টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন

আম্পায়ারদের কারণে জিতেছে ভারত : শেখ হাসিনা

নয়াদিল্লি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আম্পায়ারদের কারণে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ী হয়েছে ভারত। ভারতের সর্বাধিক প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে ২১ মার্চ  শনিবার একথা বলা হয়েছে। ‘টাইমস নাউ’ চ্যানেলের বরাত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আম্পায়াররা ভুল না করলে ভারত বাংলাদেশকে হারাতে পারত না।’

গত ২০ মার্চ শুক্রবার মেলবোর্নে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা দেয় প্রবাসী বাংলাদেশীরা। সেই অনুষ্ঠান চলাকালে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে টেলিফোন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাপনের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে কথা বলেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, পাপনের মোবাইলে লাউড স্পিকারে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায় যে, ‘আম্পায়ারা ভুল সিদ্ধান্ত না দিলে আমরা জিততাম। ইনশাল্লাহ ভবিষ্যতে জিতবে বাংলাদেশ। একদিন বাংলাদেশ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হবে।’ উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে ভারতের কাছে ১০৯ রানে হারে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নামা ভারতের ইনিংসের ৪০তম ওভারে বিতর্কিত সিদ্ধান্তটি দেন আম্পায়ার আলিম দার ও ইয়ান গোল্ড। ওভারের চতুর্থ বলটি ফুলটস দিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। বলটিতে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ইমরুল কায়েসকে ক্যাচ দেন ৯০ রানে থাকা ভারতের রোহিত শর্মা, যিনি পরের ২৫ বলে আরও ৪৭ রান যোগ করে ১৩৭ রানে আউট হন। তবে বলটি কোমরের ওপরে ছিল দাবি করে লেগ আম্পায়ার পাকিস্তানের আলিম দার বোলিং প্রান্তে থাকা ইংল্যান্ডের আম্পায়ার গোল্ডকে ‘নো’ বলের সঙ্কেত দেন। গোল্ড তখন ‘নো’ ডাকলে ভারতের সাবেক ক্রিকেটোর ভি ভি এস লক্ষ্মণ, অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট স্পিনার শেন ওয়ার্ন, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান অধিনায়ক এ বি ডি ভিলিয়ার্সসহ সবাই বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যান। টিভি রিপ্লেতে স্পষ্ট দেখা গেছে, বলটি কোমরের ওপরে ছিল না। আম্পায়ারদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে ক্রিকেট পণ্ডিতদের অনেকেই সমালোচনা করেন। ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা। এ ঘটনার পর আইসিসির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আ হ ম মোস্তফা কামাল আইসিসিকে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল’ বলে অ্যাখ্যা দেন। প্রয়োজনে আইসিসির সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করার কথাও বলেন তিনি।