মাত্র ৩ জন শিক দিয়ে চলছে ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা

জালালাবাদ বাহারছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শিা জীবন অনিশ্চিত!

জালালাবাদ সংবাদদাতা : সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাহারছড়া সরাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাত্র ৩ জন শিককের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনা। এতে করে ঐতিহ্যবাহী এ শিা প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের শিাজীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিরতিহীনভাবে ৩ জন শিক পাঠদান দিয়ে আসলেও তারা সব শ্রেণীতে পাঠদান দিতে পারছে না সময়ের অভাবে। এভাবে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি লেখাপড়ার মান কমে গেলে অতীতের সুনাম ধরে রাখা সম্ভব হবে না।

কোটা অনুযায়ী ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক সংখ্যা প্রধান শিকসহ ৬ জন। গত রমজান মাসে বন্ধের সময় ১ জন শিকিা মাইজপাড়া বদলী হয়ে যায়, আরেক শিক ছয় মাসের মাতৃকালীন ছুটিতে রয়েছে, অপর আরেকজন শিক কলাতলী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিভাবে ডেপুটেশন দেয়া গেল। এদিকে ছয়জন শিকের স্থানে ৩ জন শিক দিয়ে চলছে ঐ প্রতিষ্ঠানটি। তাতে একজন রয়েছে প্রধান শিক। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাস্টার আমান উল্লাহ ফরাজী জানান, ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম অুণœ রাখতে জরুরিভিত্তিতে শূন্য ও ডেপুটেশন দেয়া শিক নিয়োগ জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের শিা জীবন অন্ধকারে নেমে আসবে। মহিলা মেম্বার রোকসেনা আক্তার জানান ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রধান শিকসহ ৩ জন শিক দিয়ে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব। তাই শিক নিয়োগ জরুরি। ওয়ার্ড মেম্বার রমজানুল আলম জানান, প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে পরিপূর্ণভাবে ৬ জন শিকই জরুরি। এলাকার সমাজ সেবক কামরুল হাসান বায়োজীদ জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রতিযোগিতার এসময়ে শিার মান অুণœ রাখতে শিক নিয়োগ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিা কর্মকর্তাদের সুদুষ্টি কামনা করছি। এলাকার সচেতন মহলের দাবি ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের আলোর পথে নিয়ে যেতে শিক নিয়োগ দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানে ঐতিহ্য ধরে রাখা অপরিহার্য।