সংবাদ শিরোনামঃ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাব হাসিনার : খালেদা জিয়ার প্রত্যাখ্যান ** জামায়াত নেতৃবৃন্দসহ রাজবন্দীদের মুক্তি দিন ** হুমায়ূন আহমেদ : মৃত্যু নাকি হত্যা ** শেখ হাসিনার নেতৃত্ব হুমকির মুখে ** ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্রের অংশ ** সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসে সরকারকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে ** প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন সফর এবং রোহিঙ্গা ও পদ্মা সেতু ** কিশোর কাননে নজরুল ** কেয়ারটেকারের দাবি না মেনে সরকার রাজনীতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে : হামিদ আযাদ এমপি ** কুমিল্লায় ফসলের মাঠ পুড়ছে ইটভাটার আগুনে **

ঢাকা শুক্রবার ১৯ শ্রাবণ ১৪১৯, ১৪ রমজান ১৪৩৩, ৩ আগস্ট ২০১২

হারুন ইবনে শাহাদাত
১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর শনিবার রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ‘....শিশুর কান্নার শব্দ আমার নানাজানের কানে যাওয়ামাত্র তিনি ছুটে এসে বললেন, ছেলে না মেয়ে? ডাক্তার সাহেব রহস্য করার জন্য বললেন, মেয়ে। নানাজান তৎণাৎ আধমণ মিষ্টি কিনতে লোক পাঠালেন। যখন জানলেন মেয়ে নয় à¦›à§‡à¦²à§‡Ñ à¦¤à¦–à¦¨ আবার লোক à¦ªà¦¾à¦ à¦¾à¦²à§‡à¦¨Ñ à¦†à¦§à¦®à¦£ নয়, এবার মিষ্টি আসবে একমণ।’ এভাবেই পৃথিবীতে নিজের আগমনের কথা বর্ণনা করেছেন নন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর লেখা ‘আমার ছেলেবেলা’ গ্রন্থে।

হুমায়ূন আহমেদ তাঁর নানার বাড়ি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জের দৌলতপুরের শেখ বাড়িতে। এ বাড়িতে তিনি জন্ম গ্রহণ করেছেন। একই জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরের মৌলভী বাড়ি তাঁর পৈতৃক নিবাস। তাঁর দাদা ছিলেন একজন বড় আলেম। পিতা ফয়জুর রহমান আহমেদ পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন। এ নন্দিত লেখকের মায়ের নাম আয়েশা আক্তার খাতুন।  বাবার বদলির চাকরির কারণে কুতুবপুর এবং à¦¦à§Œà¦²à¦¤à¦ªà§à¦°Ñ à¦ দু’জায়গাতেই শৈশব-কৈশোরের অনেক দিন কেটেছে হুমায়ূনের। দাদার বাড়ি এবং নানার বাড়ির বিস্তর বর্ণনা দিয়ে ‘আমার ছেলেবেলা’য় তিনি à¦²à¦¿à¦–à§‡à¦›à§‡à¦¨Ñ ‘আমার শৈশবের সবচেয়ে আনন্দময় সময় হচ্ছে এই দু’জায়গায় বেড়াতে যাওয়া। প্রতি দু’বছর পর পর একবার তা ঘটত। আমার মনে হতো, এত আনন্দ, এত উত্তেজনা সহ্য করতে পারব না। অজ্ঞান হয়ে যাব। আমরা ছুটিতে যাচ্ছি। ছুটিতে যাচ্ছি। ছুটি!’

গত ১৯ জুলাই  প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমদ ইন্তেকাল করেছেন। তিনি রেখে গেছেন তাঁর লেখা অসংখ্য বই। তোমাদের জন্যও তিনি লিখেছেন, তোমাদের জন্য ভালবাসা, রাক্ষস খোকস খোক্ষস, বোতল ভূত  আরো অনেক বই। তাঁর লেখা ইংরেজি, হিন্দি, রুশ, জাপানিসহ পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের শিশুতোষ গ্রন্থ ‘বনের রাজা’  জাপানি ভাষায়  অনুবাদ হয়েছে। জাপানি ভাষায় গ্রন্থটির নামকরণ করা হয়েছে ‘মরি নো ওসামা’।

আল্লাহর প্রতি ছিল তাঁর অগাধ বিশ্বাস। গত ২৭ জুল্ইা প্রথম আলো পত্রিকা তাঁর অপ্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে, তাতে তিনি বলেছেন, ‘তুমি মঙ্গল গ্রহে গিয়েছ। সেখানে গিয়ে তুমি দেখলে পাহাড়, পর্বত, পাথর। পাথর দেখে তুমি বলবে, বহুকাল থেকে, সেই আদিকাল থেকে পাথরগুলো এভাবেই আছে। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ তুমি দেখতে পেলে একটা নাইকন ক্যামেরা। তুমি সেটা হাতে নেবে। তখন তোমাকে বলতেই হবে, এর একজন স্রষ্টা আছে। ক্যামেরাটা হাতে নিয়ে তুমি এ কথা ভাবতে পারবে না যে শূন্য থেকে এটা আপনা-আপনি এসে হাজির হয়েছে। কারণ, এটা একটা জটিল যন্ত্র। এবার, আরেকটু এগিয়ে গেলে। কোত্থেকে একটা খরগোশ বেরিয়ে এসে তোমার দিকে তাকাল। নাইকন ক্যামেরা কী করে? ছবি তোলে। খরগোশ কী করে? অনেক কাজই করে। খরগোশের একটা কাজ হলো দেখা। এই খরগোশের চোখ নাইকন ক্যামেরার চেয়ে হাজার গুণ বেশি জটিল। নাইকন ক্যামেরাটা দেখে তোমার যদি মনে হয় যে এর একটা নির্মাতা থাকা দরকার, তাহলে খরগোশের বেলায় এটা তোমার মনে হবে না কেন? আমার প্রথম যুক্তি যদি গ্রহণ করো, আমার দ্বিতীয় যুক্তিটাও তোমাকে গ্রহণ করতে হবে। মানুষের সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ে একটা বৈজ্ঞানিক যুক্তি ছিল এ রকম। অণু-পরমাণুতে ধাক্কাধাক্কির ফলে একটা জটিল অণুর জন্ম হয়েছে। এক সময় এটা এত দূর জটিল হয়ে উঠছে, সেটা একেবারে নিজের মতো আরেকটা জিনিস তৈরি করতে শুরু করেছে। তারপর তৈরি হলো মানুষ। অসম্ভব ধীমান একটি প্রাণী। একটা গোলাপ ফুল দেখে যে মানুষ তারিফ করতে পারে, একটা পরম শৃঙ্খলা ছাড়া শুধু ধাক্কাধাক্কি করে কি এটা সম্ভব হতে পারে? এবং এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে অণু-পরমাণুর ধাক্কাধাক্কির ফলে আমরা গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারি? এই পৃথিবীর সবকিছু পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র মেনে চলে। প্রোটন হবে ইলেকট্রনের চেয়ে ১,৮৩৬ গুণ বড়। সমস্ত তত্ত্ব, সংখ্যা ধ্রুব। এই ধ্রুবত্ব কে নির্ধারণ করেছে?

বিজ্ঞান কোনো বিষয় সম্পর্কে হুট করেই কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারে না। তার একটা বিশেষ পদ্ধতি আছে। কিন্তু এই পদ্ধতি তো শুরু থেকে ছিল না। যেমন অ্যারিস্টটল বলেছিলেন, মানুষের মস্তিষ্কের কাজ হলো শরীরে রক্ত সঞ্চালন করা। কথাটা অ্যারিস্টটল বলেছিলেন বলেই আমরা এক হাজার বছর পিছিয়ে গেছি। এখন বিজ্ঞান অনেক অদ্ভুত কথা বলছে। যেমন মানুষের শরীরের মধ্যে যে ডিএনএ থাকে, তার মৃত্যু নেই।

তাই আমি মনে করি, আমরা এখনো খুব অল্প বিষয়ই জানতে পেরেছি। একজন পদার্থবিজ্ঞানীর পে রসায়ন সম্পর্কে বেশি কিছু জানা সম্ভব না। জ্ঞানের পরিধি অনেক অনেক বড়। যুগে যুগে যেসব ধর্মপ্রচারক এসেছেন’ তাঁরা কিন্তু একটা সামগ্রিক ধারণা রাখতেন জগৎ বিষয়ে। আল্লাহ তাঁদের কাছে সব সময় সরাসরি জ্ঞান দেন নাই। তাঁরা সব সময় যে সরাসরি ওহি পেয়েছেন তা তো না? জিবরাইল কি সব সময় সশরীরে এসে ওহি পৌঁছে দিয়েছেন? না। অনেক সময় শব্দের মাধ্যমে, অনেক সময় আলোর মাধ্যমেও ওহি পাঠানোর ব্যপারটা ঘটেছে। এ কারণে আমার মনে হয়, মানুষের ুদ্র জ্ঞানে সৃষ্টিকর্তাকে পুরোপুরি কখনো জানা সম্ভব না।

সৃষ্টিকর্তা মানুষের মতো এটা ধরে নিয়ে কিন্তু আমি চিন্তা করছি না। আমি চিন্তা করছি এমন একটা অস্তিত্ব নিয়ে, যে সর্বব্যাপী। তাকে আমরা আমাদের ুদ্র কল্পনাশক্তি দিয়ে কল্পনা করতে পারছি না। তিনি আমাদের কল্পনাসীমার বাইরে। অনেক সূরায় নানাভাবে এসেছে এ প্রসঙ্গ। সূরা এখলাসও এ বিষয়েই।’

এ মহান লেখকের জন্য রইলো আমাদের দোয়া ও ভালোবাসা। আল্লাহ তাঁকে তার গুনাহ ক্ষমা করুন। আমীন!

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।