সংবাদ শিরোনামঃ

আইনের ব্যাপকতা ও বাধ্যবাধকতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ** সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় ** আওয়ামী লীগে প্রবল সাংগঠনিক বিপর্যয়; শীর্ষ নেতৃত্বে বিভাজন অত্যাসন্ন ** ঢাবি জাবি রাবি চবি’র চার ভিসি অবৈধ! ** নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ** জাসদই তাহলে মুজিব হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল! ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** ৮০০ রাইস মিলের চালের দুনিয়া এখন খাজানগর গ্রাম ** আইনের শাসন পরিপন্থী অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** আদর্শ জননীরূপে একজন নারী **

ঢাকা শুক্রবার ৩০ চৈত্র ১৪১৮, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৩, ১৩ এপ্রিল ২০১২

ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ

‘ঝড় এলো এলো ঝড় আম পড় আম পড়’ আম গাছের নিচে বসে এমনতরো স্লোগান নিয়ে আম কুড়োনোর মজা যে কত রোমাঞ্চকর তা অভিজ্ঞ বক্তি ছাড়া অনুভব করতে পারবে না। গ্রাম্য জীবনে কৈশোরের উচ্ছ্বলতা ও দুরন্তপনার সাথে কাঁচা-পাকা আম কুড়োনোর স্মৃতি হৃদয় থেকে এখনো মুছে ফেলতে পারিনি। বিশেষ করে ডালভাঙ্গা ঝড়ের পরে আমতলার হৈচৈ একটি অন্যরকম মজা। সেই মজার বন্যা বয়ে আনে বছরের নতুন ঋতু গ্রীস্ম। মুলত বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাস নিয়েই এ ঋতুর অবয়ব তৈরি। বছরের প্রথম মাস হিসেবে এর আলাদা একটা আদর-কদরও জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের কাছে লক্ষণীয়। বিশেষ করে মানুষ যখন অপসংস্কৃতির হাত থেকে বাঁচার প্রয়াসে মাটির সংস্কৃতির কাছাকাছি যাওয়ার প্রয়াস চালাচ্ছে তখনও বিশেষ গোষ্ঠী আধুনিকতার মোড়কে এ উৎসবটাকেও শিরকবাদের দিকে ঝুঁকে দেয়ার সকল পরিকল্পনা সফলতার সাথে বাস্তবায়িত করছে। জাতির জন্য এটা কতটা কল্যাণ আর অকল্যাণ বয়ে আনতে তা বিশ্লেষণ করার জন্যে গবেষণার দরকার নেই একটুখানি চোখ কান খোলা রাখলেই যথেষ্ট।

আলিম সমাজে বৈশাখ পালনের বিষয়ে নানা মত লক্ষণীয়। অনেকে ঢালাওভাবে বাংলা নববর্ষকে একত্ববাদী সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ইচ্ছাকৃতভাবে শিরকবাদী সংস্কৃতির সাথে মিলিয়ে দেন। এমনকি বাংলা নববর্ষকে অংশীবাদী সংস্কৃতিরই উৎসব বলে চালিয়ে দেয়ার প্রবণতাও বেশ জোরেশোরে লক্ষণীয়। কেউ কেউ আবার এ ধরনের আলোচনায় সংকীর্ণ মানসিকতার গন্ধ শোকেন। তারা খানিকটা নীরব থেকে না দেখার ভান করেন। আর কেউবা মনে করেন এটা নিয়ে আলোচনারই বা প্রয়োজন কি? হাতেগোনা দু-চারজন ব্যক্তি মনে করেন এটাকে একটা নিছক নির্মল আনন্দের দিন হিসেবে উপস্থাপন করা উচিত। বিশ্বাসী মহলের এমন দুর্বল চিন্তা ও বির্তকের মাঝেই ইতোমধ্যে এটি এখন একটি বাঙালির খুশির অনুষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। চৈতালী খরা যখন মানুষের পকেটকেও অর্থশূন্য করেছে তখনও ঋণ করে হলেও এ উৎসবের কেনাকাটা নিয়ে বাজারে বাজারে ভিড়ের মাতম। একদশক আগে এটা রাজধানীতে জমজমাট অবস্থায় চলে এলেও এখন শুধু বিভাগীয় শহর নয়, গ্রামে-গঞ্জেও ছড়িয়ে পড়েছে এর ঢেউ। নিজেদের আধুনিকতার সাথে খাপ খাওয়াতে হলে বৈশাখী ফ্যাশনের সাথে মিলিত হতেই হবে। এমন মানসিকতা এখন শিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরোপুরিভাবে চলে এসেছে।

হুজুগে বাঙালি বলে একটা কথা বেশ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আমাদের সমাজে। আমরা নিজেরা হুজুগে পড়ে যাই আবার নিজেরাই নিজেদের এ নামে সম্বোধন করি। বিনোদনের মাধ্যমগুলো যখন বিদেশি আগ্রাসনের শিকার তখন কিছু দেশপ্রেমিক মানুষ নির্মল দেশজ অনুভূতির উন্মোচন করতে আমাদের স্বকীয় সংস্কৃতির বিকাশে মনোনিবেশ করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে মহৎ উদ্যোগ। কিন্তু আমরা মনে হয় খুব সচেতনতার সাথে এ কাজটি করতে পারিনি। যাদের থেকে নিজেকে আলাদা করতে শেকড়ের সন্ধানে বেরিয়ে এলাম আবারো তারাই আমাদের মাথার উপর ভর করেছে অদৃশ্যের শক্ত হাতে ভর দিয়ে। শেকড়ের নামে আমাদের নিয়ে যাচ্ছে টিপচন্দন, উলুধ্বনি, প্রাণীপূজা আর মুখোশ কালচারে। আজ বৈশাখী মেলার নামে বইছে বিশ্বাসের বৈরি বাতাস; চলছে উলঙ্গ সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা, যুবক-যুবতির নির্লজ্জ মেলামেশা, বটমূলে বসে কপোত কপোতির পান্তা খাওয়ার নামে অশ্লীলতার স্রোত বওয়া, প্রগতির নাম করে অশ্লীলতার বিষবাষ্প ছড়ানো, বাঙালি সংস্কৃতির নাম করে বিশ্বাস বিরোধী ও চরিত্র বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড; যা কোনো কোনো ধর্মের আবরণে পরিচালিত হয়ে থাকে। মিডিয়া ও ফ্যাশন হাউসগুলোর অতি উৎসাহী কর্মসূচি এ ধারায় যেমন মানব সম্পৃক্ততা সম্প্রসারিত করছে তেমনি যে বৈরি হাওয়ার ভয়ে শেকড়ের সন্ধানের প্রয়াস, সেই হাওয়া ধুম্মাচালে দোলা দিচ্ছে ভিন্ন কৌশলে। এর ব্যাপারে কোনো কথা বললেই তাকে প্রগতির অন্তরায় কিংবা বাঙালি সংস্কৃতির বিরোধী বলে আখ্যা দেয়া হয়। যারা এমনটি বলেন তাদের যদি প্রশ্ন করা হয় যে, আসলে বাঙালির পরিচয় কি? বাঙালি মানে কি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে চলা? আজকাল জ্বিন, ভূত, কুকুর, শৃগাল, বানর ও গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন প্রাণীর মুখোশ পড়ে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ ঘটনোর চেষ্টা চলছে। এটাকে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হলেও এ দৃশ্য দেখে রসিকজন বলে থাকেন, বাঙালি মানে যদি পশুদের মুখোশ হয়, তবে কি আমাদের পূর্বপুরুষ মানুষ ছিল না?

সত্যিকার অর্থে বাংলা নববর্ষের এ বৈশাখী ঐতিহ্য বিশ্বাস ও স্থানীয় রীতি-পদ্ধতিরই প্রতিফলন। কেননা এ সনের প্রবর্তন হয়েছে হিজরি সালকে ঘিরে এবং মাসের নামগুলোকে নেয়া হয়েছে শকাব্দ থেকে। মোগল সম্রাট মহামতি আকবর বিভিন্ন অঞ্চলের খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য অঞ্চল বিশেষে ফসলি বা মৌসুমী সনের প্রবর্তন করেছিলেন, যেমন বাংলার জন্য বাংলা সন, মহারাষ্ট্রের জন্য সুর সন, উড়িষ্যার জন্য আমলী সন প্রভৃতি। ১৫৮৫ সালের ১০ মার্চ নির্দেশনামা জারি হলেও হিজরি সালের সাথে একত্রে গণনা শুরু করা হয়েছে সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের সময়কাল থেকে অর্থাৎ ১৫৫৬ খ্রিস্টাব্দের ১১ মার্চ মোতাবেক ৯৬৩ হিজরি থেকে। যেহেতু সৌরবছর ৩৬৫ দিনে এবং হিজরি বছর ৩৫৪ দিনে হয়। ফলে প্রতি বছর হিজরি সাল ১১ দিন এগিয়ে যায়, তাই বর্তমানে বাংলা সন ১৪১৮ হলেও হিজরি সন ১৪৩৩ এ পৌঁছেছে। আর এ কথা সকলেরই ভালোভাবে জানা আছে যে, হিজরি সাল শুরু হয়েছে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.)-এর হিজরতের ঘটনা ও সময়কে কেন্দ্র করে এবং তা প্রবর্তন করেছেন খোলাফয়ে রাশেদীনের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমার বিন খাত্তাব (রা.)।

ঘূর্ণিঝড়, সাইক্লোন, টর্নেডো, সিডর ইত্যাদি বৈশাখের সব চেয়ে বড় আতঙ্ক; যা প্রতিবছরই দেশের জনগণ ভোগ করে থাকে। কিন্তু এ সবকে যতটা ভয় পাই তার বেশি ভয় পাই অপসংস্কৃতির সিডরে। কারণ ঝড়ে ক্ষতি হয় একটি এলাকার। অল্পদিনেই এ ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সাইক্লোন, টর্নেডো, টাইফুন, সিডর সবচেয়ে বেশি মারাত্মক। কারণ এতে গোটা জাতি ধ্বংস হয়। যে জাতির সাহিত্য সংস্কৃতি যত উন্নত, সে জাতিও ততটা উন্নত। আজ আমাদের দেশের সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গনে সাইক্লোন, ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, সিডর কোনো কিছুই বাকি নেই। সংস্কৃতি মানেই যেহেতু বোধ বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ । অর্থাৎ মানুষের বিশ্বাস ও রুচিবোধের বহিঃপ্রকাশই হচ্ছে সংস্কৃতি। সেহেতু এ দেশের সাহিত্য সংস্কৃতি থাকবে আমাদের বোধ বিশ্বাসের ভিত্তিতে। যে সংস্কৃতি হবে পরিচ্ছন্ন, রুচিশীল, প্রগতিশীল, উন্নয়নমুখী ও কল্যাণধর্মী। কিন্তু তা কি আদৌ হচ্ছে?

সময়ের বৈরী হাওয়ার সাথে পথচলা কতটা কল্যাণ আর অকল্যাণ এ বিষয়ে চোখ কান খোলা রাখা এখন সময়ের দাবি। শেকড়ের সন্ধানে গিয়ে বিশ্বাসের শেকড়ে আঘাত দিলে তা কোনোভাবেই মঙ্গলজনক হবে না। তাই এ উৎসবকে প্রাণের উৎসবে পরিণত করতে হবে, এগিয়ে নিতে হবে আমাদের ঐতিহ্যের শেকড়, ছড়িয়ে দিতে হবে বিশ্বাসের ফলগুধারা। মূলত বৈশাখী ঐতিহ্য কোনো অংশীবাদী কিংবা অশ্লীলতার মোড়কে জড়ানো উৎসব নয়। এটি অতীতের ব্যর্থতা ও দুঃখ-বেদনাকে ভুলে নতুন স্বপ্নে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়দীপ্ত একটি দিন। এ উৎসবের সম্পর্ক মায়ের সাথে, মাটির সাথে, বিশ্বাসের সাথে এবং লোকজ ঐতিহ্যের সাথে। এ উৎসব বুঝে দিতে চায় জীবনের হালখাতা, খুলে দিতে চায় স্বকীয়তা ও সম্ভাবনার অফুরন্ত দুয়ার। এ সম্ভবনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এ জন্য বিশ্বাসী ধারার সকল ঐতিহ্যপ্রেমিকদের আরো বেশি সচেতন হওয়া জরুরি।

[লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সৎধশযধহফধ@মসধরষ.পড়স ]

 

 

 

মোশাররফ হোসেন খান

মন চায় ফিরে যাই

 

স্রোতমুখি হতে পারি না বলে আমাকে

নিঃসঙ্গ রাখে কাল।

তবুও কথা হয়,

মানুষ নয়Ñ

কথা হয় আকাশ মাটি ও নিসর্গের সাথে

ফুল-পাখি চাঁদ-তারা জোসনার চারপাশে

ঘুরে ফিরে আসে

শৈশব-কৈশোর মাড়ানো অজস্র প্রহর

পড়ে তার ছায়া সবুজ ঘাসে।

নুয়ে পড়ে বাঁশবন ঝরে পড়ে বটের পাতা

চোখ জুড়ে ডানা মেলে

             à¦•à§ˆà¦¶à§‹à¦°à§‡ লেখা কবিতার খাতা।

ঐতো সামনেই এক চিলতে উঠোন

পাতা আছে পাটিÑখেজুর পাতার শৈল্পিক বুনন

টুপটাপ ঝরে পড়ে স্মৃতির বৃষ্টি,

দারুণ ঝাপসা হয়ে আসে চোখের দৃষ্টি।

মন চায় ফিরে যাই মায়ের আঁচলে ঘেরা

            শৈশব ও সবুজের কোলে

পারি না ফিরতেÑ

চোখের সামনে নির্মমতার পেন্ডুলাম দোলে

পায়ের নিচে রক্তের সাগর বহমান,

কি করে দু’কূল সাঁতরে সেখানে ফিরবে

নিয়তির আগলে বন্দি মোশাররফ খান !

তবুও মন চায়

      ফিরে যাই

            মন চায়।...

 

 

 

 

শরীফ আবদুল গোফরান

সোনালী স্বপ্ন মাখা বৈশাখী দিন

 

চৈত্রের ক্লান্ত মাঠ- আরক্ত গোধূলির

বর্ণচ্ছটায় মুছে গেছে

কেটে গেছে মহুয়ার ঘোর তন্দ্রা

আকাশে ওড়ে যেন দুরন্ত কিশোরীর

লাল পেড়ে শাড়ির আঁচল

 

বিনা উস্কানিতে তেড়ে আসে ঝড়

সাগরের পাগলা ঢেউয়ের সাথে

নৃত্য করে প্রকৃতির নিঃসঙ্গতা

অনাগত স্বপ্নরা তখন ভীত হয়ে

ঝরে পড়ে জলের মত।

 

কামালের গোলার মত গুমরে ওঠে বজ্র

স্বচ্ছ পানির দীর্ঘশ্বাস বুদবুদের মত গুঞ্জরিত হয়

মিশে যায় মাতাল সমুদ্রের স্রোতে

 

নতুন দিনের সোনালী রঙ মেখে

ছড়িয়ে দেয় রূপালী বৃষ্টির ফোঁটা

ভিজিয়ে দেয় শতাব্দীর এই নতুন পথ

 

বৈশাখী দিন যেন স্বর্ণালী স্বপ্ন

ফেলে আসা দিনগুলোর ধূসর স্মৃতি।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।