সংবাদ শিরোনামঃ

তুরস্কে জনতার বিজয় ** এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্কের জনগণ রুখে দিল সেনা অভ্যুত্থান ** সঙ্কট নিরসনে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ** ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গার ষড়যন্ত্র ** তুর্কী গণপ্রতিরোধে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থান ** রফতানি বাণিজ্যের নতুন চ্যালেঞ্জ : রাজনৈতিক অস্থিরতা ** মানবতাবাদী বিশ্ব ও সন্ত্রাসবাদী বিশ্বের মাঝখানে মুসলমানদের দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে ** সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে সবার ঐক্য : নজরুল ইসলাম খান ** তুর্কী জনগণকে অভিনন্দন ** জাতীয় স্বার্থ বনাম হুকুম তামিল করার দৌড়ঝাঁপ ** এ শিক্ষা আমাদের কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ** দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজেও হরিলুটের অভিযোগ ** দুর্ভোগের আরেক নাম পাইকগাছার কপিলমুনি শহর ** কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট : সেবা কার্যক্রম ব্যাহত ** কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা ** ইসলামী সংস্কৃতির আলোকেই হোক ঈদ আনন্দ ** বাংলা ভাগের জন্য মুসলমানরা নন হিন্দুরাই দায়ী ** কবির বিশ্বাস ** সানজিদা তাহসিনা বেঁচে থাকবে সবার মাঝে ** জাতির নিকট রেখে গেলেন অনেক প্রশ্ন **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ শ্রাবণ ১৪২৩, ১৬ শাওয়াল ১৪৩৭, ২২ জুলাই ২০১৬

মতিউর রহমান আকন্দ
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

বনু কুরাইযার এই জবাব নিয়ে প্রতিনিধিদল যখন ফিরলো  তখন কুরাইশ ও গাতফানীরা পরস্পরকে বললো, “নাঈম ইবনে মাসউদ আমাদেরকে যে খবর দিয়েছে তা অক্ষরে অক্ষরে সত্য। অতএব বনু কুরাইযাকে জানিয়ে দেয়া হোক যে, আমরা তোমাদের কাছে একজন লোকও জিম্মী হিসেবে সমর্পণ করতে রাজী নই। যুদ্ধ করার ইচ্ছা থাকলে এসে যুদ্ধ করো।” কুরাইশ ও গাতফানীদের এ জবাব নিয়ে পুনরায় বনু কুরাইযার কাছে দূত গেলে বনু কুরাইযার নেতারা পরস্পরকে বললো, “দেখলে তো নাঈম যা বলেছে তা সম্পূর্ণ সত্য। কুরাইশ ও গাতফানীরা শুধু যুদ্ধই চায়। আমাদের ভালোমন্দ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা যদি লাভবান হয় তাহলে তো তাদেরই স্বার্থ উদ্ধার হলো। অন্যথায় তারা আমাদেরকে মুহাম্মদের হাতে অসহায়ভাবে রেখে নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবে।”

কাজেই তারা কুরাইশ ও গাতফানীদের জানিয়ে দিল যে, “যতক্ষণ না তোমরা আমাদের হাতে জিম্মী না দেবে ততক্ষণ আমরা তোমাদের সহযোগী হয়ে মুহাম্মদের সাথে যুদ্ধ করবো না।” এভাবে তারা গাতফান ও কুরাইশদের প্রস্তাব চূড়ান্তভাবে প্রত্যাখ্যান করলো এবং শত্রুদের ভেতরে আল্লাহ কোন্দল সৃষ্টি করে তাদেরকে পর্যুদস্ত করে দিলেন। তদুপরি সেই প্রচণ্ড শীতের রাতে আল্লাহ তাদের ওপর অত্যন্ত ঠাণ্ডা বাতাস প্রবাহিত করলেন। সে বাতাস তাদের তাঁবু ফেলে দিল এবং রান্নার আসবাবপত্র তছনছ করে দিল।

কোরায়েশ বাহিনীর দৈন্যদশা

রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট তাদের এই কোন্দল ও বিভেদের খবর পৌঁছলে তিনি সাহাবী হুযাইফা ইবনুল ইয়ামানকে রাতের বেলা শত্রুদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার জন্য পাঠালেন।

মুহাম্মদ ইবনে কাব কুরায়ী থেকে বর্ণিত, জনৈক কুফাবাসী সাহাবী হুযাইফা ইবনে ইয়ামানকে জিজ্ঞেস করলো, “আপনি কি রাসূলুল্লাহকে (সা.) দেখেছেন ও তাঁর সাহচর্যে থেকেছেন?” তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ সে বললো, “আপনারা তাঁর সাথে কি রকম ব্যবহার করতেন।” হুযাইফা বললেন, “আমরা তাঁর জন্য যথাসাধ্য পরিশ্রম করতাম।” কুফাবাসী লোকটি বললো, “খোদার কসম, আমরা যদি তাঁকে জীবিত পেতাম তাহলে তাঁকে মাটিতে হেঁটে চলতে দিতামনা, বরং ঘাড়ে চড়িয়ে রাখতাম।” হুযাইফা (রা.) বললেন, ভাতিজা, শোনো। রাসূলুল্লাহর (সা.) সাথে আমরা পরিখায় ছিলাম। তিনি রাতের একাংশ নামাজ পড়ে কাটালেন। পরে তিনি আমাদের দিকে ফিরে তাকিয়ে বললেন, “তোমাদের মধ্যে এমন কে আছে যে শত্রুদের গতিবিধির খোঁজ নিয়ে আবার ফিরে আসতে পারে? আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি, সে যেন জান্নাতে আমার সাথী হয়।” রাসূলুল্লাহ (সা.) কাজ সেরে ফিরে আসার শর্ত আরোপ করছিলেন। মুসলমানদের মধ্যে কেউ-ই ভয়, শীত ও ক্ষুধার দরুণ যাওয়ার শক্তি পাচ্ছিলোনা। কেউ যখন প্রস্তুত হলো না তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাকে ডাকলেন। ফলে আমাকে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতেই হলো। তিনি বললেন, “হে হুযাইফা, যাও শত্রুদের ভেতরে যাও, তারপর দেখো তারা কি করছে। আমাদের কাছে ফিরে না এসে তুমি কোনো কিছু ঘটিয়ে বসোনা যেন।”

এরপর আমি গেলাম এবং সন্তর্পণে শত্রু বাহিনীর ভেতরে ঢুকে পড়লাম। তখনো বাতাস ও আল্লাহর অদৃশ্য সৈন্যরা তাদেরকে হেস্তনেস্ত করে চলেছে। তাদের তাঁবু ও রান্নার হাঁড়ি পাতিল সবই লণ্ডভণ্ড হ’য়ে গেছে এবং আগুন নিভে গেছে।

তখন আবু সুফিয়ান তাদের বললো, “হে কুরাইশগণ, তোমরা প্রত্যেকে নিজের আশেপাশে খেয়াল করে দেখো, অন্য কেউ আছে কিনা।” একথা শোনার পর আমিই প্রথম পার্শ্ববর্তী লোকের গায়ে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি কে?” সে বললো, “অমুকের ছেলে অমুক।”

পরে আবু সুফিয়ান আরো বললো, “হে কুরাইশগণ, তোমরা যে স্থানে অবস্থান করছো সে স্থান আর অবস্থানের যোগ্য নেই। আমাদের উট-ঘোড়াগুলো মরে গেছে। আর বনু কুরাইযা আমাদেরকে পরিত্যাগ করেছে। আমরা যা অপছন্দ করি তারা তাই করেছে। প্রচণ্ড ঝড় বাতাসে আমাদের কি দশা হয়েছে তা দেখতেই পাচ্ছ। আমাদের রান্নার সাজ-সরঞ্জাম, তাঁবু ইত্যাদি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এমনকি আগুনও নিভে গেছে। অতএব তোমরা সবাই নিজ বাড়ি অভিমুখে যাত্রা করো। আমি রওনা হচ্ছি।”

একথা বলেই সে তার উটের দিকে এগিয়ে গেল। উটটি ছিল বাঁধা। সে সেটির পিঠে উঠে বসলো। অতঃপর সেটিকে আঘাত করলো। তিনবার আঘাত করার পর সেটি লাফিয়ে উঠলো। উটটার বাঁধন খুললেও সেটি দাঁড়িয়েই ছিল। রাসূলুল্লাহ (সা.) যদি আমাকে নির্দেশ না দিতেন যে, “ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো কিছু ঘটিয়ে বসবে না” তাহলে আমি ইচ্ছা করলেই তাকে হত্যা করতে পারতাম।

হুযাইফা বললেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কাছে ফিরে গেলাম। তখন তিনি একটি ইয়ামানী কম্বল গায়ে জড়িয়ে নামাজ পড়ছিলেন। নামাজের মধ্যেই তিনি আমাকে দেখে পায়ের কাছে টেনে নিলেন এবং কম্বলের একাংশ আমার গায়ের উপর তুলে দিলেন। এই অবস্থায়ই তিনি রুকু ও সিজদা করলেন। সালাম ফিরানোর পর আমি তাঁকে শত্রুদের সব খবর জানালাম।

গাতফানীরা কুরাইশদের ফিরে যাওয়ার কথা জানতে পেরে স্বদেশ ভূমির পথে রওনা হলো।

সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ (সা.) ও মুসলমানগণ পরিখা ত্যাগ করে মদীনায় চলে গেলেন এবং অস্ত্র রেখে দিলেন।

ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত খন্দক পার হয়ে ধীরে ধীরে আমরা সালআ পাহাড়ের উপর উঠে গেলাম। ইতোমধ্যে অনেক দর্শনার্থী সমবেত হয়েছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছেন তাঁরা, দেখলাম শূন্য প্রান্তরের দিকে তাকিয়ে বিপুল ইতিহাসের পাতা ওল্টাবার মতো অবসর এবং মানসিকতা কারো মধ্যেই নেই, সকলেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে সানুদেশ থেকে বিস্তারিত ইটপাথরের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাচ্ছেন। সালআ পর্বতের চূড়ায় রয়েছে সেই বিখ্যাত ‘মসজিদ এ ফাত্হ’, খন্দকযুদ্ধে ফাত্হ অর্থাৎ বিজয় হলে সেই স্মৃতিকে চিহ্নিত করে রাখার জন্যে পর্বতচূড়ায় নির্মিত হয় এই মসজিদ। অনেকে বললেন, যুদ্ধকালীন সময়ে তিনদিন এখানে বসেই গভীর নামাজে মগ্ন ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.)। মসজিদের সঙ্গে সে পুণ্যস্মৃতিও জড়িয়ে আছে হয়ত। মসজিদে প্রবেশ করে আমরা দু’রাকাত নামাজ পড়লাম। সালআ পর্বতের ঠিক নিচে খন্দকের গা ঘেঁসে রয়েছে আরো একটি à¦¸à¦®à¦œà¦¿à¦¦Ñ à¦à¦•à¦œà¦¨ বললেন খন্দকের রূপকার সালমান ফারসীর মসজিদ। কতকাল আগের তৈরি, অথচ এখনো সবকিছু ঠিকঠাক, হয়ত কিয়ামত পর্যন্ত এগুলি থাকবে। ইমান অবিনশ্বর, ইমানের সঙ্গে সম্পর্কিত সকল কিছুই সম্ভবত: কোন না কোন ভাবে অমর হয়ে যায়।

বনি কুরাইযার দুর্গাক্রমণ

সমকালীন মদীনায় যতগুলো কেল্লা ছিল, বনু কুরাইযার দুর্গটি ছিল সর্বাধিক সুদৃঢ় এবং সুরক্ষিত। তা ছাড়া তাদের ছিল আধুনিকতম অস্ত্রশস্ত্র, লোকবলেরও অভাব ছিল না। উপরন্তু মুসলমানদের সঙ্গে যদি কোনোদিন যুদ্ধবিগ্রহ বেঁধে যায়, খায়বার থেকে প্রতিশোধ নিতে দলে দলে ছুটে আসবে নির্যাতিত ও নির্বাসিত ইহুদি à¦¸à¦®à§à¦ªà§à¦°à¦¦à¦¾à§ŸÑ à¦¬à¦¨à¦¿ নাজির কওমের লোকেরা। সুতরাং বিপর্যস্ত ও লাঞ্ছিত অবস্থায় সম্মিলিত মুশরিকবাহিনী ফিরে গেলেও, বনি কুরাইযার প্রতিটি ইহুদি মুসলিমবিরোধিতায় উদ্ধত হয়ে রইল। তাদের মধ্যে কোনোরকম নমনীয়তা দেখা গেল না, সমঝোতার পথে পা বাড়াল না তারা। চুক্তিভঙ্গ করার জন্যে অনুশোচনা তো দূরের কথা, বরং সদর্পে অহঙ্কারীর মতো বুক ফুলিয়ে তারা কেল্লার চারপাশে টহল দিতে শুরু করল।

রৌদ্রঝলমল পরিবেশে সাহাবীদের সঙ্গে নিয়ে জিহাদের ময়দান থেকে মধ্যাহ্নের কিছু পূর্বেই মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলেন আশিসপ্রাপ্ত সফল সিপাহসালার নবী করিম (সা.)। বুখারী শরীফের হাদিসে দেখতে পাচ্ছি: উম্মুল মুমেনিন হজরত আয়েশা (রা.)-র গৃহে অস্ত্রশস্ত্র রেখে যুদ্ধবেশ পরিত্যাগ করে ধূলিধূসরিত মলিন অবস্থা দূর করে সবে গোসলসমাপ্ত করেছেন, এমন সময় হজরত দাহইয়ায়ে কালবী (রা.)-এর অবয়বে হঠাৎ জিবরাইল (আ:)-এর আবির্ভাব। আয়েশা (রা.) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা.) যখন খন্দকযুদ্ধ শেষে ফিরে এসে অস্ত্রশস্ত্র রেখে গোসল করে ধূলিবালি দূর করলেন, ঠিক তখন জিবরাইল ধূলিমলিন উস্কু খুশকু বেশে হাজির হয়ে বললেন, আপনি অস্ত্র ত্যাগ করেছেন, কিন্তু আল্লাহর শপথ আমি অস্ত্রত্যাগ করিনি। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, কোথায় যেতে হবে? তিনি বনি কুরাইযার প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, এদিকে।” (বুখারী শরীফ: ২৬০৩)

সাহাবায়ে কেরামদের প্রতি সমব্যথী হুযুর আকরাম (সা.) বললেন, সকলেই ভীষণ ক্লান্ত, শ্রান্ত এবং ক্ষুধার্ত। মাঝে কিছু সময় পেলে ভালো হত। হজরত জিবরাইল আমিন বললেন, আল্লাহ আপনাকে বনি কুরাইযাকে আক্রমণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমি এবং আমার বাহিনী সম্মিলিত মুশরিকদলকে হামরাউল আসাদ পর্যন্ত বিতাড়িত করে দিয়ে এসেছি। এখন আমার বাহিনীকে নিয়ে আমি চললাম বনি কুরাইযার দুর্গের দিকে, সকলকে নিয়ে আপনি এ মুহূর্তেই আমাদের পশ্চাদ্ধাবন করুন। এ যুদ্ধে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর অশ্ব ছিল শ্বেত এবং কালো বর্ণের, তাঁর শিরে ছিল পাগড়ি। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, বনি কুরাইযার কেল্লার দিকে বনি গুনাম কওমের মহল্লার উপর দিয়ে যাত্রাকালে “তাঁর (জিবরাইল (আ.)) বাহিনীর  (ফেরেশতাদের) পদাঘাতে বনি গুনাম গোত্রের এলাকায় উত্থিত (আসন্নসন্ধ্যার) গোধূলি এখনো যেন দেখতে পাই।” (বুখারী শরীফ: ৩৮১২)

হজরত জিবরাইল আমিন মারফত আল্লাহ পাকের আদেশ পেয়ে সাহাবাদের প্রতি জরুরি নির্দেশজারি করলেন সাইয়েদুল মুরসালিন (সা.) তোমরা সকলে বনি কুরাইযার উদ্দেশ্যে যুদ্ধের জন্য যাত্রা কর এবং “বনি কুরাইযা গোত্রের এলাকায় পৌঁছানোর আগে আসরের নামাজ পড়বে না, বরং সেখানে পৌঁছে আসরের নামাজ পড়বে।” (বুখারী শরীফ : ৩৮১৩) নির্দেশের কঠোরতা থেকেই সাহাবীরা আদেশের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারলেন। সুতরাং সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তুত হয়ে গেলেন তাঁরা।

(চলবে)

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।