সংবাদ শিরোনামঃ

গভীর সঙ্কটে দেশ ** হরতাল অবরোধে বিচ্ছিন্ন ঢাকা ** খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ** পঙ্গু হাসপাতালে চলছে বোবা কান্না ** আনোয়ার ইব্রাহিম সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ ** সরকার হত্যাকাণ্ড চালিয়ে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিণত করেছে : ছাত্রশিবির ** বিচারবহির্ভূত সকল হত্যাকাণ্ড বন্ধ হোক ** মমতা এলেন এবং গেলেন ‘পলিটিক্স’ করে ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** শিশুর প্রতিভা বিকাশে আনন্দময় পরিবেশ ** “ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতন্ত্র গণপ্রতারণা” ** যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত ** ভাষার লড়াই ও বাংলা ভাষা সংস্কারের ইতিহাস **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ ফাল্গুন ১৪২১, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৬, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

মিরপুর পল্লবীতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে আহত জামায়াত কর্মী

আবদুল লতিফ : আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের বেপরোয়া আচরণে দেশের মানুষ চরম আতঙ্কিত। এদের কথিত বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সাধারণ মানুষ। আইন-আদালতকে উপেক্ষা করে চলছে মানুষ হত্যার এসব নিয়ম বহির্ভূত কাণ্ড। গণগ্রেফতার, গুম, হত্যা নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নির্মম ও নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ডে নির্ঘুম রাত যাপন করতে হচ্ছে সারাদেশের নিরীহ-নিরপরাধী মানুষকে। ওরা কেবল জীবন নয়, জনগণের কষ্টে অর্জিত অর্থও ছলে-বলে ছিনিয়ে নিচ্ছে। গ্রেফতার বাণিজ্য চালিয়ে এসব অর্থ বাগিয়ে নিচ্ছে। যেখানে-সেখানেই বধ্যভূমি বানাচ্ছে তারা। পৌনে দু’মাস যাবত সারাদেশে কথিত বন্দুকযুদ্ধ ও ক্রসফায়ারে ৬৫ জন নিহত হয়েছে। আহত বা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে অসংখ্য লোক। যেহেতু একাজে কারো কাছে কোনো কৈফিয়ত দেয়ার প্রয়োজন হয় না, তাই নির্দ্বিধায় চলছে এ নির্যাতন। এরা জনগণের কাছে এখন মূর্তমান আতঙ্ক। ছাত্র, শিক্ষক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ীসহ সকল পেশার মানুষই তাদের ভয়ে সন্ত্রস্ত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী এহেন অপতৎপরতার সাথে যোগ হয়েছে সরকারের পুরস্কারের ঘোষণা। সরকারের এ ঘোষণার পর পরই তাদের কর্মকাণ্ড আরো মাত্রা পেয়েছে। ক্রসফায়ার থেকে রক্ষা পায়নি সরকারি দলের জনৈক নেতাও।

অবরোধের শুরু থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত ৫১ দিনে পুলিশ ও র‌্যাবের সাথে কথিত বন্ধুকযুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীসহ ৩৪ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে জানুয়ারি মাসে ১৩ জন, আর চলতি মাসে ২১ জন নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস) এর কমিউনিকেশন এন্ড ডকুমেন্টেশন থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া ক্রসফায়ারে এ পর্যন্ত ৩৩ জন নিরপরাধী লোক নিহত হয়েছে।

বিরোধী দল ও নাশকতাকারীদের গ্রেফতারের নামেও নির্বিচারে গুলি চালানো হচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এতে স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী, দোকান কর্মচারী ও সাধারণ পথচারী পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করছেন। অভিযোগে বলা হয় কোথাও বোমা বা ককটেল ফাটার পরপরই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলোপাথাড়ি গুলি করছেন। এতে নিরীহ পথচারী অথবা ফুটপাতের দোকানী ও সাধারণ মানুষ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গুলির শিকার হচ্ছে।

অপরদিকে এভাবে গুলি করাকে কৃতিত্ব হিসেবে দেখছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তকর্তাগণ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ২৫ জন সদস্যকে নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়। এদেরকে পুরস্কার দেয়া হয়, নাশকতাকারীদের গুলি করে আটক করায়। ওই দিন পুলিশ মহা-পরির্দশক (আইজিপি) পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গুলি ছোঁড়ার অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে জানান। আর পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দা বিভাগ এসব বিষয় খোঁজ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

নাশকতারীসহ বিভিন্ন অভিযোগে এসব গুলিবিদ্ধরা পুলিশের প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন পঙ্গু হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে। কিন্তু তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে ভীড়তেও দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে এ তথ্যের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

পঙ্গু হাসপাতালের এবি ওয়ার্ডের ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে (জেনারেল) এ নয়ন বাছাড় (২৩) নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশ থেকে তাকে পুলিশ আটক করে। এরপর পুলিশের গাড়িতে তুলে তার পায়ে গুলি করা হয়।

আহত নয়ন বাছাড়ের মা শিখা রানী কাছে থাকলেও কোনো সংবাদ মাধ্যমের সাথে তার কথা বলা নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি হাসপাতালের বাইরে গিয়ে জানান, নয়নের বাবা নেই। পরিবারের একমাত্র সন্তান। গত তিন চার বছর ধরে ঢাকায় এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন।

৪ ফেব্রুয়ারি রাতে বাস থেকে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে নামতেই বাধে বিপত্তি। হঠাৎ তাকে ধরে ফেলে সাদা পোশাকের পুলিশ। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে তিনি হিন্দু পরিচয় দেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশ পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। তাদের এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন তার পরিচয় পত্র দিয়েছেন, তাতে তিনি লিখেছেন, নয়ন বাছাড়ের পূর্ব পুরুষ থেকে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি আরো জানান, আমার ছেলেকে পুলিশ ধরার পর সে হিন্দু বলে পরিচয় দিয়েছে। তার পরও পুলিশ তার পায়ে গুলি করে পঙ্গু করেছে। এখন কারো সাথে কোনো প্রকার কথা বলাও নিষেধ করছেন। নয়নের জামিনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তার জামিন হলে আমরা তাকে বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাবো।

শিখা রানী আরো জানান, ঘটনার সময় নয়নের কাছে মোবাইল ও মানি ব্যাগ ছাড়া আর কিছুই ছিল না। চোখের সামনে একমাত্র ছেলের এই অবস্থা দেখে কি যে কষ্ট হচ্ছে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। এখন ঠাকুরই একমাত্র ভরসা। আহত নয়ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। নয়নের গ্রামের বাড়ি বাঘেরহাটের মোড়লগঞ্জে।

নয়নের খালাতো ভাই সু-প্রভাত জানান, পঙ্গু হাসপাতালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গিয়ে নয়নকে দেখে এসেছেন। আর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও তার চিকিৎসার জন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলায় মোটামুটি চিকিৎসা ভালো হয়েছে। তবে যেহেতু নয়ন পুলিশের কাস্টডিতে তাই পরিবারের সাথে কথাবার্তা বলার একটি সমস্যা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও বলেছেন, তার জামিনের ব্যবস্থা করা হলে, তাকে বাইরে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে তারা ব্যবস্থা নিবেন।

পঙ্গু হাপাতালের আইজে ওয়ার্ডের ১৮ নম্বর (জেনারেল) বেডে স্বপন (২২) নামের এক গাড়ি চালক ও ইআর ওয়ার্ডের অতিরিক্ত ৯ নম্বর বেডে মানসিক ভারসাম্যহীন মাসুম (২৮) ভর্তি রয়েছেন। স্বপনের এক আত্মীয় পুলিশের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আহত স্বপন একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের মাইক্রোবাস চালায়। কুমিল্লার হোমনা উপজেলা এলাকায় তাদের বাড়ি। মেরুল বাড্ডা এলাকায় তারা থাকেন। কোনো কারণ ছাড়াই স্বপনকে ধরে নিয়ে গুলি করেছে পুলিশ। স্বপন প্রথমে রিকশা চালাতেন। পরে সিএনজি আটোরিকশা চালায়। এরপর তাকে মাইক্রোবাস চালানো শিখায় তার মা নাজমা বেগম। তিনি আরো জানান, গত ৮ জানুয়ারি মেরুল বাড্ডার নিমতলা এলাকায় বসে কয়েকজন বন্ধু-বান্ধব মিলে চা খাচ্ছিল স্বপন। এসময় স্বপন, মাসুম, মনির (২৮) ও পিন্টুসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে কাস্টডিতে দুইজনকে রেখে স্বপন, মাসুম ও মনিরকে আফতাবনগরে নিয়ে পুলিশ গুলি করে। স্বপনের পায়ে দুইটি গুলি করা হয়েছে। আর মনিরের পা কেটে ফেলা হয়েছে। তিনি জানান স্বপনতো কোনো রাজনীতি করে না। তার পরও তাকে গুলি করা হলো কেন? তিনি আরো জানান, গ্রেফতারের পর পরই আমরা থানায় গিয়ে হাজির হই। পুলিশ আমাদেরকে টাকা ম্যানেজ করতে বলে তিনজনকে নিয়ে পুলিশ থানার বাইরে যায়। আমরা সারা রাত থানায়ই অবস্থান করি। পরে পুলিশ আমাদের খবর দেয় স্বপনসহ তিনজনকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারের পর পুলিশ ছেলেদের জোর করে এই মর্মে স্বীকারোক্তি আদায় করেছে।

এছাড়া, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধোলাইপাড় এলাকায় পুলিশ গুলি করেছে আতাউর রহমান (২৭) নামে এক যুবককে। পুলিশ দাবি করছে, বিআরটিসি’র একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের চেষ্টার সময় গুলিতে সে আহত হয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালে আহত আতাউর ও তার পরিবার অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই তার ডান পায়ের হাঁটুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছে। আতাউরের বাবার নাম জসিম উদ্দিন। নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ির কৃষ্ণপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। তিনি অ্যামব্রয়ডারির ব্যবসা করেন। যাত্রাবাড়ীর দীন মোহাম্মদ মার্কেটের পাঁচতলায় ‘সাদিয়া অ্যামব্রয়ডারি হাউজ’ নামে তার একটি দোকান রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে স্যাম ডিজাইন গার্মেন্টস থেকে পাওনা টাকা নিয়ে ধোলাইপাড়ে নেমে রাস্তার পাশে প্রাকৃতিক কাজ করার সময় স্থানীয় কয়েকজন যুবক তাকে আটকের পর মারধর করে পুলিশে দেয়। এসময় পুলিশ কোনো কিছু না বলেই তার হাঁটুতে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত নন বলে জানান তার পরিবার।

তাছাড়া, পঙ্গু হাসপাতালের এবি ওয়ার্ডের শাকিল (২৫), শহিদুল ইসলাম (২৫) ও পিয়ার হোসেন (২০) ভর্তি রয়েছে। সেখানে পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাদের রাখা হয়েছে। শহীদুলের ভাই বলে পরিচয়দানকারী জানান, গত ১১ বছর ধরে রাজধানীর বাড্ডা থানাধীন লিংকরোড গুদারাঘাটের  ৬ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসার মালিক ফিরোজ আহমদের ব্যক্তিগত গাড়ি চালায় শহীদুল। গত ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে পিয়ার, শাকিল, দিল মোহাম্মদ দিলু (২৮) ও দুলাল (২৬) শহীদুলের সঙ্গে দেখা করেন। এ অভিযোগে আমাকেসহ পাঁচজনকে ওই বাসা থেকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। পরে থানায় নিয়ে তাদের চোখ-মুখ বেঁধে ৩ জনকে আফতাবনগরে নিয়ে গুলি করা হয়।

অপরদিকে গত ২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্লবী এলাকায় ইসমাইল হোসেন (৩০) নামে এক গাড়ি চালককে পুলিশ আটকের পর পায়ে গুলি করে। কিন্তু পুলিশ জানান, দুর্বৃত্তরা ককটেল হামলা চালানোর চেষ্টা করার সময় গুলি চালালে ইসমাইল আহত হন। তবে আহত ইসমাইল জানান, পল্লবী এলাকায় পায়ে হেটে বাসায় যাচ্ছিলেন। এসময় পুলিশ তাকে আটকের পর সাথে সাথেই তার পায়ে গুলি করে দেয়। পরে নাশকতাকারী বলে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গবাজারে প্রবাসী আবদুর রহমান (৩০) ও ব্যবসায়ী মোমিন (৩৫) নামে ২ পথচারীকে পুলিশ আটক করে। পরে নাশকতাকারী বলে পুলিশ তাদের পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে তারা গুরুতর আহত হন। ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালানোর সময় পুলিশের গুলিতে তারা আহত হয়েছেন বলে শাহবাগ থানা পুলিশ দাবি করেছে।

এছাড়া, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সিলেট নগরীতে বিরোধীদলের মিছিলকে লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে। এসময় পুলিশের গুলিতে শর্মী দেব নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আহত হয়। পুলিশের ছোঁড়া গুলি তার ডান চোখের নিচে বিদ্ধ হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সিলেটের মীরাবাজারে এ ঘটনা ঘটে। সে কিশোরী মোহন বালিকা বিদ্যালয় হতে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। এ ঘটনার পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. রহমত উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, মীরাবাজারে পিকেটারদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হয়েছে। তখন কোনো শিক্ষার্থীকে গুলি করা হয়নি।

বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার মহাসচিব এডভোকেট সিগমা হুদা জানান, সরকারের মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতারা গুলি করাসহ উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। আর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার বাস্তবায়ন করছেন। এতে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যেসব গুলির ঘটনা ঘটছে। তার  প্রতিটি ঘটনাই আলাদা। আর পৃথক পৃথক মামলাও হচ্ছে। তাই এগুলো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।