হরতালে ক্লাস বন্ধের দাবিতে রাজধানীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হরতাল ও অবরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে রাজধানীর বনানীতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করে

সংবাদদাতা : ২০ দলীয় জোটের টানা হরতাল এবং অবরোধের মাঝে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে রাজধানীর বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বনানীর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। সোমবার থেকেই মুলত এই বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়।  সেদিন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।  টানা হরতাল এবং অবরোধের মাঝে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি একটি নোটিশ প্রকাশিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটে।  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপ এবং পেইজে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে।  এমনকি হরতালে জীবনের ঝুকি নিয়ে ক্লাসে আসতে গিয়ে দুইজন শিক্ষার্থী রাস্তায় দুর্বৃত্তের ককটেল হামলার শিকার হয়। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই ক্লাস বন্ধের দাবি ওঠে। সেই দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের জন্য সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।

এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে গত সোমবার সকাল থেকেই নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। এসময় তারা ক্লাস বর্জনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে নর্থসাউথ কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা শান্ত হয়।

এদিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ও হরতালে ক্লাস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয়, পরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।