সংবাদ শিরোনামঃ

গণআন্দোলনের ডাক ** সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কারণে দেশজুড়ে গণঅসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে ** বিচারপতিদের অভিশংসন, সম্প্রচার নীতিমালা গণতন্ত্রের ওপর ডেমোকিসের ছুরি ** ইরাকে পশ্চিমাদের হোলি খেলা ** অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করুন ** সরকার স্বাধীন বিচারব্যবস্থার ভিত্তিমূলে আঘাত করছে ** বন্যাকবলিতদের দুর্দশা লাঘবে সরকারের যথাযথ উদ্যোগ প্রয়োজন ** হীনম্মন্যতাবোধ এবং সেবাদাসদের দৌরাত্ম্য ** সাম্রাজ্যবাদ ও কাজী নজরুল ইসলাম ** পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যেভাবে উদযাপিত হলো ঈদুল ফিতর ** উপমহাদেশে রেল দুর্ঘটনার শীর্ষে বাংলাদেশ, ক্ষয়ক্ষতিতে ভারত ** বন্যাপরিস্থিতির চরম অবনতি ** মুসলমানদের অনৈক্যের কারণেই ইসরাইল গাজায় নির্বিচার গণহত্যা চালাচ্ছে **

ঢাকা, শুক্রবার, ৭ ভাদ্র ১৪২১, ২৫ শাওয়াল ১৪৩৫, ২২ আগস্ট ২০১৪

তাহমিনা আকতার পপি
কাসের পড়া, কোচিং এর পড়া, পরীার প্রস্তুতি এত পড়ার ভিড়ে নোবেল, নাটক, সাহিত্য, উপন্যাসের মতো বড় বড় বই পড়লে তোমার মতো ছোট বই পড়ার সময় কোথায়? মাসের প্রথম সপ্তাহে যে কোনোদিন আব্বু তোমাকে বাসায় নিয়ে এসে পড়ার টেবিলে রেখে দিতো। এভাবে ছয় মাসে ছয়টি জমা হলো। পড়াতো দূরে থাক কখনো খুলে দেখারও প্রয়োজন মনে করিনি। সেলফে গুছিয়ে রাখি তোমাকে।। চলতে ফিরতে তোমার সাথে প্রতিনিয়ত দেখা হলেও পড়ার প্রয়োজন মনে করিনি কখনো। কতো অবহেলা আর অযতœ তোমায় করেছি। তোমার উপযুক্ত মূল্যায়ন, খাটি ভালোবাসা সঠিক সময়ে করতে পারিনি বলেই আজও নিজেকে শাসন করি। অবহেলা আর অযতেœà¦° কথা মনে পড়লে নিজের অজান্তে অশ্র“ উথলে উঠে। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে লিখতে। কিন্তু উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পাই না। যদিও বা কখনো শব্দ খুঁজে পাই, শব্দগুলোর মালাÑগাঁথার জন্য সুতো খুঁজে পাই না। তোমায় নিয়ে লিখতে গেলে চিন্তায় পড়ে যাই, কি বাদ দিয়ে কি লিখবো। হ্যাঁ! আমি কিশোর কণ্ঠের কথাই বলছি! কিশোর কণ্ঠ একটি নিছক মাসিক পত্রিকা নয়। এটি একটি প্রেরণার বাতি ঘর, আলোর মশাল। যা গভীর অন্ধকারেও পথ দেখায়। তোমার মূল্যায়ন কি দিয়ে হবে সে ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। তুমি আমার হৃদয়ে তুলে ধরেছ শান্তি ও মুক্তির পয়গাম। কুরআনের প্রতি এক অভূতপূর্ব আকর্ষণ। নিষ্পাপ ভালোবাসা।

প্রায় কয়েক বছর আগের কথা, হঠাৎ একদিন অসুস্থ হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকি। কিছুই ভালো লাগেনা। এই অসুস্থতায় জীবনের প্রথম বারের মতো কিশোর কণ্ঠ পড়তে শুরু করলাম। কয়েক পৃষ্ঠা খুলতেই কুরআনের আলো লেখাটি নান্দনিক দৃষ্টি কেড়ে নিল। যত পড়ি তত এক অদ্ভুত আকর্ষণ বোধ করছি। প্রতিটি বাক্যে, প্রতিটি শব্দে নতুন আলোর প্রভা বিকশিত হচ্ছে হৃদয়ে। আত্মার মধ্যে এক অনাবিল প্রশান্তি বয়ে চলছে। একটি ছোট্ট বই পড়ে জীবন চলার পথে কখনো এমন মোড় আসে কল্পনা করতে পারিনি। এই সামান্য বই পড়ে আল্লাহ তায়ালা হৃদয়ে সত্যের আলো জ্বলিয়ে দিলেন। বুঝতে বাকী রইলো না একমাত্র ইসলাম মুক্তির রাজপথ। কুরআনের প্রতি এমন আকর্ষণবোধ জন্ম নিলো আচমকা শোয়া থেকে উঠে অশ্র“ মুছতে মুছতে অজু করে কুরআন নিয়ে পড়তে বসি। অর্থসহ সূরা ফাতিহা পড়ে নিজের অজান্তে কাঁদতে লাগলাম অতীত হারানো দিনে কুরআন না পড়ার বেদনায়। হায় আমার ব্যর্থতা, আমার পরাজয়। আমায় মা করে দাও প্রভু। দুচোখের অশ্র“তে পালিয়ে যাচ্ছে হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা বর্বরতার অন্ধকার। নিজকে প্রশ্ন করি সারা জীবনকি অন্ধকার ঘরে বেড়ানোর জন্য তুমি পৃথিবীতে এসেছো? আমাকে দুর্ভাগ্যের আঁধারে ঠেলে দিওনা প্রভু।

কুরআনোর সাথে চলার পথে একে একে কতো অভ্যাস জীবন থেকে বিদায় নিলো। আর কতো অভ্যাস নতুন করে নিজের মাঝে তৈরি হলো। যা আমার দ্বারা কোনোদিন হবে আমি কল্পনাও করতে পারিনি। অনেকে বলেন আমার এত এত গুনাহ আমি কিভাবে কুরআন শিখবো? আমি তো মাদরাসায় লেখাপড়া করিনি আমার পে কি কুরআন শেখা সম্ভব? আমিতো বয়সে বড় হয়েছি কুরআন পড়তে জানিনা বললে আবার ...? কি যেন লজ্জা? সত্য কথা হলো প্রতি মুসলমানের কুরআনের ওপর সমান হক। নতুন প্রজন্মের কাছে কুরআন পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব সবার। আর কুরআন তো সেই শেফা যা আমাদের অন্তরের রোগ থেকে দূরে রাখবে। কুরআন তো সেই বন্ধু যা গুনাহ থেকে দূরে নিয়ে যাবেই যাবে। যদি কুরআনকে আঁকড়ে থাকি বিপথগামী হবো না। এটা শিখেছি কুরআন পড়ে। আর এখন আমরা ভাবি সকল গুনাহ থেকে নিজকে মুক্ত করে তবেই আমরা কুরআন পড়বো। আমরা কেন ভুলে যাই যে, আমাদের চারিত্রিক সমস্যা, দুর্বলতা, নিফাকি ও প্রতিনিয়ত গুনাহের সাথে জড়িয়ে পড়া এসবের ওষধ তো কুরআন। ওষধ থেকে দূরে থেকে কোনোদিন রোগ মুক্তি আশা করা যায় কি?

আমি সারাদিন গান শুনতাম। ঘুমের সময়, খাওয়ার সময়, স্কুল কলেজে আসা যাওয়ার গাড়ীতে বসে। যখন কিশোর কণ্ঠ আমাকে কুরআনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো তখন কুরআন পড়তে শুরু করলাম, তখনো গান শুনতাম। কুরআনের কাছে আসতে আসতে হঠাৎ একদিন গানশুনা অপরাধ মনে হলো গান শুনলে কেমন যেন অস্তির হয়ে উঠে অন্তরটা। তারও পরে একদিন গান শুনতে যেয়ে বার বার মনে হলো আমি যদি এই অবস্থায় মারা যাই? কিছুকাল আগে শুনোছিলাম কারা যেন গান শুনতে শুনতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল। যখন তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সকলে বুঝতে পারে যে তাদের মৃত্যু আসন্ন। তাদের কালেমা পড়তে বলা হয়। কিন্তু গান ছাড়া তারা কোনো কিছুই উচ্চারণ করতে পারেনি। আমি কি তাদের মতো হতে চাই? নাকি সেই মেয়েটার মতো যে কুরআন পড়তে পড়তে মারা গিয়েছিল একই রকম আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনায়।

গান শুনাতো বন্ধ হলো কিন্তু মাঝে মাঝে মন চায় টেলিভিশনের রিমোর্ট আমার দখলে থাকুক। প্রতিদিনের টেলিভিশনের সিরিয়াল না দেখলে নিজের কাজ নিজের কাছে উল্টা পাল্টা মনে হতো। মনে করতাম সিনেমার কাহিনীই সব। কুরআন যখন বুঝে পড়া শুরু করলাম তখন বুঝলাম আখিরাতের প্রতি আমাদের কতোটা জোর দিয়ে আহ্বান করা হয়েছে। কুরআনে কতোভাবে বুঝানো হয়েছে যে এই পৃথিবীটা কতখানি অর্থহীন। একটা মশার ডানার মূল্য সমপরিমাণ মূল্যই আল্লাহর কাছে নেই। এই পৃথিবীর সময়টা আখিরাতের জন্য ব্যয় করা কতখানি মূল্যবান। এবার অপরাধবোধ এলো কিন্তু অভ্যাস যাবে কোথায়। শুরু হলো বিরতীহীন প্রার্থনা। আল্লাহর আজাব থেকে আশ্রয় তো একমাত্র তারই কাছে চাইতে হবে। সিজদায় পড়ে কাঁদলাম আর আমার রবকে অশ্র“সিক্ত নয়নে মিনতি স্বরে বললাম হে আল্লাহ! আমার অন্তর থেকে বিনোদনের প্রতি এই ভালোবাসা উপড়ে দিন। আরো কতো চারিত্রিক দুর্বলতা সবটা পরিবর্তন করে দিন। তোমার ভালোবাসা আর ভয় দিয়ে।

গান শুনা, মুভি দেখাতো বন্ধ হলো কিন্তু সব সময় মন চায় মোবাইল আলাপ চারিতায় ব্যস্ত থাকি। অনেক গুলো বছর লেগেছে সেই নেশাটি কাটিয়ে উঠতে। দিন পার হয়ে মাস পার হয়ে বছর চলে যায় কই এখনোতো ছাড়তে পারিনা?? কবে কিভাবে কি হয়েছে জানিনা। অন্তরের মালিক আল্লাহই পরিবর্তন করে দিলেন অন্তরে তাঁর ভালোবাসা ও ভয় দিয়ে। এভাবেই তিনি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসেন। একদিন খেয়াল করে দেখলাম আমার যে কেবল গান বাজনা, নাটক সিনেমা, মোবাইল আলাপচারিতা প্রতিটি কাজই অর্থহীন, সময় নষ্ট মনে হয়। জীবনের প্রিয় তিনটি অভ্যাস আমার জন্য টার্চের পরিণতি হয়েছিল। কুরআনের সাথে চলতে শুরু করার পর আল্লাহ তায়ালা অন্তরকে বদলে দিলেন। যদি কুরআন না পড়ে বসে থাকতাম। আগে অভ্যাস ঠিক করে নেয়ার অপোয় থাকতাম কিছুই হতো না।

আব্বুর শাসন আম্মুর অভিমান গৃহশিকের অসাধারণ যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য কোনো কিছুই আগের অভ্যাসকে পরিবর্তন করতে পারেনি। কিন্তু সেটি পেরেছে কুরআন। বোরকা, হিজাব, নেকাব পড়াতো দূরের কথা এসএসসি পরীার বয়সেও মাথায় কাপড় দিতে মন চাইত না। যে আব্বু আমাকে ছাড়া একটা দিনও খাবার টেবিলে খেতে বসতো না। আমি পিট চুলকে না দিলে ঘুমাতে পারতো না। স্কুলে যাওয়ার সময় মাথায় কাপড় না দেয়া নিয়ে তিনিও সাত সাতটি দিন অভিমানে কাটিয়ে দিলেন। প্রিয় আব্বুর অভিমান, আদর শাসন, কোনো কিছুই গায়ে বোরকা, মাথার কাপড় উঠাতে পারেনি। সেটিও পেরেছে কুরআন। জীবনে কুরআন আসার আগে পর্দা করে বের হতে কেমন যেন লজ্জা লাগতো। আর কুরআন আসার পরে বোরকা, হিজাব ছাড়া বের হতে শুধু লজ্জাই লাগেনা নিজেকে বড় অপরাধী লাগে।

আমি আজীবন অগোছালো স্বভাবের। রুটিন অনুযায়ী চলা আমার দ্বারা হয় না। মাঝে মাঝে নিজেই কাঁদি পড়ছিনা ঠিক মতো, রিভিশন দিচ্ছিনা ঠিক মতো, যা শিখছি ভুলে যাচ্ছি। অনেক সময় চাই ভোর বেলা উঠে পড়তে বসতে, কিন্তু রাতে কিছুতেই আগে ঘুমাতে পারিনা। কাজ থাকে সব সামলে কুরআনের জন্য সময় দিতে পারিনা। অনেক মানুষের কটুক্তি, পরিবারের শাসন, গৃহ শিকের অভূতপূর্ব সুন্দর ক্যারিয়ার গাইড লাইন যা আমার অন্তরে আনতে পারেনি কুরআন সেটিও পেরেছে। এভাবে একদিন রাসূল (সা.)-এর দৈনদ্দিন জীবন ও সাহাবীদের সংগ্রামী জীবন নিয়ে জানলাম। ধীরে ধীরে রুটিন র্ঠিক হয়ে এলো নিজের অজান্তেই। আমি হয়তো ১০% চেষ্টা করেছি আল্লাহ সেটা সফল করে দিয়েছেন ৮০%। বুঝতে পারি আমাদের মতা আসলে কতো সীমিত। সফলতা আমাদের যোগ্যতায় আসেনা। আসে আন্তরিক প্রচেষ্টায়।

তারপর একে একে অভ্যাস বদলাতে থাকলো। পুরাতন ঘুনে ধরা অভ্যাস বদলে নতুন অভ্যাস তৈরি হলো। অভ্যাস চলে গেলে গান শুনা, মুভি দেখা, অকারণে ফোনে আড্ডা দেয়া, পর্দাবিহীন বাইরে যাওয়া, অযথা ইন্টারনেট ঘাটার। অভ্যাস হলো দুইচার রাকাত নামাজ পড়ে আগে ঘুমানোর আগে উঠার। খাওয়া আমাদের মুখস্ত শক্তিকে প্রভাবিত করে জানার পর অপরিমিত খাবার থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করছি। আম্মু তখন শুধু অভিযোগ করতেন খাচ্ছিনা, স্বাস্থ্যহীন হয়ে যাচ্ছি। অনেক আশা রাখি একদিন ইনশাআল্লাহ নিজের মাঝের সহস্র দুর্বলতা বদ অভ্যাস, অসংখ্য গুনাহ এভাবেই আস্তে আস্তে মুছে যাবে। আল্লাহ তায়ালা খুলে দিবেন অফুরন্ত কল্যাণের দরজা।

আগে যে সব সমস্যা নিয়ে কি করবো বুঝে পেতাম না। এখন সে সমস্যার সমাধানও খুঁজে পেতে লাগলাম কুরআনে। সে যেন ধীরে ধীরে আমার বন্ধু হয়ে উঠল। বিপদের সময় উপদেশ, যন্ত্রণার সময় প্রশান্তি, আনন্দের সময় শান্তি দিতে লাগলো। আমাদের জানা উচিত আল্লাহর পথ থেকে দূরে গিয়ে সমস্যার সমাধান হয়না। একমাত্র কুরআনের জ্ঞানই আল্লাহর ভয় দিতে পারে। আর একমাত্র আল্লাহর ভয় আর ভালোবাসাই পারে পাপ থেকে বের করে আনতে। এখনো নিজের যত ভুল নিয়ে হতাশ লাগে হয়তো আল্লাহ একদিন সেইগুলোও সরিয়ে দিবেন। আল্লাহ চাইলে কি না করতে পারেন। এক অদ্ভুধ সমতা জাগে অন্যদের জন্য। কুরআন থেকে দূরে থাকার অর্থ যে নিজকে কতোখানি কষ্টের জগতে আটকে রাখা। তাতো এখন বুঝি। কতো কষ্টে আছে একজন মানুষ যারা নিজেদের রব থেকে কুরআন থেকে দূরে আছে। ইনশাআল্লাহ আশা রাখি ওরাই একদিন জীবনের অর্থ খুঁজে পাবে। দোয়া আসে মন থেকে। আমরা কেউতো পাপ মুক্ত নই। গুনাহ মুক্ত নই। তারপরও আল্লাহ আমাদের তার প্রেরিত গ্রন্থ কুরআন নাযিল করেছে পরম ভালোবাসায়। কুরআনকে আঁকড়ে ধরার মাধ্যমেই মুক্তি।

এর পরও কি আমরা বলবো আমাদের জীবনে কুরআনের জন্য সময় নেই। কুরআন মুখস্ত করাতো ফরজ না? আমাদের দ্বারা কি কুরআন বুঝা সম্ভব? বলবো কি আমাদের মতো পাপীদের দিয়ে কুরআন মুখস্ত কেমনে হবে? আমাদের মতো পাপীদের জন্য এত ভালোবাসার আমাদের মহান রব কুরআন নাযিল করতে পেরেছেন। তিনি জানেন বলেই তার বিশ্বাস আছে বলেই, আমরা কুরআনকে জীবন দিয়ে, সময় দিয়ে অন্তর দিয়ে আঁকড়ে ধরার যোগ্যতা রাখি। কেন আমরা নিজেদের উপর সেই আস্থা রাখবো না।

লেখা শুরু করেছিলাম প্রিয় কিশোর কণ্ঠের প্রতি নিষ্পাপ ভালবাসার টানে। আব্বুর মাধ্যমে আমার হাতে পৌঁছত। আমাদের জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তির আড়ালে আমাদের বাবা মায়েদের অবদান থাকে। এটা বুঝাতে হবে স্বীকার করতে হবে এবং অন্তর থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হতে হবে। মনে রাখতে হবে দোয়ার মতা আমাদের কল্পনার বাইরে, দোয়া হলো আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া। তিনি আমাদের সেই ভাবে দিবেন যে ভাবে দেয়া তার জন্য মানায়। তিনি আমাদের কল্পনার ছেয়েও অনেক অনেক গুণ বেশি দিবেন। আর মানুষের দোয়া আল্লাহ কতভাবে শোনেন। আমাদের সাধ্যের বাইরে যেয়েও দোয়া করাটা কতটা জরুরি সেটাও বুঝেছিলাম। কারণ আল্লাহর জন্য কোনো কিছুই সাধ্যের বাইরে নয়। তাই দোয়া করতে থাকতে হবে। আমি কুরআন মুখস্ত করতে চাই। আপনি সহজ করেদিন। আমি কিছুতেই গুনাহ ছাড়তে পারিনা। আপনি আমাকে শক্তি দিন। আমি আপনার কথা আপনার সন্তুষ্টির জন্যই অপরের কাছে পৌঁছাতে চাই। আপনি সকল প্রতিকূলতা দূর করে দিন। আর আপনি ... আপনি ... দিন ....... দিন। ধৈর্য নিয়ে অপো করুন আর চাইতে থাকুন দেখবেন কতো ভাবেই তিনি আমাদের কথা শোনেন।

লেখা শেষ করছি একটি ইংরেজি প্রবাদ দিয়ে Every event is destined to promote a serious purpose, জীবনের কোনো ঘটনাই অর্থহীন নয়, ল্যহীন ভাবে সেগুলো ঘটেও না। ব্যক্তির জীবনে ঘটে যাওয়া প্রতিটি ঘটনার একটি অন্ত:নিহিত উদ্দেশ্য থাকে। মানুষের দায়িত্ব হলো সে সব ঘটনা থেকে লাগাতার শিা নেয়া। একথা যে কতটাই সত্যি তা আমার জীবনে আমি বহুবার উপলদ্ধি করেছি। অসুস্থতার হাত ধরে যদি কিশোর কণ্ঠ পড়তে আগ্রহী না হতাম তাহলে আজও কুরআন বুঝার সামর্থ অর্জন করতে পারতাম কি? জীবনের কষ্টগুলোকে ভালোবাসতে শিখতে হবে। অনেক বড় নিয়ামত আমাদের জীবনের সেই কষ্টগুলো। যা আমাদের বাধ্য করে আল্লাহ কিতাব মেলে ধরতে। হয়তো চোখের পানির কারণে পড়তে পারিনা মেলে ধরে বসে থাকতে থাকতে বুঝতে পারি, শান্তি এখানেই পুরো পৃথিবীর মানুষের সামনে বোবা কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর পর এই জায়গায় বসে বুঝতে পারি যে, সমবেদনা কেবল একমাত্র আল্লাহর কাছে থেকেই পাওয়া সম্ভব। অন্তরের ব্যাথায় ঔষধ একমাত্র তারই কথায়। প্রতিটা কষ্ট প্রতিটা না পাওয়া কল্পনানীত উপহার আমাদের রবের প হতে।

লেখক : শিার্থী, সাউথ এশিয়ান কলেজ, চট্টগ্রাম।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।