সংবাদ শিরোনামঃ

বিশ্বব্যাপী শোক নিন্দা ও প্রতিবাদ ** আওয়ামী লীগকে সমর্থন না করায় বিচারের মুখোমুখি ** তারপরও কেন এই বিদ্যুৎ সঙ্কট ** ধৈর্য ও সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে : মকবুল আহমাদ ** সংলাপ সমঝোতার পরিবর্তে সংঘাতের পথে সরকার ** ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে : অধ্যাপক মুজিব ** সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পানি পাচ্ছে না বাংলাদেশ ** টাকার বিনিময়ে মনোনয়ন রাষ্ট্রের জন্য ভয়ঙ্কর ** দেশ জাতি ও ইসলামের জন্যই তার এ আত্মত্যাগ ** শেষ বিদায়ের আগে আব্বুর পাশে ** সঙ্কট মোকাবেলায় বেশি বেশি আল্লাহর সাহায্য কামনা করতে হবে ** কুড়িগ্রামে ধানের মণ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা॥ হতাশ কৃষক ** শোকার্ত মানুষের ঢল ** কাজী নজরুল ইসলামের একটি অনন্য দিক **

ঢাকা, শুক্রবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৩, ১২ শাবান ১৪৩৭, ২০ মে ২০১৬

পারভীন আক্তার জেমী
‘কামাল পাশা’, ‘আনোয়ার’, ‘বন্দনা-গান’, ‘চিত্তনামা’, ‘অশ্বিনী কুমার’, ‘খালেদ’, ‘চিরঞ্জীব জগলুল’, ‘আমানুল্লাহ’, ‘উমর ফারুক’, ‘রীফ সর্দার’, ‘বাংলার আজীজ’, ‘নব-ভারতের হলদিঘাট’, ‘যতীন দাস’ প্রভৃতি বীর-বন্দনামূলক কবিতা। এসব কবিতায় নজরুল তাদের শুধু বীরত্বের বন্দনাই করেননি, এসব বীরত্বগাঁথা প্রকাশের ভেতর দিয়ে গণজাগরণও ঘটাতে চেয়েছেন।

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) মানবতার কবি, উৎপীড়িত জনগোষ্ঠীর কবি হিসেবে বেশি পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন উদার মানসিকতার। তিনি সাহিত্যের মধ্য দিয়ে শুধু গণবাণীর প্রকাশ নয় প্রগতিশীল, অসাম্প্রদায়িক, জাতীয়তাবাদী এবং সংগ্রামশীল রাজনীতি, সংগঠন ও সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। কবি তার কবিতায় যে কোনো দেশের, যে কোনো মানুষের জাগরণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। পদানত জাতিসত্তার মুক্তি নজরুলের কাছে সব সময়ই বন্দনার যোগ্যতা যে কোনো দেশের, যে কোনো আদর্শেরই হোক না কেন। নজরুল কোনো রাজনৈতিক দল বা আদর্শের দাসত্ব করেননি বলে নিপীড়িতদের সঙ্গে একাত্ম হওয়া, নিজ দেশের স্বাধীনতার জন্য অন্য দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে প্রত্যক্ষ করে তা থেকে অনুপ্রাণিত হতে পেরেছিলেন। তিনি সাম্য ও উদার মানসিকতার কবি ছিলেন বলেই পৃথিবীর যে কোনো দেশের যে কোনো বিজয়কে তার সাহিত্যের বিষয়বস্তু করতে কুণ্ঠিত হননি। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, ‘কামাল পাশা’, ‘আনোয়ার’, ‘বন্দনা-গান’, ‘চিত্তনামা’, ‘অশ্বিনী কুমার’, ‘খালেদ’, ‘চিরঞ্জীব জগলুল’, ‘আমানুল্লাহ’, ‘উমর ফারুক’, ‘রীফ সর্দার’, ‘বাংলার আজীজ’, ‘নব-ভারতের হলদিঘাট;, ‘যতীন দাস’ প্রভৃতি বীর-বন্দনামূলক কবিতা। এসব কবিতায় নজরুল তাদের শুধু বীরত্বের বন্দনাই করেননি, এসব বীরত্বগাথা প্রকাশের ভেতর দিয়ে গণজাগরণও ঘটাতে চেয়েছেন।

কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’র (১৯২২) অন্তর্ভুক্ত ‘কামাল পাশা’ ও ‘আনোয়ার’ কবিতা দুটি। তুরস্কের রাজনৈতিক ঘটনাবলী নজরুলকে অনুপ্রাণিত করে। তাই পরাধীন ভারতের স্বাধীনতা প্রত্যাশায় জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কামাল পাশা ও আনোয়ার পাশার শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের প্রশংসা ও তা থেকে দেশবাসীকে শিক্ষা গ্রহণ করার অভিপ্রায়ে রচনা করেন ‘কামাল পাশা’ এবং 'আনোয়ার' কবিতা। ‘কামাল পাশা’ কবিতাটির ভাবের মধ্যে দৃপ্ত সৈনিকের আশা-আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত। তরুণ বন্দীর প্রতীকে রচিত ‘আনোয়ার’ কবিতাটি। বন্দী তরুণ সৈনিকের কণ্ঠে নজরুল ‘আনোয়ার’-কে আহ্বান জানিয়েছেন। নজরুল রচিত কবিতা দুটি পড়ে শুধু মুসলমান নয়, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে স্বাধীনতাকামী প্রগতিশীল মুক্তি আন্দোলনের শিক্ষিত তরুণ সমাজ তাদের চেতনাকে জাগরিত করার সুযোগ লাভ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।

‘বিষের বাঁশী’র (১৯২৪) অন্তর্ভুক্ত ‘বন্দনা-গান’ গানে কবি বীরদের লক্ষ্যে বন্দনা-গীতি গেয়েছেন। অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনকালে দেশের জন্য অন্যান্য বিপ্লবী নেতার পাশাপাশি আলী ভ্রাতৃদ্বয় (মৌলানা মোহম্মদ আলী ও মৌলানা শওকত আলী) কারাবরণ করেন। গানটিতে কবি তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাদের বলিষ্ঠ চিত্তের প্রকাশ যেন সব মুক্তিকামী জাতির মধ্যে প্রকাশ পায়, এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।

অসাম্প্রদায়িক নজরুল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী দেশপ্রেমিক চিত্তরঞ্জন দাশকে (১৮৭০-১৯২৫) অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন। যে লেখনী শুরু হয়েছিল ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামে, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে, ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে সেই লেখনী বিপ্লবী যোদ্ধার স্তূতি প্রকাশে ছিল উদার মনোভাবাপন্ন। বিপ্লবী নেতা চিত্তরঞ্জন দাশের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত কবি তার বিভিন্ন মহিমা বর্ণনার উদ্দেশ্যেই রচনা করেন ‘চিত্তনামা’ (১৯২৫) কাব্যগ্রন্থ। গ্রন্থটিতে পাঁচটি কবিতা সংকলিত। সব কটিতেই দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রতি শোকাহত কবির বন্দনা।

বঙ্গভঙ্গ ও স্বদেশি আন্দোলনের যুগে বরিশালের অবিসংবাদিত নেতা, কর্মযোগী, ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমার মামলার অন্যতম আসামি অশ্বিনী কুমারের মৃত্যুতে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের আলোকে কবি রচনা করেন ‘অশ্বিনী কুমার’ কবিতাটি (১৩৩২ সালের মাঘ মাসে হুগলিতে রচিত)। কবিতাটি 'ফণিমনসা' (১৯২৭) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। বিপ্লবী আন্দোলনের এই পথিকৃৎকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনে তার বীরত্বপূর্ণ অবদান ও আত্মত্যাগের মাহাত্ম্য এবং জাতিকে এর থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।

‘জিঞ্জীর’ (১৯২৮) অন্তর্ভুক্ত ‘খালেদ’, ‘চিরঞ্জীব জগলুল’, ‘আমানুল্লাহ’ এবং ‘উমর ফরুক’ কবিতাসমষ্টি। তৎকালীন বিশ্বের, বিশেষ করে ভারতের মুসলমানদের অধঃপতিত চিত্রে ব্যথিত নজরুলের মনে জেগে উঠেছে মুসলিম বিশ্বকে জাগানোর প্রয়োজনীয়তা। তিনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন, বিশ্বের মজলুম আজ ফরিয়াদ করছে অত্যাচারের হাত থেকে ইসলাম রক্ষার জন্য। খালেদের মতো বীর সৈনিকের আজ বড় প্রয়োজন। তাই কবি ‘খালেদ’ কবিতায় (কৃষ্ণনগর, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৩৩৩) খালেদের রূপকে বলতে চেয়েছেন খালেদ যেন শত সহস্র বছরের ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে। বর্তমানে প্রয়োজন খালেদের মতো বীরের, যার নেতৃত্বে অত্যাচার, উৎপীড়ন দমন করা সম্ভব। খালেদের মতো ত্যাগী বীর সেনার ধর্মের নামে শহীদ হওয়ার দৃষ্টান্ত নজরুলকে অভিভূত, অনুপ্রাণিত ও চেতনাকে করেছে শানিত। নজরুল উপলব্ধি করেছেন ইসলামকে, মনুষ্যত্বকে পুনরুদ্ধার করতে হলে খালেদের মতো বীরের তরবারি হাতে আবার আবির্ভাব প্রয়োজন।

‘চিরঞ্জীব জগলুল’ কবিতাটি মিসরে ‘ওয়াকদ’ দল অর্থাৎ জাতীয়তাবাদী দলের জনপ্রিয় নেতা জগলুল পাশা সাদকে উপলক্ষ করে রচিত। কবিতাটি কবি রচনা করেন ১৩৩৪ সালের ১৬ ভাদ্র (সেপ্টেম্বর, ১৯২৭) তারিখে। মহান নেতার মৃত্যুতে কবি কবিতাটি রচনা করেন। মনুষ্যত্বহীন ইংরেজদের মধ্য থেকেও জগলুল পাশা যেভাবে চরম সাহসের সঙ্গে, দৃঢ়তার সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন, তা তাকে অতি মানুষের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। কবিতাটিতে কবি ভীরুতা, দুর্বলতা ও সাম্প্রদায়িক কলহে লিপ্ত জাতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জগলুল পাশার নেতৃত্বে মিসরের জাগরণের মতো আধুনিক আফগানিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা আমির আমানুল্লাহকে নিয়েও নজরুল রচনা করেছেন ‘আমানুল্লাহ’ কবিতা। কবিতাটি ১৩৩৪ সালের মাঘ মাসে (জানুয়ারি, ১৯২৮) ‘সওগাত’-এ প্রকাশিত হয়। কবি পরাধীন ভারতে মুসলিম বিশ্বে আধুনিকতার অগ্রদূত আমানুল্লাহকে স্বাগত জানাতে গিয়ে পরাধীনতার গ্লানি, বেদনাকে উপলব্ধি করে বেদনাবিদ্ধ হয়েছেন। তাই মনুষ্যত্বের স্বপ্নদ্রষ্টারূপে আমানুল্লাহ কবিকে বেশি আকৃষ্ট করেন।

‘উমর ফারুক’ কবিতায় (কলকাতা, ১৬ পৌষ, ১৩৩৪) কবি উমর ফারুক (রা.)-এর সততা, আদর্শ-নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠতা বর্তমান সমাজে যে প্রচণ্ড অভাব তা স্পষ্ট করে তুলেছেন। খলিফা উমর ছিলেন মানুষের দুঃখের সমব্যথী। তিনি একজন শাসক হয়েও সাধারণ মানুষের কাছাকাছি ছিলেন, যা নজরুলকে অনুপ্রাণিত করে। সত্যের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, জিহাদের জন্য জীবনদান, শহীদদের মর্যাদা ধর্মে সবচেয়ে বেশি। ইসলামের এ দিকটি নজরুলকে সর্বাধিক আকৃষ্ট করেছে বলেই এ কবিতায় শুধু খলিফা উমর ফারুকের মাহাত্ম্য প্রচার করেননি, বরং ইসলামের সাম্য ও সহানুভূতির প্রকাশ ঘটিয়েছেন।

মরক্কোর স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতা রিফ সরদার আবদুল করিমের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে রচনা করেন ‘রীফ সর্দার’ কবিতাটি। কবিতায় কবি আবদুল করিমের সাহস-বীরত্বকে ‘নবযুগের নেপোলিয়ন’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। কবিতাটি রচনার পেছনে মরক্কোর ইতিহাস বর্ণনা ও পরাধীন স্বদেশের গ্লানির বেদনাও ক্রিয়াশীল ছিল। কবিতাটি ‘সন্ধ্যা’ (১৯২৯) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।

‘বাংলার আজীজ’ কবিতাটিও ‘সন্ধ্যা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত। কবির এই কবিতায় শিক্ষা-দীক্ষাহীন বাংলার ঘুমন্ত মুসলিম জাতিকে জাগানোর আদর্শ প্রকাশিত। শিক্ষাহীন ঘুমন্ত জাতিকে জাগানোর জন্য আবদুল আজীজের মতো প্রগতিশীল ব্যক্তির বেশি প্রয়োজন। যে নেতৃত্ব শুধু সমাজের কুসংস্কারের পরিবর্তনই নয়, প্রয়োজনে অত্যাচারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে পারে।

‘প্রলয়-শিখা’ (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত কবিতা ‘নব-ভারতের হলদিঘাট’ এবং ‘যতীন দাস’। কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘নব-ভারতের হলদিঘাট’ কবিতাটি রচনা করেছেন বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের (১৮৮০-১৯১০) স্মৃতির স্মরণে। তিনি ১৯০৩ সালে অরবিন্দ ঘোষ ও যতীন্দ্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রেরণায় বিপ্লবী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হন এবং বিপ্লবী সংগঠন ‘যুগান্তর সমিতি’র দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সহায়তায় সর্বভারতীয় বৈপ্লবিক দলগুলো ইংরেজদের বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করে, তাতে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।

নজরুলের বীর-বন্দনার কবিতা 'যতীন দাস'। বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ দাসের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে নজরুল এই কবিতাটি রচনা করেন। বিপ্লবী যতীন দাস বন্দী বিপ্লবীদের এবং কারাগারে নির্যাতনের প্রতিবাদে আমরণ অনশন শুরু করেন। এবং চৌষট্টি দিন অনশন করার পর প্রাণত্যাগ করেন। স্মর্তব্য, নজরুলও জেলখানায় ঊনচল্লিশ দিন অনশন করেছেন। এদের বীরত্বগাঁথা কবি কাজী নজরুল ইসলামকে অনুপ্রাণিত করায় তিনি তাদের বীরত্বকে বাঙালির মধ্যে জাগানোর চেষ্টা করেছেন। কবি দেশপ্রেমিকদের বীরত্ব ও সংগ্রামের ইতিহাসের মাধ্যমে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রকৃত রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।

লেখক : প্রাবন্ধিক, সহযোগী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।