেন, তার সাজা হলে তিনি পার্লামেন্টের সদস্য পদ হারাবেন এবং তখন স্বাভাবিকভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও অব্যাহতি পাবেন। গিলানি বলেন, ‘দণ্ডিত হলে আমাকে আর পদত্যাগ করার প্রয়োজন হবে না।