সংবাদ শিরোনামঃ

ভারতের নদী হত্যা অব্যাহত ** সরকার দ্রুত নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে ** সারাদেশে জামায়াতের বিক্ষোভ ** মোদি জিতলে ‘হারবে’ ভারত ** ১৮ দল আন্দোলনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে ** বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ; বিচ্ছিন্ন ঘটনার জন্য কোনো বিশেষ ধর্ম দায়ী হতে পারে না : সউদী রাষ্ট্রদূত ** বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ ** পহেলা বৈশাখে ‘ফিলদি রিচ’দের তাণ্ডব! ** বাংলা নববর্ষ ** সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশ কুষ্টিয়াবাসী ** আত্রাইয়ে ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে উৎপাদন, পরিবেশ হচ্ছে দূষিত ** ক্ষুধার জ্বালায় হনুমানগুলো কাতর **

ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪২১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৩৫, ১৮ এপ্রিল ২০১৪

তৌহিদুর রহমান
বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিমান কবি ফররুখ আহমদ। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় তাঁর শক্তিশালী পদচারণা মুগ্ধ করার মতো। ইসলামী সাহিত্যের ‘হেরার রাজ তোরণ’ উন্মোচনে মুসলিম জাতীয়তার স্বপ্ন পুরণে একটি ভিন্নমাত্রিক জগৎ তার কাব্য-সাহিত্যে সুস্পষ্ট। কবি ফররুখ আহমদ এ ক্ষেত্রে এক সম্পূর্ণ নতুন কল্পনা জগৎ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। নতুন আঙ্গিকের বিষয়-চিন্তা, ভাব-কল্পনা, শিল্প-সুষমা, কাব্যরীতি ইত্যাদি পাঠককে মুহূর্তের জন্যে হলেও স্তম্ভিত ও পুলকিত করে। সবকিছুর মধ্যেই এক ধরনের স্বাপ্নিক আবেশ তৈরি হয়। যা সবার থেকে ফররুখ আহমদকে একটি একক ব্যতক্রমী উজ্জ্বলতা দিয়েছে। মাইকেল, রবীন্দ্র, নজরুল থেকে যা সম্পূর্ণ স্বাতন্ত্র্য ও অসাধারণ। মাইকেল, রবীন্দ্র, নজরুল, শেলি, কিটস, বাইরন, ইকবালসহ সকল বড় কবিরই স্বাতন্ত্র্য মৌলিকত্ব তাদের উজ্জ্বল মহিমায় ভাস্বর করে রেখেছে। ফররুখ আহমদের স্বপ্নচারিতা যে কোনো সচেতন পাঠককে অভিভূত করে। এজন্যেই এটা কবির মৌলিকত্বের ভিন্নমাত্রিক স্বাক্ষর বহন করে।

একজন বড় কবি হিসেবে খ্যাতিমান হবেন এমন কোনো আকাক্সক্ষা ফররুখ আহমদের মধ্যে কখনো ছিল না। মূলত তিনি ছিলেন ঘুম ভাঙানোর মাঝি। মুসলিম সমাজের একটি বড় রকমের বিপ্লব সাধনের স্বপ্ন তিনি দেখেছেন। তাইতো দেখা যায় তিনি আদর্শ মানুষ গড়ার কাজেও সমানভাবে সময় ব্যয় করেছেন। কবিরা বেখয়ালী হয়ে থাকে এমন অভিযোগ তার ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না। তিনি কলম ধরেছিলেন ইসলামকে বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় নিয়েই। সেজন্যই তিনি আদর্শ ও কবিতাকে সমানতালে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি নিজের বিশ্বাসের উপর অটল ছিলেন সবসময়। কখনো তিনি নিজের বিশ্বাসের সাথে অন্য কোনো কিছুর আপস করেননি। জানা যায় ধর্মীয় বিধি-বিধান পালনে স্থান-কাল-পাত্র ভেদাভেদ করতেন না। কবির নামাজের একাগ্রতা সম্পর্কে আবদুল মান্নান তালিব বলেন, ‘ফররুখ আহমদ ছিলেন খাঁটি নামাজী মুসলমান। কবিতার আসরে, গানের মজলিসে অনেকেই যখন নামাজ কাজা পড়ার জন্য মন স্থির করে রাখতেন তখন তিনি কোনো রকম একটা সুযোগ পেলেই নামাজটা আদায় করে নিতেন।’ তবে ধর্ম নিয়ে তার মধ্যে কখনো কোনো ধর্মান্ধতা ছিল না। ফররুখ আহমদের কাব্য সাধনা ছিল ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার গভীরতম চেতনাকে ঘিরেই।

ফররুখ আহমদের কাব্য সুষমা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-পর্যালোচনা হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে আমার এই ক্ষুদ্র লেখা এক্ষেত্রে অনেকের কাছে খুবই দৃষ্টিকটু মনে হতে পারে। ফররুখ আহমদ সনেট নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। এখানে কেবল তাঁর ‘মুহূর্তের কবিতা’ নিয়ে সামান্য দৃষ্টিপাত করা হলো। কবির ‘মুহূর্তের কবিতা’ এক মুহূর্তের জন্য হলেও পাঠককে ভাবিত করে। কবি ‘মুহূর্ত’ শব্দটির অপরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তা জানার জন্য পুরো কবিতাটি উদ্ধৃত করা প্রয়োজন। কবিতাটি নিচে দেওয়া হলো ঃ

‘à¦¸à¦®à§ŸÑ à¦¶à¦¾à¦¶à§à¦¬à¦¤, স্থির। শুধু এই খঞ্জন চপল

গতিমান মুহূর্তেরা খরস্রোতে উদ্দাম, অধীর

মৌসুমী পাখীর মত দেখে এসে সমুদ্রের তীর,

সফেদ, জরদ, নীল বর্ণালিতে ভরে পৃথ্বীতল।

সন্ধ্যা গোধূলির রঙে জান্নাতের এই পাখী দল

জীবনের তপ্ত শ্বাসে, হৃদয়ের সান্নিধ্যে নিবিড়,

অচেনা আকাশ ছেড়ে পৃথিবীতে করে আসে ভীড়;

গেয়ে যায় মুক্তকণ্ঠে মৃত্যুহীন সঙ্গীত উচ্ছল।

মুহূর্তের এ কবিতা, মুহূর্তের এই কলতান

হয়তো পাবে না কণ্ঠে পরিপূর্ণ সে সুর সম্ভার

হয়তো পাবে না খুঁজে সাফল্যের, পথের সন্ধান,Ñ

সামান্য সঞ্চয় নিয়ে যে চেয়েছে সমুদ্রের পার;

তবু মনে রেখো তুমি নগণ্য এ ক্ষণিকের গান

মিনারের দম্ভ ছেড়ে মূল্য চায় ধূলিকণিকার॥’

ফররুখ আহমদের এই সনেটটি আঠারো মাত্রাবিশিষ্ট চৌদ্দ লাইনে সমাপ্ত একটি কবিতা। তবে তিনি সব সময় আঠারো মাত্রার নিয়ম মেনে কবিতা লেখেননি। নিরীক্ষা প্রবণ কবি এখানে নতুন ধারা পেশ করেছেন। মাইকেলের মতো ফররুখ আহমদও ইতালীয় পেত্রার্কান রীতির অনুসারী ছিলেন। এই কবিতাটিতে তিনি ‘মুহূর্ত’ শব্দটির বিশ্লেষণ করেছেন। আসলে মুহূর্ত সামান্য একটু সময় হলেও এটি মহাকালেরই একটি অংশ। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুকার কণা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জল/গড়ে তোলে মহাসাগরও তল। সাধারণত পদার্থের অণু-পরমাণু মিলেই সৃষ্টি হয় মৌলিক পদার্থ। তেমনিভাবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্ত বা সময়ের অণু মিলেই সৃষ্টি হয় মহাকালের। একটি অসীম সময়ের নাম হচ্ছে মহাকাল। যা সীমাহীন এবং যা কখনো শেষ হবে না। তবে মুহূর্তের এই সময়গুলো মিলে যে মহকালের সৃষ্টি তা সর্বদা গতিশীল। বিজ্ঞানীদের কাছে যেমন পদার্থের অণু-পরমাণু মহামূল্যবান সেভাবে কবির কাছেও মহাকালের প্রতিটি ক্ষণ মহামূল্যবান। কবি বলতে চেয়েছেন অনন্তকালের অসীম সময়ের মাঝে পৃথিবীর মানুষের অস্তিত্ব খুবই সামান্য। আসলে মহাকালের গর্ভে মানুষের এই জীবনকাল অতি ক্ষুদ্র। আর মানুষ এই ক্ষুদ্রাতি-ক্ষুদ্র সময়ের মাঝেই বেঁচে থাকে। এই অণু-পরমাণু সময়ের মধ্যেই মানুষের জীবনের অস্তিত্ব কৃতিত্ব ও বাহাদুরীর প্রকাশ ঘটে। তাই প্রতিটি মুহূর্তের মূল্য আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

মুসলমানের মনে আজ জোর নেই, দেহে নেই বল। দূর অতীতে মুসলমানরা রাজা-বাদশা ছিলেন। তাদের হাতে ছিল পৃথিবী পরিচালনার চাবিকাঠি। কিন্তু আমাদের হাতে যেন আজ কিছু নেই। আমরা এখন অসহায়, পড়ে পড়ে মার খাচ্ছি অমুসলিমর্দে হাতে, কাফেরদের হাতে, স্বৈরাচারী শাসকদের হাতে। আমরা এখন শোষিতের কাতারে। তাইতো কবি আশা দেখিয়েছেন, যদি আমরা জেগে উঠি তাহলে সামনে ‘হেরার রাজ তোরণ’ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।

মহান আল্লাহর প্রতি অবিচলভাবে আস্থাশীল ছিলেন ফররুখ আহমদ। এই ধৈর্যশীল কবি কখনো কারো কাছে কোনো কিছুর আশা করতেন না। তাই অনেক কষ্ট ও অভাব-অনটনের মধ্যেও তিনি কারো দয়া বা সাহায্য-সহযোগিতা নিতে চাননি। সমাজ, দেশ-জাতি, ভাষা ও ইসলামী আদর্শের প্রতি তাঁর প্রত্যয় ছিল দৃঢ়। তাই  কবি ফররুখ আহমদকে অবজ্ঞা করা অনেকের পক্ষেই সহজ ছিল না। আমাদের সাহিত্যে তিনি ছিলেন একজন দীপ্তীময়, জীবন্ত আদর্শ ও ঐতিহ্যের ধারক। তাঁর কবিতা মহান সেই আদর্শের চিরন্তন রূপ পরিগ্রহ করে আজও টিকে আছে এবং আমাদের বিশ্বাস ততদিন টিকে থাকবে দুনিয়াতে বাংলাভাষী মুসলমান যতদিন থাকবে।

কবি ফররুখ আহমদ অসংখ্য প্রেমের কবিতা লিখেছেন কিন্তু কখনো একটিও অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করেননি। তিনি মানতেন আমাদের সাহিত্য হতে হবে শাশ্বত ঐতিহ্যের অনুসারী। সেজন্য তিনি যৌনতা, অশ্লীলতা, মিথ্যাচার ও আজগুবী কথামালা সাজিয়ে কাব্য মননশীল পাঠকদের বিভ্রান্ত করতে চাননি। বিভ্রান্ত কবিদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে সতর্ক বাণী উচ্চারিত হয়েছে। তিনি ছিলেন অসৎ কাজে বাধাদানকারী ও সৎ কাজের আদেশদাতা একজন কবি। বিশ্বাসী ও সদা সত্য পথের পথিক ছিলেন তিনি। বিশ্বাসী ও সৎ কবি সাহিত্যিকদের জন্য মহান আল্লাহর নিকট অবশ্যই উত্তম প্রতিদান রয়েছে। অশ্লীল কবিতা সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘কারো পেট পঁচে যদি পূঁজ জমে, তবে সেই পূঁজ জমা পেট অশ্লীল কবিতার চেয়ে উত্তম।’ কবি ফররুখ আহমদ এসব বিবেচনায় রেখেই কাব্য জগতে অগ্রসর হয়েছিলেন।

ফররুখ আহমদের প্রেমের কবিতার একটি নমুনা এখানে পেশ করা হলো:

রাত্রির অরণ্যতলে হে বিচিত্রা! দ্বার খুলে দাও,

মুখর দৃষ্টিতে তব, গ্রীবাভঙ্গে রহস্য অশেষ!

অজ্ঞাত জগতে মোর আবিস্কৃত হয়নি যে দেশ

সুকঠিন রহস্যের বক্ষবাস সেথা তুলে নাও।

যদি কোনো ভুল থাকে তবে আজ সব ভুলে যাও।

যে অনাবিস্কৃত লোকে রাখিয়াছো স্বপ্নের আবেশ,

দু’চোখে, চিবুকে, বক্ষে সৃজিয়া বিচিত্র পরিবেশ

গানের পাখীরা মোর বহু দিন সেখানে উধাও।

কবি ফররুখ আহমদ সম্পর্কে কবি আবদুস সাত্তার বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে নজরুল যেমন এক যুগান্তকারী এবং অনন্য প্রতিভা তেমনি এক ব্যতক্রমধর্মী প্রতিভা কবি ফররুখ আহমদ। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি যেমন ছিলেন সত্যনিষ্ঠ এবং বিশ্বাসী, সেই ব্যক্তিস্বভাব তিনি ব্যক্ত করেছেন তাঁর সমগ্র সাহিত্যে। তাঁর ‘সাত সাগরের মাঝি’ ‘সিরাজুম মুনিরা’ ইত্যাদি প্রত্যেকটি মুসলিম জনগণকে ‘ হেরার রাজ তোরণে’র দিকেই আহ্বান করে।’

মানবতার প্রতি কতটা দরদী হলে ‘লাশ’ কবিতার মতো এমন হৃদয়স্পর্শী কবিতা লেখা যায়। একজন কবির হৃদয়ে মানুষের প্রতি কতটা ভালোবাসা থাকলে, সে ভালোবাসা মানুষের জন্যে মনে ঝংকার তোলে, মানবতবাদী জাগরণের গান শোনায়, যা পাঠক মনে মানুষের প্রতি, মানবতার প্রতি এক সুদূপ্রসারী সমবেদনা সৃষ্টি করে। তাঁর লাশ কবিতার অংশবিশেষ :

যেখানে প্রশস্ত পথ ঘুরে গেল মোড়,

কালো পিচ-ঢালা রঙে লাগে নাই ধূলির আঁচড়,

যেখানে পথের পাশে মুখ গুঁজে প’ড়ে আছে জমিনের পর;

সন্ধ্যার জনতা জানি কোনোদিন রাখেনা সে মৃতের খবর

জানি মানুষের লাশ মুখ গুঁজে প’ড়ে আছে জমিনের পর;

ক্ষুধিত অসাড় তনু বত্রিশ নাড়ীর তাপে প’ড়ে আছে নিসাড় নিথর,

পাশ দিয়ে চলে যায় সজ্জিত পিশাচ, নারী নর

Ñপাথরের ঘর,

মৃত্যু কারাগার,

সজ্জিতা নিপুণা নট বারাঙ্গনা খুলিয়াছে দ্বার

মধুর ভাষণে,

পৃথিবী চষিছে কারা শোষণে, শাসনে

সাক্ষ্য তার রাজপথে জমিনের’ পর

সাড়ে তিন হাত হাড় রচিতেছে মানুষের অন্তিম কবর।

      (লাশ : সাত সাগরের মাঝি)

সাহিত্যের এক শক্তিশালী অনুষঙ্গ হচ্ছে গান। তাই দেখা যায় তিনি অনেক গানই লিখেছেন জাতির প্রয়োজনে। তিনি জানতেন গানের মাধ্যমে খুব সহজে মানুষের কাছে আবেদন পৌঁছানো সম্ভব। তাইতো তিনি লিখেছেন, ‘কোনো মৃত্যুর তুর্য নিনাদ/ ফারাক্কা বাঁধ।... তোরা চাসনে কিছু কারো কাছে খোদার মদদ ছাড়া/ তোরা পরের উপর ভরসা ছেড়ে নিজের পায়ে দাঁড়া।’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গান।

বাংলা সাহিত্যে ফররুখ আহমদের অবদান কম নয়। আলোচনা-পর্যালোচনা করলে দেখা যায় কবি ফররুখ আহমদ ছিলেন একজন অনন্য সাধারণ প্রতিভা। একাধারে কবিতা, গান, গীতিকাব্য, গল্প, প্রবন্ধ, গীতিনাট্য ইত্যাদি সাহিত্যের  সকল শাখায় তাঁর বলিষ্ঠ পদচারণা আমরা লক্ষ্য করে থাকি। এসব তিনি লিখেছেন সম্পূর্ণ আদর্শিক ও ঐতিহ্য চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে। এ কথা আজ স্বীকার্য যে, তিনি ছিলেন একজন বৈচিত্র্যময় কবি প্রতিভা। তাঁর কলমে যে বৈচিত্র্যময়তা ও ভেরিয়েশান তা অনেক বড় কবির মধ্যে লক্ষ্য করা যায় না। তিনি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। তাঁর ভেতরে ছিল অপরিসীম মানবপ্রেম। একজন খাঁটি মুসলমান হিসেবে ইসলামী রেনেসাঁ ও মুসলিম আদর্শ-ঐতিহ্যের প্রতি তাঁর ছিল দৃঢ় বিশ্বাস। এই স্বল্প পরিসরে তাঁর মতো এই বিশাল প্রতিভার সার্বিক মূল্যায়ন সম্ভব নয়।

কবি ফররুখ আহমদের যে কাব্য প্রতিভা আমাদের জাতীয় প্রয়োজনে তা টিকিয়ে রাখা দরকার। আর এটা হতে পারে তাঁর কবিতা ও গানের চর্চা জারি রাখার মধ্য দিয়ে। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাংলা একাডেমিসহ অনেক নামী-দামী প্রতিষ্ঠান এদিকে ভ্রƒà¦•à§à¦·à§‡à¦ªà¦¹à§€à¦¨à¥¤ বহু অখ্যাত কবির কবিতার বই বাজারে থাকলেও হাতে গোনা দু’একটি বই ছাড়া কবি ফররুখ আহমদের কোনো বই এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের সকলের উচিত মানবতাবাদী এই মহৎ কবির রচনাসমগ্র প্রকাশ করা। তা না হলে এই বিরাট প্রতিভা কাল ক্রমে নিঃশেষ হয়ে যাবে। যা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনেক বড় ক্ষতি।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।