সংবাদ শিরোনামঃ

সরকারের শেষ রক্ষা হবে না ** চাণক্যদের নোংরা খেলা ** ১০০ বছরের জ্বালানি সম্পদ হারিয়েছে বাংলাদেশ ** আফগানিস্তানে মতৈক্যের সরকার এবং শান্তির প্রত্যাশা ** সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণে মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ** কুরবানির পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়ে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন ** লতিফ সিদ্দিকী বনাম কাদের সিদ্দিকী ** জিতেছে চাঁদ দেখে পক্ষ ** ঝিনাইদহে সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ নেতার মার্কেট ** কবি ফররুখ আহমদের শিশু কবিতায় বিচিত্র পাখি **

ঢাকা, শুক্রবার, ২ কার্তিক ১৪২১, ২১ জিলহজ ১৪৩৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৪

কুষ্টিয়ায় পাটের উচ্চ ফলন পেলেও ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষকরা হতাশ

খালিদ হাসান সিপাই, কুষ্টিয়া থেকে : চলতি মওসুমে পাটের উচ্চ ফলন পেয়েছে চাষিরা। ল্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাট উৎপাদন হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। কিন্তু খরচের তুলনায় পাটের দাম একেবারেই কম বলে জানিয়েছে কৃষকরা। কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় হাটবাজারে ক্রেতার অভাবে পাটের বাজার মূল্য একেবারেই কম। সরকারিভাবে পাট ক্রয় শুরু না হওয়ায় পাটের বাজারের এ অবস্থা বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। তাই কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়েছে। পরিশ্রমের তুলনায় পাটের দাম ভালো না পাওয়ায় আগামীতে পাটের আবাদ করবেন কিনা সংশয় দেখা দিয়েছে অনেক কৃষকের মাঝে।

জানা যায়, গতবার এ সময় যে পাটের মূল্য মানবিশেষে প্রতিমণ এক হাজার থেকে ১২শ’, ১৩শ’ টাকা। এবার শুরুতেই ৭৫০ থেকে ৮০০শ’ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। তবে গত এক সপ্তাহে বাজার বেড়ে এক হাজার থেকে ১২ শত টাকা বিক্রি হচ্ছে। হাটবাজারে ফড়িয়া, বেপারি ও দালালরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কম দামে পাট কিনছে। এ অবস্থায় অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে বাড়িতে পাট রেখে দিচ্ছে। গতবারও পাট নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে চাষিরা। তবে শেষে দিকে বাজার ভালো ও পাটের মূল্য বেশি পাওয়ায় এবারও কৃষকরা কিছুটা উৎসাহ নিয়ে পাট চাষ করেন। চলতি মওসুমে পাটের বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা চাষিরা।

কুষ্টিয়ায় ব্যাপকহারে পাট চাষ হওয়ায় “সোনালী আঁশ” খ্যাত পাটের সুদিন ফিরার শুরুর আশা করেছিল চাষিরা। তা এখন হতাশায় পরিণত হচ্ছে। পাটকে সোনালী আঁশ বলা হলেও দেশীয় পাটকল ও বৈদেশিক রফতানি বন্ধের কারণে পাটের অতীত ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। ন্যায্যমূল্য থেকে এ অঞ্চলের চাষিরা বঞ্চিত হওয়ায় অধিক মুনাফার আশায় তারা পাটের পরিবর্তে তামাক চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এ বছর জেলা জুড়ে ব্যাপক হারে পাটের আবাদ হয়েছে। ফলে পাটের হারানো অতীত ঐতিহ্য ফিরে আসতে শুরু করেছে বলে আশায় বুক বেঁধেছিল চাষিরা। বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও পাটের বাম্পার ফলন হওযায় কৃষকদের চোখে-মুখে আনন্দের ছাপ দেখা দেয়। কিন্তু ভালো দাম না পাওয়ায় এবারও হতাশা দেখা দিয়েছে।

কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, এ বছর কুষ্টিয়া জেলায় পাট চাষের ল্যমাত্রা ছিল ৩৫ হাজার ২শ’ ৮৪ হেক্টর। সেখানে ল্যমাত্রার বিপরীতে পাট চাষ হয়েছে ৩৫ হাজার ৩শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে। উল্লেখিত জমিতে ৩ লাখ ৭১ হাজার ১৮ বেল পাট উৎপাদন হয়েছে। কৃষি বিভাগের এ ল্যমাত্রা ছাড়িয়ে অনেকাংশে বেশি জমিতে পাট চাষ করেছে কৃষকেরা। মওসুমের শুরুতেই কুষ্টিয়া অঞ্চলে পাট চাষে ব্যাপক সারা জাগলেও পাট পচনের জায়গা ও পানি সঙ্কটের কারণে চাষিদের পড়তে হয় বিপাকে। কৃষি অফিসের চাপিয়ে দেয়া রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পচন চাষিরা প্রত্যাখ্যান করেছে অনেক আগে থেকেই। রিবন পদ্ধতিতে পাটের বেশি অপচয় এবং খরচ পড়ে যায় বলে চাষিরা রিবন পদ্ধতি গ্রহণ না করে খাল বিল, ক্যানেল, ডোবায় পাট পচন দিয়ে পাটের আঁশ ছড়ায় বলে জানায় চাষিরা। বিগত দিনে চাষিরা পাটের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় পাট চাষে মুখ ফিরিয়ে নেয়। হারিয়ে যায় পাট চাষের সোনালী দিন। এবার বাজারে নতুন পাট প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১২শ টাকায়। তবে এতেও খুশি নয় চাষিরা। কারণ পাট রোপন থেকে শুরু করে পাটের আঁশ ছাড়ানো ও শুকানো পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে পাট বিক্রি করে চাষিদের লাভ হচ্ছে না। পাট আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারলে চাষিরা কিছুটা হলেও লাভবান হতো বলে জানালেন কৃষকেরা। চাষিরা জানিয়েছে পাট আবাদ করতে তাদের অনেক খরচ হয়েছে। সার ও কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা এ বছর খরচ পড়েছে বেশি। তারপর মাঠ থেকে পাট কেটে পানিতে পচনও পাট ধুতে শ্রমিক লেগেছে বেশি। একজন শ্রমিকের মজুরি এবার ৩ শত ২০ টাকা থেকে সাড়ে ৩শ টাকা করে। তারপরও শ্রমিকের অভাবে দিশেহারা হয়ে পড়ে চাষিরা।

এরপরও বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে তারা দাম পাচ্ছে একবারেই কম। ফলে পাট চাষে খরচের তুলনায় তারা ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেনা।

কৃষক আব্দুল করিম জানান, ধান চাষে লোকসান হচ্ছে, এখন পাট চাষেও লোকসান দিতে হচ্ছে, তাহলে কৃষক বাঁচবে কোন ফসল চাষ করে? এ প্রশ্ন কেবল কারো একার নয়, বোধ করি কুষ্টিয়ার সব কৃষকেরই এখন প্রশ্ন ‘পাটের বাজার কৃষকের অনুকূলে আসবে কবে’?

সোনালী আঁশের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পাটের মূল্য দেড় হাজার টাকা মণ করা হলে আগামী দিনে চাষিরা পাট চাষ করবে বলে মন্তব্য করছে চাষিরা।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।