রেজি : ডিএ ৫১৭ ॥ ৬৩ বর্ষ : ৬ষ্ঠ সংখ্যা ॥ ঢাকা, শুক্রবার, ২0 বৈশাখ ১৪৩১ ॥ ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী ॥ ৩ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : দেশে প্রতি বছর গড়ে চালের উৎপাদন হচ্ছে প্রায় চার কোটি টন। উৎপন্ন এসব চালের মধ্যে নষ্ট ও অপচয় হচ্ছে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টন। মূলত চালের পলিসিং ও ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার মাধ্যমেই এসব চাল নষ্ট হচ্ছে। এ ধরনের অপচয় রোধ করা গেলে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর চাল রপ্তানি করা সম্ভব হবে।
গত ২৮ এপ্রিল রোববার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত পুষ্টিভাত কনভেনশনে এসব তথ্য উপস্থাপন করা হয়। বলা হয়, চালকলে চালের পলিসিং বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি বসাভাত খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যার মাধ্যমে ভাতের মাড় ফেলা বন্ধ হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. খুরশিদ জাহান।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাদ্যবিজ্ঞান গবেষক ও মাড়ের ধৃতিমান চিহ্নিতকারী গাজী রফিক। নিজের গবেষণার নানা বিষয়বস্তুর আলোকে তিনি বলেন, দেশের চাল পলিশিংয়ের মাধ্যমে ১৫-২০ শতাংশ চাল নষ্ট করা হচ্ছে। ফলে গড়ে প্রায় ১৫ শতাংশ চালের অপচয় হিসাবে নিলে গত বছর প্রায় ৬০ লাখ টন চাল নষ্ট হয়েছে।
অন্যদিকে ভাতের মাড় ফেলে দেওয়ার কারণে চালের ১৫ শতাংশ নষ্ট হয়। এর মাধ্যমে আরো ৬০ লাখ টন চাল নষ্ট হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশের প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টন চাল নষ্ট হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল বলেন, ‘কয়েক দশক ধরে আমরা চালের ওপর এক ধরনের অত্যাচার করছি। চালের সব ধরনের পুষ্টি উপাদান ফেলে দিয়ে আমরা ঝুঁকিযুক্ত খাবারটি গ্রহণ করছি।
এর মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াচ্ছি। এছাড়া অন্যান্য রোগের ঝুঁকিও বাড়াচ্ছি। এজন্য প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। এ অন্দোলনে প্রতিটি পরিবারকে যুক্ত হতে হবে।’
বর্তমানে দাবদাহ নিয়ে কৃষকদের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ধান উৎপাদনে কৃষককে বাড়তি সেচ দিতে হবে। এজন্য কৃষকের ধান উৎপাদনে খরচ বাড়বে। বর্তমানে যে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যৌক্তিক নয়। প্রতি মণ ধানের ন্যূনতম মূল্য এক হাজার ৫০০ টাকা হওয়া প্রয়োজন। সেটি না পেলে ধানের উৎপাদনে আগামী বছর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে ধানের উৎপাদন খরচ বাড়লে চালের দাম বাড়তে পারে। এজন্য দেশের চার কোটি মানুষের জন্য কম দামে চাল সরবরাহ করতে হবে। ফলে ভোক্তা ও কৃষক উভয়কেই সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে।



অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।