বেলকুচিতে ওয়ার্ড সভাপতি সম্মেলনে জামায়াত নেতৃবৃন্দ

গণগ্রেফতার করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না

বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার জুলুম-নির্যাতনের সকল সীমা অতিক্রম করেছে। দেশ পরিচালনায় চরমভাবে ব্যর্থ আ’লীগ সরকারের বিরুদ্ধে যখন ধুমায়িত গণবিস্ফোরণ শুরু হয়েছে, সাধারণ জনগণ চলমান আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, তখন সরকার নব্য বাকশাল ও স্বৈরাচারী কায়দায় খুন, গুম, হত্যা, হামলা-মামলা আর পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করে সন্ত্রাসের মাধ্যমে জনতার আন্দোলনকে দমানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এভাবে খুন , গুম, হত্যা, হামলা-মামলা আর পুলিশ দিয়ে গণগ্রেফতার করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন স্তব্ধ করা যাবে না। গত ২০ মার্চ শুক্রবার বেলকুচি উপজেলা জামায়াত আয়োজিত ২০১৫ সেশনের ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারিদের বার্ষিক সম্মেলনে জামায়াত নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। কল্যাণপুর স্কুল ময়দানে আয়োজিত ও উপজেলা আমীর অধ্যাপক নূর-উন-নবী সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সরকারের অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারী-বাকশালী আচরণ, জামায়াত-শিবিরের উপর জুলুম-নির্যাতন ও দেশব্যাপী খুন, গুম, হত্যা, হামলা-মামলাসহ ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের গণগ্রেফতার করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমানোর অপচেষ্ঠার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বৈরাচারী-জালিম সরকারের পতন ঘটিয়ে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি সুস্থ-গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে বাধ্য করাসহ জামায়াত নেতা কামারুজ্জামান ও আটক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে দ্রুত মুক্ত করা হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা শাহীনুর আলম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, জেলা সিনিয়র নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মো. আলী আলম। অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন-উপজেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, জেলা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য, বেলকুচি উপজেলা সেক্রেটারি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সোহেল, সিরাজগঞ্জ জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক যুবায়ের হোসেন, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি ইয়াছিন আহমেদ বাবু, মাওলানা মাহ্বুবুর রশিদ শামীম, জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা ছানোয়ার হুসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল হাশেম সরকার, ডা. রুহুল আমীন ও উপজেলা শিবির সভাপতি ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে সরকার ইসলামী আন্দোলন স্তব্ধ করে দেয়ার এক সুগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। যা জীবন দিয়ে হলেও ইসলামী আন্দোলনের প্রতিটি নেতা-কর্মী ও এদেশের তৌহিদী জনতা আওয়ামী সরকারের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবে ও প্রতিহত করবে ইনশাহ্ আল্লাহ। সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ সরকারের অগণতান্ত্রিক-স্বৈরাচারী আচরণ বন্ধ ও দমন-নিপীড়নের পথ পরিহার করে অবিলম্বে পদত্যাগ,অবৈধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল,জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানসহ আটক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও নেতা-কর্মীর দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান।