ডিসেম্বরের পর এই সরকার না-ও থাকতে পারে : অলি

সোনার বাংলা রিপোর্ট
এলডিপি সভাপতি ড. কর্নেল অলি আহমদ (অব.) বলেছেন, ডিসেম্বরের পর বর্তমান সরকার মতায় নাÑও থাকতে পারে। কারণ এই সরকারের সমস্যার পাল্লা অনেক ভারি হয়ে গেছে। গত আড়াই বছরে সরকার ১৫টি সমস্যা সৃষ্টি করেছে। এসব সমস্যার মাধ্যমে তারা জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু যারা এই চেষ্টা করছে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর পর্যবেণ ও গঠনমূলক সমালোচনার ল্েয গত ১১ জুন হোটেল সুন্দরবনে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।ডিসেম্বরের পর এই সরকার মতায় নাÑও থাকতে পারে, এরকম কথা আপনি কিসের ভিত্তিতে বলছেন, এর পেছনে কি কারো কোনো ইঙ্গিত আছে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে কর্নেল অলি বলেন, ‘কারো ইঙ্গিতে নয়, আমার হƒà¦¦à§Ÿ বলছে তাই আমি বলছি। নিজের অন্তর থেকে বলছি, আল্লাহ্-রাসূলের (সা.) নির্দেশে বলছি।’ সংবাদ ব্রিফিংয়ে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমও উপস্থিত ছিলেন।

ড. অলি বলেন, এলডিপির গঠনতন্ত্রে হরতালসহ যে কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি পালনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এই সীমাবদ্ধতা না থাকলে এলডিপি বিএনপির ৩৬ ঘণ্টার হরতালে পূর্ণ সমর্থন জানাতো।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, এই আওয়ামী লীগই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য লাগাতার আন্দোলন করেছে। তাহলে এখন তারা এর বিরুদ্ধে কেন? বিচারপতি খায়রুল হক দেশকে সংঘাত ও অরাজকতার দিকে ঠেলে দিয়ে গেছেন। অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা বাদ রেখে তিনি রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয়ে কিছু রায় দিয়ে বিদায় নিয়েছেন। তত্ত্বাবধায়ক না থাকলে বিএনপি লাগাতার ধর্মঘটে যাবে, জামায়াতও একই কর্মসূচি দেবে। তিনি বলেন, সেদিন আওয়ামী লীগ যে কারণে বিএনপিকে বিশ্বাস করেনি, একই কারণে আমরাও আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করি না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল না করে এর দুর্বল দিকগুলো সংস্কারের পরামর্শ দেন তিনি।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় কর্নেল অলি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে দিনবদলের কোনো রোডম্যাপ নেই। নিজেদের সাধ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকে ছোট বাজেট করা হলে তি কি? এতে বরং দেশের সম্মান বৃদ্ধি পেত। তিনি বলেন, বাজেটে ৪৬ হাজার কোটি টাকার এডিপি সরকারের বাস্তবায়ন সমতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।  এলডিপি সভাপতি বলেন, পুরনো বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ায় কত মেগাওয়াট কম উৎপাদন হবে বাজেটে এর পরিসংখ্যানে নেই। এখাতে বিরাজ করছে অদতা, লুটপাট, দুর্নীতি ও নৈরাজ্যকর অবস্থা। তিনি বলেন, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশের জন্য মারাত্মক তিসাধন করছে। এটা কার স্বার্থে? অন্যদিকে সরকার এখনও জ্বালানি ও কয়লা নীতিও প্রণয়ন করতে পারেনি।

ড. অলি আরও বলেন, শিা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করা দরকার। কর্মসংস্থান খাতে দলীয়করণের অভিযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, শেষ কথা হলো বিচার ব্যবস্থার উন্নতি, আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়নের গতিশীলতা। সরকারি কর্মকর্তাদের দলীয়করণ এবং বিভিন্ন পর্যায়ে দালাল সৃষ্টি বন্ধ করতে হবে। স্বজনপ্রীতি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে।