দিল্লির অতি চাপে আবার বাঁকবদল : বিগড়ে যেতে পারে পশ্চিমও
নতুন কৌশলগত পথে সরকার
॥ ফারাহ মাসুম ॥
প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর দেশটির চাওয়া-পাওয়ার সর্বগ্রাসী চাপে পড়েছে সরকার। ক্যাবিনেট গঠন থেকে শুরু করে প্রশাসনে নিয়োগ পদোন্নতি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে তাদের অনুরোধ অনুসারে কাজ করতে হয়। এ চাপের মাত্রা নিরাপত্তা অঙ্গন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে শুরু করার পর সেটি নেয়া সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। অনুরোধের ঢেকী গেলা বেশি অসহনীয় হওয়ার ফলে সরকার আবার পাল্টা পক্ষকে খুশি করে ভারসাম্য আনার পথ গ্রহণ করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ নতুন পথযাত্রায় চীন সহযোগিতার ডালি নিয়ে এগিয়ে আসছে। অন্যদিকে বৃহৎ প্রতিবেশী ছাতা গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমের নমনীয়তাও ধীরে ধীরে কঠিন রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সরকারের ওপর মহল ও শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা।
অতি চাপে দিশেহারা!
৭ জানুয়ারির একতরফা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতার বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করা হতে থাকে। নির্বাচনে এ লবির তালিকা থেকে কমপক্ষে ৪০ জনকে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে এমপি পদে জিতিয়ে আনা হয়। মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় এ লবির পছন্দের ব্যক্তিদের বসানো হয়। কিন্তু এতকিছু করার পরও তারা সর্বাত্মকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। সব ধরনের প্রশাসনে তাদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি দিতে চাপ দেয়। সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও ন্যূনতম ২০ শতাংশ তাদের বাছাইকৃতদের নিয়োগদানের চাপ আসে। এ চাপে সরকারের প্রভাবশালী মহল থেকে ধীরে ধীরে আপত্তি ওঠা শুরু হয়। একপর্যায়ে সাবমেরিন ঘাঁটিসহ নিরাপত্তা পরিষেবার কিছু বিষয় নিয়ে সৃষ্ট চাপে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
এদিকে একটি দেশকে বিশেষভাবে খুশি করতে গিয়ে অন্য পক্ষের সহযোগিতায় অনিশ্চিত অবস্থা দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষ করে অর্থনৈতিক খাতের বাজেট সহযোগিতা এবং বিভিন্ন প্রকল্পে চীনের অর্থছাড়ে একবারে ধীরগতি নেমে আসে। এতে নির্বাচনোত্তর নতুন সরকারের অর্থনৈতিক প্রয়োজন পূরণে অচলাবস্থা দেখা দেয়। ফলে সরকার একক বলয় থেকে বেরিয়ে চীনা প্রকল্পগুলোর প্রতি আবার নজর দেয়।
বিপুল সহযোগিতার আশ্বাস : জানা গেছে, প্রতিবেশী দেশ রাজনৈতিক সমর্থন দিলেও অর্থনৈতিক সহযোগিতায় কিছু না করতে পারার ফলে সরকার এখন আবার চীনা সহযোগিতা পাওয়ার পথে পা বাড়িয়েছে। বেইজিং বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার মতো বড় ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা ও বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে। এর সাথে সামরিক সহায়তার একটি প্যাকেজও রয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে যে নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তা নিরসনে সহায়তার কথাও বলা হয়েছে বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে।
এসব বিবেচনায় সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন নির্দেশনা ও বার্তা মিলছে যে, প্রতিবেশীদের চলমান স্বার্থগত বিষয়কে বড়ভাবে ক্ষুণ্ন না করে চীনের সহযোগিতা নেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এজন্য সরকারের বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রতিবেশী দেশের লবির বিশেষ প্রাধান্যে ভারসাম্য আনার জন্য কিছু নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হতে পারে। এ পরিবর্তনে এমন বেশকিছু নতুন মন্ত্রীকে দেখা যেতে পারে, যারা চীনের প্রতি নানাভাবে ঘনিষ্ঠ। সরকারের ডিপ স্টেটের পরামর্শে এমনটি করা হচ্ছে বলে আভাস পাওয়া গেছে।
প্রতিবেশী ক্ষোভ কতদূর যাবে
সরকারের কৌশলগতভাবে নতুন ভারসাম্যনীতি গ্রহণ এবং চীনের দিকে ঝুঁকে যাওয়াকে প্রভাবশালী প্রতিবেশী দেশটি স্বাভাবিক হিসেবে নিচ্ছে না বলে জানা গেছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধতার কারণে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরের সাম্প্রতিক এক কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে বলে একটি সূত্র উল্লেখ করেছে। চলমান লোকসভা নির্বাচনের পর্ব পার হওয়ার পর আরো বড় পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলেও আভাস দেয়া হচ্ছে।
বিজেপির শীর্ষপর্যায় মনে করছে, তারা আবার সরকার গঠন করবে এবং এরপর তাদের রাডার থেকে ঢাকা বের হয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টার জন্য যা করার দরকার, তা করা হবে। এ ব্যাপারে পশ্চিমা মিত্রদের সাথে যোগসূত্র রক্ষা করা হবে।
প্রতিবেশী দেশের সাথে যুক্ত একটি সূত্র জানাচ্ছে, সরকারের প্রশাসন বা ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রিত করার মতো টুলস এখনো তাদের হাতে রয়েছে। তাদের সমর্থন ও সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা একতরফা নির্বাচনকে একভাবে মেনে নিয়েছে বলে উল্লেখ করে এ সূত্রটি দাবি করছে যে, এখন থেকে সব দিকের চাপ ক্রমেই স্পষ্ট হতে শুরু করবে। সরকারের জন্য পশ্চিমা লবি থেকে যে বিনিয়োগ ও অন্যান্য সহযোগিতা পাওয়ার প্রক্রিয়া ছিল, সেটি বন্ধ হয়ে যাবে। ঢাকায় আইএমএফ মিশনকে অনেক কঠোর মনোভাবের দেখা যাবে। আইএমএফের পরবর্তী কিস্তির ছাড় বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকারের ওপর আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য চাপ আরো বাড়তে পারে। সর্বোপরি নতুন করে রাজনৈতিক ময়দান চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে। এর মধ্যে তার কিছু কিছু ইঙ্গিত আসতে শুরু করেছে।
আবার নিষেধাজ্ঞা ও চাপ কাটানোর পথ
একতরফা নির্বাচনের সময় আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ও ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে এক ধরনের আশাবাদ তৈরি হয়েছিল যে, ভোট ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকার্যকর করার কাজ তারা মেনে নেবে না। এজন্য নিষেধাজ্ঞার মতো টুলসও প্রয়োগ করা হবে। কিন্তু নয়াদিল্লিতে টু প্লাস টু মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর হঠাৎ করে সে প্রক্রিয়া থেমে যায়। পরে ভারতের সাবেক শীর্ষ কূটনীতিক ও বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকারী হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী ওআরএফের এক অনুষ্ঠানে বলে দেন, দিল্লির হস্তক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে নির্বাচন ও গণতন্ত্রচর্চা নিয়ে চুপ হয়ে যায় এবং এখানকার সরব মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস হঠাৎ আত্মগোপনে চলে যান। তার এ বক্তব্য নিয়ে নানা ধরনের সমালোচনা হওয়ার পরও এ বক্তব্যে তিনি অটল থাকেন এবং এর পক্ষে বিভিন্ন নজির তুলে ধরেন।
জানা যায়, এ সময় ওয়াশিংটনকে প্রতিবেশী দেশের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয় যে দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে বেইজিংয়ের প্রভাব থেকে ঢাকাকে সম্পূর্ণ বের করে এনে আবার বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও নির্বাচন ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হবে। নির্বাচনোত্তর সরকার গঠনের পর সেই প্রক্রিয়া জোরেশোরে শুরু করার ফলে নতুন পরিস্থিতি দেখা দেয় আর শেষতক রাজনৈতিক পরিস্থিতিই এখন পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
নতুন অবস্থায় সরকার এখন চীনকে পাশে নিয়ে পাশ্চাত্যকে নমনীয় রাখার জন্য নতুন মিত্রের সন্ধান করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। একসময় দিল্লির মাধ্যমে ওয়াশিংটনকে নমনীয় করার এ পথ এখন দূরে সরে যাওয়ার কারণে আমিরাত বা কাতারের মতো কোনো মিত্রকে কাছে টানার কথা ভাবা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে কাতারকে আমেরিকার সাথে বোঝাপড়া করার জন্য নির্ভর করার মতো অংশীদার বলে ভাবা হচ্ছে। কাতার আমীরের সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরের সাথে এর যোগসূত্র রয়েছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে প্রতিবেশীদের সংকেত অনুসারে সত্যি সত্যি আমেরিকান অবরোধ নিষেধাজ্ঞার টুলসগুলো সক্রিয় হয়ে উঠলে বিকল্প মিত্ররা তা থেকে কতটা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারবে, তা নিয়ে সরকারের কোনো কোনো পর্যায়ে সংশয় রয়ে গেছে। এ কারণে চীনকে কাছে টানা হলেও দিল্লিঘনিষ্ঠ মন্ত্রীদের দৃষ্টি রাখতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে- যাতে প্রতিবেশী মিত্র দেশটি প্রতিশোধের বশে বড় ধরনের নেতিবাচক কিছু করে না ফেলে। এক্ষেত্রে দেশে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা সংকট সৃষ্টির মতো কিছু কিছু ঘটনার ব্যাপারে সরকারের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় কিছু পরিকল্পনা অঙ্কুরে নষ্ট হয়েছে।
৪ জুনের ফল গুরুত্বপূর্ণ
ভারতের চলমান লোকসভা নির্বাচনের ফল বের হবে ৪ জুন। এর মধ্যে দু’দফা নির্বাচন হয়ে গেছে। এ দু’দফায় বিজেপি ভালো করবে না বলে ধারণা ব্যক্ত হলেও পরবর্র্তী চার দফায় পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারে বলে বিজেপির কিছু কিছু নেতার ধারণা। বিশেষত হিন্দুত্ববাদী দলটি পশ্চিমবঙ্গে অনেক ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী। নির্বাচন দিয়ে পূর্বাভাস দেয়ার ব্যাপারে বিখ্যাত কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি এক নম্বর দল হবে বলে আভাস দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট কার্যকর করে কংগ্রেস-বামফ্রন্টের সাথে সমঝোতা না হওয়ার কারণে তৃণমূলের ফলে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।
এখন ৪ জুনের লোকসভার ফলে যদি আবার বিজেপি জোট ভারতের ক্ষমতায় ফিরে আসে, তাহলে চাপে পড়বে ঢাকার সরকার। অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করলে সেটি ঢাকার সরকারের জন্য স্বস্তিকর হতে পারে। সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলো সরকারের জন্য বেশ কঠিন হয়ে উঠতে পারে। এ সময়ে সরকারের সামনে একদিকে থাকবে বাজেট প্রণয়নের অর্থনৈতিক চাপ। এর মধ্যে যে চাপ আর্থিক খাতে এবং বাজেট বাস্তবায়নে প্রবল হয়ে উঠেছে। এর সাথে রফতানি বাজারে যেকোনো বিধিনিষেধ এলে তা বড় ধরনের অচলাবস্থায় ফেলতে পারে সরকারকে।
বেইজিং বলয়ের পক্ষ থেকে ব্রিকস দেশগুলো এ ব্যাপারে বিকল্প বাজার ও বিনিয়োগ সুবিধা নিয়ে এগিয়ে আসবে মর্মে যে ফর্মুলা দেয়া হচ্ছে, তা কতটা কাজ করবে তা নিয়ে ঢাকার কিছু নীতিপ্রণেতার সংশয় রয়েছেন। এর মধ্যে আইএমএফের যেসব কর্মকর্তা ঢাকায় রয়েছেন, তারা বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে প্রবল চাপ তৈরি করছেন। সরকারের শীর্ষ অর্থনৈতিক নীতিপ্রণেতাদের কেউ কেউ ওয়াশিংটন থেকে ঘুরে এসে এমন আশঙ্কাও ব্যক্ত করেছেন যে, পশ্চিমের সাথে সম্পর্কের বরফ যেভাবে গলতে শুরু করেছিল, তা পাল্টে গিয়ে এখন আবার জমাট বাঁধছে বলে মনে হচ্ছে। আর এবার আইএমএফের পরের কিস্তি নানা শর্তের অজুহাতে যদি স্থগিত হয়ে যায়, তাহলেও বিস্ময়ের কিছু থাকবে না।
রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত হবে?
একতরফা নির্বাচন করে ফেলার পর সরকারের শীর্ষনেতারা মনে করেছিলেন, বিরোধী নেতাদের জন্য কিছু স্পেস ছেড়ে দেয়া হলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আবার স্বস্তি ফেরানো যাবে। বিএনপি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে এ সময় জামিনে মুক্তি পান। নতুন করে গ্রেফতারের ধারাও বন্ধ হয়ে যায়। সরকার গঠনের পর দ্রুততম সময়ে উপজেলা নির্বাচন ঘোষণা করা হয়। এ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ও অন্য বিরোধীদলকে নিয়ে আসার জন্য এটিকে অরাজনৈতিকভাবে অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত তাতে অংশ না নেয়ায় এটিও ৭ জানুয়ারির মতো একতরফা নির্বাচনে পরিণত হয়।
এতে স্বস্তিকর রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ বিফলে চলে যায়। এখন কৌশলগতভাবে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে সরকার কিছুটা বেইজিংমুখী হওয়ার কারণে এর রাজনৈতিক প্রভাব কতটা কী পড়ে, তা নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। বিকল্প কারো মাধ্যমে পশ্চিমা বলয়কে নমনীয় রাখা গেলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে সরকারি মহলের অনেকে মনে করেন। তা না হলে বড় ধরনের রাজনৈতিক ঝড় তৈরি হতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।
এটি ঘটলে তাপপ্রবাহের চলমান পর্ব পার হওয়ার পর আরেকটি রাজনৈতিক তাপপ্রবাহ জুন-জুলাইয়ের দিকে শুরু হতে পারে বলে পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন। নেপথ্যের ঘটনাগুলো এখন দ্রুত ঘটে চলেছে। শেষ পর্যন্ত কোথাকার পানি কোথায় গিয়ে গড়ায়, তা দেখার জন্য পরিস্থিতির প্রতি গভীর নজর রাখতে হবে।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- নীরব সামাজিক আন্দোলন
- প্রচণ্ড দাবদাহ, মানুষেরই কর্মফল
- ১ কোটি ২০ লাখ টন চালের অপচয় রোধ করতে হবে
- বিপদের ঝুঁকিতে ২১ জেলা
- সড়ক-মহাসড়ক মৃত্যুফাঁদ
- বিভ্রান্তির অবসান
- সারা দেশে জামায়াত, বিএনপি ও শিবিরের পানি ও স্যালাইন বিতরণ
- যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নজিরবিহীন বিক্ষোভ
- ইসলামী শ্রমনীতিই শ্রমিক ও মালিকদের স্বার্থ সংরক্ষণের গ্যারান্টি : ডা. শফিকুর রহমান
- নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা