এশিয়া ও আফ্রিকায় শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা উল্লেখযোগ্যতা বাড়ছে

নগরায়নের ওপর জাতিসংঘের ২০১১ সালের প্রতিবেদনের বলা হয়েছে যে এশীয় ও আফ্রিকান দেশগুলোতে ২০৫০ সাল নাগাদ শহরাঞ্চলে মানুষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন বিভাগ (ডিইএসএ)’র অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত জাতিসংঘের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল জোমো কোয়ামে সুন্দরম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আফ্রিকার শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা ৪১ কোটি ৪০ লাখ থেকে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৬ কোটি এবং শহরে বসবাসকারি এশিয়ার লোকসংখ্যা আনুমানিক ১৪০ কোটি বেড়ে ১৯০ কোটি থেকে ৩৩০ কোটিতে দাঁড়াবে।’

ওয়ার্ল্ড আরবানাইজেশন প্রোসপেক্টাসের ২০১১ সালের সংশোধনীর প্রকাশ উপলক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়। ১৯৮৮ সাল থেকে দু বছর অন্তর ডিইএসএ’র জনসংখ্যা বিভাগ বিশ্বের আনুমানিক লোকসংখ্যা প্রকাশ করে আসছে। সুন্দরম বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ভবিষ্যতে বিশ্বব্যাপী শহরাঞ্চলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘২০১১ ও ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা ২৩০ কোটি বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় বিশ্বব্যাপী শহরাঞ্চলে জনসংখ্যা ২৬০ কোটি বৃদ্ধি পাবে।’ সুন্দরম জানান, বিভিন্ন অঞ্চলের শহরের লোকসংখ্যার বৃদ্ধির মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য বৈষম্য’ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনটি জানায়, আফ্রিকা ও এশিয়া এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত, চীন, নাইজেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়ার শহরগুলোতে সর্বাধিক লোকসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। ভারত ও চীনে সবচেয়ে বেশি লোক শহরমুখী হবে। তিনি বলেন, ‘নগর ভিত্তিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং যোগাযোগ ও অবকাঠামো বৃদ্ধির পাশাপাশি পানি ও জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আফ্রিকা ও এশিয়াকে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।’