সংবাদ শিরোনামঃ

অর্থ লুটের মহোৎসব ** ভোটে আগ্রহ নেই মানুষের ** সারাদেশে গুম হত্যা আতঙ্ক ** ড. মাসুদের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের মিছিল ** প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দায় এই সরকারকেই নিতে হবে : খালেদা জিয়া ** পানির জন্য হাহাকার ** ক্ষমতার নিশ্চয়তা পেলেই আগাম নির্বাচন ** তিস্তা এখন ধু ধু বালুচর ** তেলের দাম কমানোর নামে প্রহসন ** সরকার দায় চাপানোর কৌশল নিয়েছে ** আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই জনগণের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে ** ওনারা বললে দোষ হয় না! ** মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি কি সুদূর পরাহত? ** পার্বতীপুরে পানির জন্য হাহাকার ** টাঙ্গাইলের ছয় উপজেলায় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নেই! ** কুষ্টিয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু বাড়ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৬ বৈশাখ ১৪২৩, ২১ রজব ১৪৩৭, ২৯ এপ্রিল ২০১৬

মো. তোফাজ্জল বিন আমীন
যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। এটা পৃথিবীর সব ভাষার মানুষের স্লোগান। তারপরেও যুগ যুগ ধরে যুদ্ধের দামামা বেজে চলেছে দেশ থেকে দেশান্তরে। বছরের পর বছর ধরে ইরাক, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ায় যুদ্ধ চলছে। নিহত হচ্ছে অগণিত বনি আদমের সন্তান। দিনের পর দিন আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলছে মুসলিম বিশ্বের আরব রাষ্ট্র অধ্যুষিত জনপদের পথে প্রান্তর। বিধ্বস্ত হচ্ছে মানুষের ঘর-বাড়ি, হাসপাতাল ও মসজিদ। আরব রাষ্ট্রগুলোর অতীত ইতিহাস তো এমন ছিল না, তাহলে কেন আজ গৃহযুদ্ধে ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে নাগরিক জীবন। সে বিষয়টিও মুসলমানদের ভেবে দেখার দরকার। যে সময়ে সিরীয় শিশুর হাহাকার আর কান্নার কথা লিখছি সে সময়েও ৫৬ হাজার বর্গমাইলের এই দেশে শিশু হত্যার মহাউৎসব চলছে। যেসব রাষ্ট্রে স্বাভাবিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকার কথা ছিল সেখানেও শাসক দল বা  ব্যক্তি কর্তৃক রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে নাগরিক জীবন বিপন্ন। আরব বসন্তের ফুটানো ফুলের স্থায়ীত্ব গোলাপের পাঁপড়ির মতো ঝরে রক্তের সাগরে ভাসছে। তারপরেও মুসলিম নামধারী শাসকের ঘুম ভাঙ্গেনি। চিরস্থায়ী শাসক দাবিদার মুয়াম্মার আল গাদ্দাফিকে তাড়াতে গিয়ে লিবীয় জনগণের উপর স্থায়ী দুর্ভোগের স্টিম রোলার পশ্চিমাগোষ্ঠী প্রয়োগ করছে। ফেরাউনের দেশে নিপীড়ক সামরিক জান্তার আধিপত্যের শিকার হতে হয়েছে নিরীহ মিসরীয় জনগণকে। সাদ্দাম হোসেনকে বিতাড়িত করার নামে ইরাকের  লাখো মানুষের জীবন বোমার আঘাতে ক্ষত বিক্ষত করে, সেখানে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে অশান্তি আর অরাজকতা। ইরাকের ভূমি বর্তমানে একটা বিরানবাড়ীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিনিয়ত শিয়া-সুন্নি দাঙ্গায় হাজারো মানুষের প্রাণ চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশে। চির স্বাধীন আফগানিস্তান এখন চিরস্থায়ী যুদ্ধবিগ্রহের দেশে পরিণত। ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের কান্নার আওয়াজ ইথারে ইথারে ভাসলেও নিশ্চুপ মুসলিম শাসকেরা। কাশ্মীরে প্রতিদিন অধিকৃত বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারাচ্ছে হাজারো মানুষ। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিক অধিকার বিপন্ন। হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে স্বনাগরিকদের বিতাড়ন করছে রাষ্ট্র। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে সফরে গেলে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নির্যাতন বন্ধ করার জোর তাগিদ দিয়েছেন। অথচ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার ব্যাপারে টুশব্দও উচ্চারণ করতে পারলেন না। দুনিয়া জুড়ে আধিপত্যবাদীরা সকল সন্ত্রাসী কার্যকলাপের দায় মুসলমানের উপর লেপন করে দিলেও মুসলিমরা নীরব। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, অদ্যাবধি যত যুদ্ধ বিগ্রহ হয়েছে তা একশ্রেণীর স্বৈরশাসকের দাম্ভিকতার কারণেই হয়েছে।

কোনো যুদ্ধের ইতিহাস লেখা আমার বিবেচ্য বিষয় নয়। তবে যুদ্ধের কারণে একটি দেশের মানুষের জীবনে কি নির্মমতা নেমে আসে সে বিষয়টি তুলে ধরাই মূলত আমার রচনার লক্ষ্য। সিরিয়ার জনগণের সাথে আমাদের ভৌগোলিক সীমারেখা নেই, তাতে কি আসে যায়! তারা ওতো মানুষ! নিকট অতীতে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ একাত্ম হয়ে কেঁদেছে আয়লানের বাবা আবদুল্লাহর সাথে। শিশু আয়লানের ছোট্র দেহটি বেঁচে থাকাকালীন  সিরিয়ার জনগণকে নাড়া দিতে না পারলেও তার মৃত্যুর পর সারা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের হৃদয়কে সত্যিই নাড়া দিয়েছে। অন্য এক সিরীয় শিশু মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার সময় আর্তনাদ করে বলেছিল,‘আমি খোদার কাছে সব বলে দেব’। এই আর্তনাদের ফরিয়াদ দুনিয়ার কেউ না শুনতে পারলেও রাজাধিরাজ আরশের অধিপতি মহান আল্লাহ  ঠিকই শুনেছেন। এরই সাড়ে তিন মাস পর একই বয়সী আরেকটি শিশুর নির্বাক প্রতিবাদ সারা দুনিয়ার ঘুমন্ত বিবেককে জাগিয়ে দিয়েছে। আয়লান ছোট এক শিশু। তুরস্কের উপকূলে তার মৃত্যু। কিন্তু জন্ম তার সিরিয়ার কোবানি শহরে। ক্ষমতাসীন বাশার আল আসাদের বোমারু বিমান হয়তো কোবানীর উপর বোমা নিক্ষেপ করছে। আর অন্যদিকে আসাদবিরোধী মার্কিন মদদ পুষ্ট জোটও মেশিনগানের গুলিতে জর্জরিত করছে কোবানি শহর। দিশেহারা লাখো লাখো মানুষ। জীবন বাঁচানোর তাগিদে ছুটছে তারা সীমান্তের দিকে। অনেকে আশ্রয় নিচ্ছে লেবানন অথবা তুরস্কে। লেবাননে এ ধরনের আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ অতিক্রম করেছে। আর তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। এই ৪০ লাখ বিতাড়িত মানুষের একটি পরিবার আবদুল্লাহ কুর্দি। শিশু আয়লান কুর্দির বাবা আবদুল্লাহ কুর্দি আর্তনাদ করে বলেছিলেন,‘আমার সন্তানেরা ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর শিশু। ওরা প্রতিদিন আমার ঘুম ভাঙাত। খেলা করত আমার সঙ্গে। এর চেয়ে সুন্দর মুহূর্ত আর কী হতে পারে? এ সবকিছুই হারিয়ে গেছে আমার। কখনো কখনো জীবনের চেয়ে মৃত্যু হয় অনেক শক্তিশালী। মানুষ শোককে শক্তিতে পরিণত করে। শিশু আয়লানের জীবনের বিনিময়ে আশ্রয় মিলেছে হাজারো সিরীয় মানুষের। যে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকা ‘সান’ সিরীয় উদ্বাস্তদের প্রতি বিদ্বেষমূলক শিরোনাম করেছে উদ্বাস্ত ঠেকাও। তারাই সমুদ্রের ঢেউ ছুঁয়ে থাকা আয়লানের ছবি ফলাও করে ছাপিয়েছে। তাতে আবারও প্রমাণিত হলো, নিষ্পাপের মৃত্যু অসহনীয়, অবর্ণনীয়, ক্ষমার অযোগ্য। আয়লান একাই বিশ্বমানবতার ঘুম ভাঙিয়েছে, বিশ্বনেতাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে দায়িত্বহীনতার কাঠগড়ায়, বিশ্ববাসীকে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ভয়াবহ দোজখের আগুনে পুড়ে কঙ্কাল হওয়া অসহায় মুসলিমদের  দুঃখ গাঁথার কথা।

নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে সাময়িকভাবে হলেও মুক্তির পথের দিশা খুঁজে পেয়েছে সিরিয়াবাসী। আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ বছর পরে হলেও সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সাময়িক বিরতি শুরু হয়েছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর সিরিয়ার পশ্চিম ও উত্তরাংশের বেশির ভাগ এলাকায় যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। সিরিয়ার বাস্তবতায় এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা সত্যিকার অর্থেই এক কঠিন কাজ। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মানব সভ্যতার সূতিকাগার বলে বিবেচিত সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলছে। প্রেসিডেন্ট বাশারের নেতৃত্বাধীন সরকারকে হঠানোর প্রেক্ষিতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রত্যক্ষ মদদেই সেখানে বিদ্রোহ ও গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। সিরিয়ার আসাদ সরকার হঠানোর নামে মানব সভ্যতার এ পাদপীঠকে কার্যত এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। প্রাণ হারিয়েছে আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। সিরিয়ার সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার উদ্যোগ শুধু সিরিয়া নয় বিশ্ববাসীর জন্য এক স্বস্তিদায়ক ঘটনা। আমরা আশা করব সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে কাণ্ডজ্ঞানহীন যুদ্ধের অবসানে সব পক্ষেরই শুভবুদ্ধির উদয় হবে।

বিশ্ব সভ্যতার চরম উন্নতি ও অগ্রগতির যুগেও পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষ সেখানে পশুর মতই ঘাস, লতাপাতা, এমনকি পোষা কুকুর ও বিড়ালের মাংস খেয়ে বেঁচে আছে! হ্যা এ ধরনের ঘটনা অবিশ্বাস্য কারও কারও মনে হতে পারে। কিন্তু সিরিয়াতে তাই ঘটেছে। চারদিকে শুধু হাহাকার আর অর্ধাহার কঙ্কালসার মানুষের কান্নার আওয়াজ কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসছে। ঘরে- বাইরে পথে প্রান্তরে শুধু সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষের গলিত অর্ধগলিত লাশ মিলছে। এক মুঠো খাবার নেই, পানি নেই, নেই জীবন রক্ষার ন্যূনতম ওষুধ। অনেকের শরীরে এক তোলা পরিমাণ মাংসও যেন নেই। তাদের কঙ্কালসার চেহেরার ছবিগুলো দেখলে মনের অজান্তে চোখের কোনে পানি এসে জমে যায়। আর সদ্যোজাত সন্তানদের দিকে তো চোখ ফেরানোই ভার।‘ ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’- কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের এই উক্তির দেখা মিলছে সিরিয়ায় মাটিতে। ক্ষুধার তাড়নায় ছটফট করছে জীবিত মানুষগুলো। শুধু কি তাই! মায়ের কাছে নিজ কলিজার টুকরা সন্তান ও যেন নিরাপদ নয়। পত্রিকার পাতায় মুদ্রিত হয়েছে মাত্র দু’কেজি চালের আশায় বুকের সন্তানকে বেঁচে দিতে চেয়েছেন এক মা। কিন্ত কিনবে কে? ক্রেতা তো নেই। দুর্ভিক্ষ কবলিত দেশ সিরিয়ার একটি কঙ্কালসার কিশোরের কণ্ঠ থেকে ভেসে আসলো এমন আর্তি ‘কত দিন মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে বলুন? আমি সাত দিন ধরে কিছুই খাইনি। আল্লাহর কছম, আমি খুবই ক্ষুধার্ত।’ এদিকে সাত মাসের ক্রন্দরত এক শিশুকে তার স্বজন বলছে,‘ঠিক হয়ে যাবে সোনা। আল্লাহ সাহায্য করবেন, তিনি তাড়াতাড়ি একটা ফয়সালা করে দেবেন। ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খাবার খেতে দেখা গেছে অভুক্ত যুবককে। খাবারের অভাবে শহরগুলোর বাসিন্দারা এখন ঘাস, লতাপাতা এবং পোষা কুকুর, বিড়ালের মাংস খেয়ে বেঁচে আছে। ভিডিওতে অনেককে ঘাসের স্যুপ খেতেও দেখা গেছে। খাবারের অভাব নেই, উচ্চমূল্য এবং খাবার ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণেই দুর্ভিক্ষের হাতছানি দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য বের হয়েছে যে, শহরগুলোতে এখন এক কেজি চালের দাম পৌনে আট হাজার টাকা। এক কেজি চিনির দাম ১৫ হাজার টাকা। এক লিটার দুধের দাম সাড়ে ২৩ হাজার টাকা। সবচেয়ে করুণ অবস্থা বিরাজ করছে মাদায়ায়। পত্রিকার পাতায় যখন সে সব অনাহারকিষ্ট শিশুদের ছবি দেখেছি তখনই দ্রুত পাতা উল্টিয়ে দিয়েছি। কারণ আমার আড়াই বছরের মেয়ে খাবার খেতে যেয়ে প্রায়ই কান্না করে ঐ কান্নার আওয়াজই আমি সহ্য করতে পারি না। আর অভুক্ত অনাহারকিষ্ট শিশুদের কান্নার আওয়াজ কি করে সিরিয় মায়েরা মেনে নেয়, আল্লাহ তা ভালো জানেন। পৃথিবীর মানুষগুলো কেন এত পাষাণ হয়ে গেল? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে ফিরে যেতে হবে আলোর পথে সত্যের সন্ধ্যানে।

যুদ্ধের আগে কিন্তু তাদের অবস্থা এত নাজুক ছিল না। তারা ছিল এক সমৃদ্ধ দেশের গর্বিত নাগরিক। কোথাও তাদের কোন অভাব তাড়িয়ে বেড়াত না। সপ্তম বড় শহর ডেয়ার এজর। তেল উৎপাদনে প্রথম সারিতে ছিল যে শহর, এখন সেখানে শুধুই হাহাকার আর ক্ষুধার আহাজারি শোনা যায় । প্রতিদিন একের পর এক শিশু অনাহারে, অপুষ্টিতে ঢলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা শিশু ও বৃদ্ধদের। পৃথিবীর আলো দেখার সুযোগ পেয়েও তিন মাসের শিশু আকবর বাঁচতে পারেনি। বাজারে আকাশছোঁয়া দামের শিশুখাদ্য কিনে উঠতে পারেননি আকবরের মা-বাবা। অপুষ্টিজনিত কারণে মা-ও বুকের দুধ খাওয়াতে পারতেন না। তাই বাধ্য হয়ে গাছের রস খাইয়ে বাঁচাতে চেয়েছিলেন কোলের সন্তানকে। কিন্তু পারেননি। তার মতোই আরও অসংখ্য শিশুর ভাগ্যে হয়ত এই নিয়তি মিলেছে। আমার ছেলের মাংস খাচ্ছি! মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলে এই কথাগুলো বলছিলেন মা দাখিল। দু’দিন পর খেতে বসে ডুকরে উঠলেন মা সেই দিনগুলোর কথা মনে করতে গিয়ে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন।

বাজারে খাবারের দাম এতটাই চড়েছে যে তার নাগাল পাওয়া সিরিয়াবাসীর জন্য দুষ্কর। আগে যে চালের দাম ছিল ২০ টাকা, আজ সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ২৮০০ টাকায়। তেলের দাম আগে  লিটার প্রতি ৩৫ টাকা থাকলে ও তা বেড়ে হয়েছে ৩ হাজার টাকা। চাল আর তেলের কথা না হয় বাদই দিলাম। একটু পানির জন্যে ১০ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে হাজারো মানুষকে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আড়াই লাখেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ ভিটেবাড়ি ছেড়েছে। ২৫ লক্ষাধিক সিরীয় নাগরিক তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। এতদিন পরে হলেও যুদ্ধবিরতির বিষয়টি সিরিয়ার জনগণকে আশার আলো জাগিয়েছে। ইতিহাসবেত্তারা নিশ্চয় একটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন। ৭০ বছর আগে হাজার হাজার ইহুদি ইউরোপ থেকে পালিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশ্যে। আজ হাজার হাজার মুসলমান মধ্যপ্রাচ্য ছেড়ে ইউরোপের উদ্দেশ্যে পালাচ্ছে। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে মদীনার দিকে রাসূলের দেখানো পথে। মহান আল্লাহ যেন আমাদের দোষ ক্রুটিকে ক্ষমা করে ঈমানের পথে অবিচল টিকে থাকার তাওফিক দান করেন।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।