সংবাদ শিরোনামঃ

আইনের ব্যাপকতা ও বাধ্যবাধকতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ** সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় ** আওয়ামী লীগে প্রবল সাংগঠনিক বিপর্যয়; শীর্ষ নেতৃত্বে বিভাজন অত্যাসন্ন ** ঢাবি জাবি রাবি চবি’র চার ভিসি অবৈধ! ** নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ** জাসদই তাহলে মুজিব হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল! ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** ৮০০ রাইস মিলের চালের দুনিয়া এখন খাজানগর গ্রাম ** আইনের শাসন পরিপন্থী অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** আদর্শ জননীরূপে একজন নারী **

ঢাকা শুক্রবার ৩০ চৈত্র ১৪১৮, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৩, ১৩ এপ্রিল ২০১২

মিয়ানমারে নতুন যুগের সূচনা

সুচির সামনে গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ

॥খন্দকার মহীউদ্দীন আহমদ॥

মিয়ানমারের সদ্য সমাপ্ত উপ-নির্বাচনে সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি বিশাল জয় পেয়েছে। উপ-নির্বাচনের ৪৪টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আসনে এনএলডি জয়লাভ করেছে। ১টি আসনে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ায় তারা অংশগ্রহণ করতে পারেনি। সেইদিক থেকে তারা শতভাগ বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচনের পর ইয়াঙ্গুনে এনএলডির প্রধান কার্যালয়ে সমবেত নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে অং সান সুচি বলেন, ‘এটা যতটা না আমাদের বিজয় তার চেয়ে অনেক বেশি দেশের জনগণের বিজয়। তারাই তো এ দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’। সুচি বলেন, উপ-নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মিয়ানমার নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। নির্বাচনে ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির বিজয় ‘জনগণের বিজয়’। এখন অন্য দলগুলোর সাথে মিলে মিশে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, এটা হলো মিয়ানমারের নতুন যুগের সূচনা। সুচি বলেন, যেসব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই দেশে সত্যিকারের একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আমাদের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে। মিয়ানমারের ১ এপ্রিলের উপ-নির্বাচনকে চলমান রাজনৈতিক সংস্কারের সফলতার ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখা হয়েছে। সুচির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও দল হিসেবে এনএলডির কার্যক্রম শুরুর পর এটাই ছিল প্রথম নির্বাচনে অংশগ্রহণ। এ জন্য বিশেষভাবে মুক্ত বিশ্বের নজর ছিল এই নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি। নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হয়েছে। ফলাফল বিবেচনায় ক্ষমতাসীন দলের এই দাবির প্রতি এখন কোনো পক্ষেরই বিরূপ প্রতিক্রিয়া নেই। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারী ক্লিনটন মিয়ানমার সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন,  যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর থেকে অর্থনৈতিক ও ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মিয়ানমারের সংস্কার কার্যক্রমে সমর্থন অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া  সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে বেশকিছু ক্ষেত্রে তারা মিয়ানমারের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূত টমাস ওজেবা এক বিবৃতিতে বলেন, ২০১০ সালের নির্বাচনে বিতর্কিত একটি সুযোগ হারিয়েছে, এই নির্বাচন সেই ভুল সংশোধন করার সুযোগ এনেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এক বৈঠকে মিয়ানমারের সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রশংসা করেন। জোট নেতারা এই নির্বাচনের পর মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেও পশ্চিমা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আসিয়ানের বর্তমান চেয়ারম্যান কম্বোডিয়ার পর্যবেক্ষকরা উপ-নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছেন। আসিয়ানের মহাসচিব সুরিন পিতসুয়ান বলেন, এই নির্বাচন মিয়ানমারকে ঐক্যবদ্ধ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আবারো একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। তিনি নির্বাচনকে দীর্ঘ যাত্রার প্রথম ধাপ বলেও মন্তব্য করেন। উল্লেখ্য যে, গণতন্ত্র উত্তরণে সংস্কার পদক্ষেপ গ্রহণের পুরস্কার হিসেবে গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে ২০১৪ সালে মিয়ানমারকে জোটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়। এর আগে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল এনএলডি। কিন্তু সামরিক জান্তা দলটির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। ২০১০ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে এক হাজারের বেশি আসনের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন দল ৮৮৩টি আসনে জয়ী হয়। ঐ নির্বাচনে আইনি জটিলতার কারণে অংশ নেয়নি এনএলডি। উপ-নির্বাচনে এনএলডি সবকটি আসনে জিতলেও সেনা সমর্থিত বর্তমান সরকারের জন্য সমস্যা বা সঙ্কট সৃষ্টি হবে না। ৬৬৪টি আসনের পার্লামেন্টে তাদের রয়েছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা। তবে সরকার চাপের মুখে থাকবে, কেননা উপনির্বাচনে সুচি ঈর্ষণীয় সাফল্য পেয়েছেন। সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ফলাফল কি হতো তা উপ-নির্বাচনই বলে দিয়েছে। তাই ক্ষমতাসীন দলকে এখন রাজনৈতিক কৌশলও বদলাতে হবে। লক্ষণীয় বিষয় হলো, নতুন রাজধানী নেপিডোর ৪টি আসনের সবকটিতেই এনএলডি জয়ী হয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা সরকারি কর্মচারী। জান্তা সমর্থিত সরকারি দল অবশ্য আশা করেছিল এ আসনগুলোতে তারাই জিতবে। এ ফলাফলের মধ্যদিয়ে সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মনোভাবও স্পষ্ট হলো। তারা যে জান্তা সরকারের সমর্থক নয় এই ম্যাসেজও সুচিকে দিতে কুণ্ঠা বোধ করেনি। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় তারাও পথিক তা বুঝাতে সুচির এখন কষ্ট হবে না।

সেনা সমর্থিত সরকার সুচিকে গুরুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবছে। সুচির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায় ও ধারাবাহিকভাবে সমর্থন ধরে রাখাই এর উদ্দেশ্য। তাদের ধারণা তাদের এই কৌশল পশ্চিমাদের সহযোগিতা পেতে ফলপ্রসূ হবে। তবে সুচি নিজে মন্ত্রিত্ব গ্রহণে রাজি নন। কেননা এর ফলে তাকে পার্লামেন্টের সদস্য পদ ছাড়তে হবে। উপ-নির্বাচনে বিজয়ের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যার জন্য আমার এত সংগ্রাম সেই পার্লামেন্ট ছাড়ার কোনো ইচ্ছা আমার নেই।’ তবে তিনি ইঙ্গিত দেন দেশের জাতিগত সংঘাত নিরসনে তিনি অন্য যে কোনো ভূমিকা নিতে পারেন। মন্ত্রিত্ব গ্রহণের চেয়ে পার্লামেন্টের সদস্য হিসেবে জনগণের সংস্পর্শে থাকাই সুচির মঙ্গলজনক। কেননা তাকে অনেক কাছে পেতে চায় জনগণ। জনগণের কাছে তার যে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত ধরে থাকতে হলে এর কোনো বিকল্প নেই। যখন তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নিজে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোতে পারবেন। মিয়ানমারে নিযুক্ত জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা রিচার্ড হোর্সে এ বিষয়ে যথার্থই বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশাকে বাস্তবে রূপ দেয়াটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মিয়ানমারের মতো দরিদ্র দেশে মানুষের দুরবস্থা লাঘব করা এবং টেবিলে খাবার, শিশুদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করাই হচ্ছে এখনকার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সুচি প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এখন তার অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।

মিয়ানমারের স্বাধীনতার নায়ক জেনারেল অং সানের মেয়ে এনএলডি নেতা অং সান সুচি পড়াশোনা করেছেন অক্সফোর্ড  ইউনিভার্সিটিতে। বিয়ে করেছেন ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ মাইকেল অ্যারিসকে। ১৯৮৮ সালে মায়ের অসুস্থতার সংবাদে দেশে ফিরলে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সে সময়ে সামরিক বাহিনীর নির্বিচার অপারেশনে ৩ হাজার মানুষ মারা যায়। এরপর সামরিক জান্তা সুচিকে ১৯৮৯ সালে গৃহবন্দী করে ফেলে আর এভাবেই কেটেছে দুই দশক। তিনি গৃহবন্দী থাকাকালে ১৯৯০ সালের নির্বাচনে তার দল এনএলডি বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করলেও তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়নি সামরিক জান্তা। জীবনের বড় সময়টা তার কেটেছে চার দেয়ালের অভ্যন্তরে। ১৯৮০’র দশকে অনেকটা দুর্ঘটনাক্রমেই রাজনীতিতে সুচির আগমন আর পরবর্তীতে বেশি সময় তিনি কাটিয়েছেন গৃহবন্দী অবস্থায়। সর্বশেষ ২০১০ সালের নভেম্বরে তিনি মুক্তি পান আরেক নির্বাচনের পূর্বে। ১ এপ্রিলের উপ-নির্বাচনে সুচির দল সরকারি দলের বিপরীতে পার্লামেন্টে বড় শক্তিধর না হলেও বর্তমান বাস্তবতায় মিয়ানমারের  ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনের নায়ক হিসেবেই বিবেচিত হবে। প্রকৃতপক্ষে নতুন মিয়ানমারের ইতিহাসে এই নির্বাচনই মোড় ফেরানোর বড় ঘটনা হিসেবে দেখা হবে। কেননা মিয়ানমারের মানুষ এখন ভয় থেকে মুক্তি পেয়েছে। এই নির্বাচনের প্রেক্ষাপটেই মিয়ানমারের মানুষ সামরিক জান্তা ও শাসক দলের ভয় ও ভীতি থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথমবারের মতো খোলা হাওয়ায় শ্বাস নিতে পেরেছে। বছর খানেক আগেও যেখানে সুচির দলীয় প্রতীক দেখলেও জেলে যেতে হতো সেখানে মিয়ানমার জুড়ে সর্বত্র শোভা পাচ্ছে এনএলডির পতাকা ও সুচির ছবি সংবলিত টি শার্ট। জনগণের ইচ্ছা শক্তির এমন খোলামেলা বহিঃপ্রকাশ ও সাহসিকতা মিয়ানমারের নতুন ইতিহাস রচনায় সাক্ষ্য বহন করবে।

মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ কি? কি ঘটতে যাচ্ছে মিয়ানমারে? মিয়ানমার কি খুব তাড়াতাড়ি বদলে যাবে? অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও পর্দার অন্তরালে জেনারেলরা কি সত্যি সত্যিই মিয়ানমারের গণতন্ত্রায়ণ ও পরিবর্তনকে স্বাগত জানাবেন? তারা কি অন্তর থেকে সুচির ঈর্ষণীয় সাফল্যকে মেনে নিয়েছেন? এ জাতীয় নানা প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মাথায়। বলা হচ্ছে, নানান কলাকৌশল করে ক্ষমতার বাগডোর ও রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ জেনারেলরা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বদ্ধপরিকর। কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে পার্লামেন্টে জেনারেলদের সমর্থিত দল ইউএসডিপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাশাপাশি সাংবিধানিকভাবে সংসদে সামরিক বাহিনীর জন্য সংরক্ষিত এক-চতুর্থাংশ আসন প্রাপ্তির নিশ্চয়তা। পার্লামেন্টে সামরিক বাহিনীর সরব উপস্থিতি নিঃসন্দেহে গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী ও অশুভ বার্তা বহন করছে এর পেছনে। উপ-নির্বাচনের পূর্বে সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হারিং সংবিধান অক্ষুণœ রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। অর্থাৎ তিনি বার্তা দিয়েছেন যে, সেনাবাহিনী সংরক্ষিত আসন ছাড়তে রাজি নন। নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে সুচি সেনা প্রধানের বক্তব্যের জবাব এই বলে দিয়েছেন যে, ‘সেনাবাহিনীকে অবশ্যই বুঝতে হবে দেশের ভবিষ্যৎ মানেই তাদেরই ভবিষ্যৎ, দেশের সরকার মানেই তাদেরই সরকার।’ তবে নির্বাচন পরবর্তী এক সাক্ষাৎকারে ক্ষমতাসীন ইউএসডিপির মহাসচিব হিতাই উ বলেন, তাদের দলে পরিবর্তন দরকার। তিনি বলেন, ২০১৫ সালের নির্বাচনে ভরাডুবি ঠেকাতে তারা অবশ্যই নিজেদের পুনর্গঠিত করবে। সে ক্ষেত্রে গণতন্ত্রপন্থী ভাবনা ও রাজনীতি চালু করবে। দলের অন্য এক নেতা বলেন, যেসব  ক্ষেত্রে আমাদের সংশোধন হওয়া দরকার আমরা সংশোধিত হবো। আমাদের যা করণীয় আমরা তাই করবো। এখন সুচিকেই ভাবতে হবে তিনি কোন পথে দেশকে নিয়ে যাবেন। তার কাছে জনগণের প্রত্যাশাও যেমন অনেক, তেমনই চ্যালেঞ্জও রয়েছে বিস্তর। বাস্তবে জনগণের প্রত্যাশা পূরণই এখন সুচির জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সুচিকে আরো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। সেজন্য সংঘর্ষ নয় সমঝোতার পথই উত্তম পথ। সুচি তার ক্যারেসম্যাটিক নেতৃত্বের মাধ্যমে ভীত সন্ত্রস্ত একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলতে যে অসাধারণ যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন এতে আশা করা যায় তিনিই মিয়ানমারকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে সক্ষম এবং জনগণের প্রত্যাশা পূরণে তিনি সফলকাম হবেন। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রত্যাশাও অনেক। বাংলাদেশ সরকারকে মিয়ানমারের সাথে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। মিয়ানমার ২০১৪ সালে আসিয়ানের চেয়ারম্যান পদ লাভ করবে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি মাথায় রেখে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক পুনঃস্থাপন বিশেষ করে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে। মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমার বিষয়টি নিষ্পত্তির পর পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তাকে কাজে লাগাতে হবে।

লেখক : কলামিস্ট ও বিশ্লেষক। ঊসধরষ : সড়যরথধযসধফ১৫@ুধযড়ড়.পড়স

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।