সর্বাধিক পঠিত
- আমরা বিজয়ী হবই, ইনশাআল্লাহ
- নতুন কৌশলগত পথে সরকার
- প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটা সমান ও বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে!
- প্রচণ্ড দাবদাহ, মানুষেরই কর্মফল
- নীরব সামাজিক আন্দোলন
- পাকিস্তান-ইরান সহযোগিতার অক্ষ তৈরি সম্ভব?
- মরণ ফাঁদে বাংলাদেশ
- দেশকে মরুকরণ প্রক্রিয়া থেকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে
- বিভ্রান্তির অবসান
- বিপদের ঝুঁকিতে ২১ জেলা
দিল্লির অতি চাপে আবার বাঁকবদল : বিগড়ে যেতে পারে পশ্চিমও
নতুন কৌশলগত পথে সরকার
॥ ফারাহ মাসুম ॥
প্রতিবেশী দেশের সহায়তায় একতরফা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর দেশটির চাওয়া-পাওয়ার সর্বগ্রাসী চাপে পড়েছে সরকার। ক্যাবিনেট গঠন থেকে শুরু করে প্রশাসনে নিয়োগ পদোন্নতি পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে তাদের অনুরোধ অনুসারে কাজ করতে হয়। এ চাপের মাত্রা নিরাপত্তা অঙ্গন পর্যন্ত বিস্তৃত হতে শুরু করার পর সেটি নেয়া সরকারের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। অনুরোধের ঢেকী গেলা বেশি অসহনীয় হওয়ার ফলে সরকার আবার পাল্টা পক্ষকে খুশি করে ভারসাম্য আনার পথ গ্রহণ করেছে। ঝুঁকিপূর্ণ এ নতুন পথযাত্রায় চীন সহযোগিতার ডালি নিয়ে এগিয়ে আসছে। অন্যদিকে বৃহৎ প্রতিবেশী ছাতা গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমের নমনীয়তাও ধীরে ধীরে কঠিন রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সরকারের ওপর মহল ও শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা।
অতি চাপে দিশেহারা!
৭ জানুয়ারির একতরফা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতার বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ বিষয়ে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের চাওয়া-পাওয়া পূরণ করা হতে থাকে। নির্বাচনে এ লবির তালিকা থেকে কমপক্ষে ৪০ জনকে মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে এমপি পদে জিতিয়ে আনা হয়। মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় এ লবির পছন্দের ব্যক্তিদের বসানো হয়। কিন্তু এতকিছু করার পরও তারা সর্বাত্মকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। সব ধরনের প্রশাসনে তাদের পছন্দের লোকদের নিয়োগ ও পদোন্নতি দিতে চাপ দেয়। সংবেদনশীল প্রতিষ্ঠানগুলোয়ও ন্যূনতম ২০ শতাংশ তাদের বাছাইকৃতদের নিয়োগদানের চাপ আসে। এ চাপে সরকারের প্রভাবশালী মহল থেকে ধীরে ধীরে আপত্তি ওঠা শুরু হয়। একপর্যায়ে সাবমেরিন ঘাঁটিসহ নিরাপত্তা পরিষেবার কিছু বিষয় নিয়ে সৃষ্ট চাপে অচলাবস্থা দেখা দেয়।
এদিকে একটি দেশকে বিশেষভাবে ....বিস্তারিত
সম্পাদকীয়
দেশকে মরুকরণ প্রক্রিয়া থেকে বাঁচাতে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে
সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রতিবেদন বলছে, তাপমাত্রা ৭৬ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। খুলনা বিভাগের কিছু অংশ, পাবনা ও রাজশাহী জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া দেশের বাকি অংশের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। তীব্র তাপপ্রবাহের মাত্রা কোথাও কোথাও ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে প্রকাশ, আবহাওয়াবিদ এবং নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে আগামী কয়েক বছরে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা এমন বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত থাকবে। আর তার ফলে বিপর্যয়কর অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে- এমন আশঙ্কা আছে তাদের মধ্যে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য ....বিস্তারিত
অবলোকন
পাকিস্তান-ইরান সহযোগিতার অক্ষ তৈরি সম্ভব?
॥ মাসুম খলিলী ॥
ইরান ও পাকিস্তান এমন দুই প্রতিবেশী দেশ, যাদের মধ্যে সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে অম্ল-মধুর। অল্প ক’দিন আগে দুই দেশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণের পর এখন কৌশলগত অক্ষ তৈরি হওয়ার মতো কিছু চুক্তি ও সমঝোতা হয়েছে। এ ধরনের সম্পর্ক কি সামনে এগিয়ে নেয়া সম্ভব? অন্যভাবে বলা যায়, এ সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে দেয়া হবে?
সাম্প্রতিক সময়ে এশিয়ায় এমন কিছুু ঘটনা চলমান রয়েছে, যাতে আগের অনেক সমীকরণ পাল্টে যাচ্ছে। আর এসব কিছু কাকতালীয়ভাবে হচ্ছে এমনও নয়, এর পেছনে সক্রিয় রয়েছে ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এসব উপাদান যেমন নতুন এক অবস্থার দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যকে, তেমনিভাবে দক্ষিণ এশিয়ায়ও মৌলিক কিছু পরিবর্তন আসতে চলেছে। ....বিস্তারিত
আমরা বিজয়ী হবই, ইনশাআল্লাহ
॥ একেএম রফিকুন্নবী ॥
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের এ ছোট দেশকে কতই না সম্পদ দিয়েছেন। বড় সম্পদ জনসম্পদ। দ্বিতীয় হলো মাটি, পানি, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা, গাছপালাসমৃদ্ধ জন্মভূমি। আমরা এত সম্পদ পেয়েও দেশকে উন্নতি-অগ্রগতির শিখরে নিতে পারছি না শুধুমাত্র চলার পথে নিয়মনীতির অবহেলার কারণে। কোনো ক্ষেত্রেই ছোট-বড়, ধনী-গরিব, রিকশাওয়ালা, পান বিক্রেতা থেকে প্লেন বিক্রেতা কেউই নিয়মের আওতায় আসছি না, সরকারের বিভাগগুলোর সহযোগিতার অভাবে।
দেশের বড় কর্মকর্তা থেকে গ্রামের চৌকিদার কেউই নিয়মের ধার ধারছি না। দেশের অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর নিয়ন্ত্রক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি হয়ে গেল। কোনো কূলকিনারা আমরা করতে পারছি না। আমাদের প্রযুক্তি উন্নয়নের কথা ....বিস্তারিত
ভারতীয় পণ্য বর্জন
নীরব সামাজিক আন্দোলন
॥ বিশেষ সংবাদদাতা ॥
ভোক্তাদের অপছন্দনীয় কোম্পানি বা দেশের পণ্য বর্জন ও বয়কট আন্দোলন আধুনিক বিশ্বে নতুন কোনো বিষয় নয়। আজকের বাংলাদেশে এটি নতুন একটি ধারণা হলেও ইউরোপ-আমেরিকায় শত বছর আগেই শুরু হয়েছে এবং চলছে একসময় ভারতেও এ পণ্য বর্জন আন্দোলন করা হয়েছে। আজ থেকে এক শত বছর আগে ভারতে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের একটি আন্দোলন করেছিলেন কংগ্রেস ও হিন্দু জাতীয়তাবাদী নেতারা, যা স্বদেশি আন্দোলন নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী যিনি ভারতে মহাত্মা গান্ধী হিসেবেই সমধিক পরিচিত- এটাকে স্বরাজ নামে অভিহিত করেন। ১৯০৫ সালের ৭ আগস্ট কলকাতার টাউন হল থেকে স্বদেশি আন্দোলন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়- যাতে দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি করে বিদেশি পণ্য তথা ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করা যায়। স্বদেশি ....বিস্তারিত
প্রচণ্ড দাবদাহ, মানুষেরই কর্মফল
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
বাংলাদেশ স্মরণকালের এক সংকট অতিক্রম করছে। গণতন্ত্রহীনতার রাজনৈতিক সংকটের সাথে যোগ হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়ের প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এদেশের মানুষ বন্যা, খরা, সাইক্লোনের মতো দুর্যোগের সাথে পরিচিত। কিন্তু এবার এসেছে নতুন বিপদ তীব্র তাপপ্রবাহ। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, এ প্রভাব এখনই নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সবুজ-শস্য-শ্যামল নদীমাতৃক বাংলাদেশে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু কেন এ দুর্যোগ? পরিবেশ বিপর্যয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য মানুষই দায়ী- এ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। মূলত মানবসমাজের নেতারাই দায়ী। যারা সরকারে আছেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন, তাদের স্বৈরশাসন (প্রাকৃতিক নিয়মবিরোধী আচরণ) মানুষকে মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত করছে। স্বৈরশাসন ....বিস্তারিত
৫৪ নদীর পানি প্রত্যাহার, নদী ও খাল-বিল দখলে বাড়ছে খরা ও মরুকরণ
মরণ ফাঁদে বাংলাদেশ
॥ সাইদুর রহমান রুমী ॥
অভিন্ন নদীপ্রবাহের ওপর প্রণীত আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি অগ্রাহ্য করে উজান থেকে পানি প্রত্যাহার করছে প্রতিবেশী ভারত। বাংলাদেশের বড় নদীতে একের পর এক ফারাক্কা ও টিপাইমুখসহ একাধিক বাঁধ ও গ্রোয়েন নির্মাণ করে সুজলা-সুফলা আমাদের দেশকে শুষ্ক করে ফেলছে।
একদিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শাসকদলীয় দুষ্কৃতকারী নেতা-কর্মী ও তাদের মদদপুষ্ট প্রভাবশালীদর মাধ্যমে নদী, খাল-বিল দখলের মহোৎসবে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে গোটা দেশ। অন্যদিকে ভারতের নিষ্ঠুর ও নির্মম পানি আগ্রাসন দেশ ও জাতিকে সামগ্রিকভাবে বিপন্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে। চলমান তীব্র দাবদাহ, অনাবৃষ্টি, ভূপৃষ্ঠের পানির স্তর নেমে যাওয়া, খরা ও লবণাক্ততায় হা-হুতাশ করছে ভুক্তভোগী মানুষ, সেই সাথে প্রাণিকুলও। মারাত্মক পরিবেশ ও ....বিস্তারিত