কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল নিহতের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলা

কুমিল্লা সংবাদদাতা : কুমিল্লায় দুই গ্র“পের সংঘর্ষে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিহতের ঘটনায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। এক পক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা নুর উর রহমান মুহম্মদ তানিম ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আফম আহসান উদ্দিন টুটুলসহ ২৭ জনকে আসামি করে শনিবার সকালে কোতোয়ালী থানায় সুজন নামে ছাত্রলীগের এক কর্মী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। অপর পক্ষ ১৩ এপ্রিল সোমবার কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের ছেলে মাসুদ পারভেজ খান ইমরান ও আরমান খানসহ ২২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রিন্টু বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। দুই পক্ষের মামলার সকল আসামি আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী। পাল্টা-পাল্টি মামলার ঘাটনায় উত্তেজনা বিরাজ করছে উভয় গ্র“পের মধ্যে।

কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ কর্মী সুজন বাদী হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শনিবার সকালে কোতোয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা নুর উর রহমান মাহমুদ তানিম, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আ ফ ম আহসান উদ্দিন টুটুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক অপি। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপরদিকে, কুমিল্লা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক জিএস জহিরুল ইসলাম রিন্টু বাদী হয়ে ১৩ এপ্রিল সোমবার সকালে অপর পক্ষের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কুমিল্লা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরান, কুমিল্লা সরকারি কলেজের সভাপতি সুমন দাস, মহানগর যুবলীগ নেতা মীর সাব্বির, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা কাউছার, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আফজল খান এডভোকেটের ছোট ছেলে আরমান খান, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ ও সাইফুলসহ ২২ জন। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, এ মামলায় কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কুমিল্লা চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি মাসুদ পারভেজ খান ইমরানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

১১ এপ্রিল শনিবার বিকেলে কুমিল্লা মহানগরির কান্দিরপাড়ে ছাত্রলীগের দুই গ্র“পের সংঘর্ষ চলাকালে কুমিল্লা সার্ভে ইনস্টিটিউটের সাবেক জিএস ও শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামকে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করা হয়। পরদিন ১২ এপ্রিল সকাল ৯টায় কুমিল্লা মুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুলের মৃত্যু হয়।