মন্ত্রী শাজাহান খানকে জিজ্ঞাসাবাদ

সাংবাদিক সমিতিকে জমি বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি : মির্জা আব্বাস

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর পল্লবীতে ঢাকা সাংবাদিক বহুমুখী  সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে সরকারি জমি বরাদ্দে কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক  গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাস। গত  ১২ অক্টোবর রোববার দুদক উপ-পরিচালক যতন কুমার রায় বিকেল পৌনে ৩টা থেকে পৌনে ৪টা  পর্যন্ত  মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। দুদক থেকে বেরিয়ে যাবার সময় সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, তাদের সরকার সাংবাদিকদের প্রতি অনেকটা সহানুভূতিশীল ছিল। যার ফলে সকল নিয়ম-নীতি মেনেই সাংবাদিকদের জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার আগের সরকারের  সবকিছুতেই এখন অনিয়ম আর দুুর্নীতি খুুঁজছেন।  আমরা জমি বরাদ্দ দেয়ার ৯ বছর পর এসে তারা  অনিময় এবং দুর্নীতি বের করার চেষ্টা করছেন। নকশা পরিবর্তন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপ পছন্দ না হলে যে কোনো সময় নকশা পরিবর্তন  করতেই পারেন। গত ২২ সেপ্টেম্বর পাঠানো তলবি নোটিশে দুদক কার্যালয়ে সকাল ১০টায় ঢাকা মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসকে হাজির হতে বলা হয়।

এর আগে দুদকে আসেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদক ডাকেনি। স্যা দেয়ার জন্য ডেকেছে। অথচ মিডিয়ায় না বুঝে উল্টো নিউজ করেছে। তিনি তো আসামী নয়, দুদক তার বক্তব্য ও মতামত গ্রহণের জন্য ডেকেছে। তিনি হাজিরা দেয়ার জন্য এসেছেন।

শাজাহান খান বলেন, তার নেতৃত্বে বিভিন্ন পেশার লোকজনকে নিয়ে ঝিলমিল নামে একটি সমবায় সমিতি গঠন করেন। আর এ সমিতির নামে পল্লবীতে সরকারি জমি বরাদ্দের আবেদন করা হয়। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকার আমলে জমি বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন করে নকশা তৈরি করা হয়। তিনি বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী মির্জা আব্বাস এবং সাবেক প্রতি মন্ত্রী আলমগীর কবির প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে শাজাহান খানদের সমিতির জমি বরাদ্দের আবেদন বাতিল করেন। একই সঙ্গে ২০০৬ সালে  ঢাকা সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির নিজেই  আবেদন করে সরকারি জমি বরাদ্দ দেন।

দুদকের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে ঢাকা সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের অনুকূলে তৎকালীন সরকার ৩ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যে প্রায় ৭ একর জমি বরাদ্দ দেন। জানা যায়, গত ৬ মার্চ শাহবাগ থানায় দুদক বাদী হয়ে ওই সমিতির নামে জমি বরাদ্দে নানা অনিয়ম এবং দুনীতির অভিযোগে সাবেক গৃহায়ণ প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরসহ সরকারের ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলার বাকি আসামিরা হলেন সাবেক উপ-পরিচালক ভূমি সম্পদ ব্যবস্থাপক কর্তৃপ ও বর্তমান সদস্য জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপ আজহারুল হক, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপরে কোষাধ্য মনসুর আলম এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপরে হিসাবরণ কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান।