ভারতের সুুপ্রিম কোর্টের রায়

ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্যে গ্রেফতার অসাংবিধানিক

ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিতর্কিত মন্তব্য করলে যে আইনের বলে গ্রেফতারের  সুযোগ থাকতো পুলিশের, তা ‘অসাংবিধানিক’ বলে রুল জারি করেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) এ বিষয়ে এক আদেশে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সেকশন ৬৬-এ’কে ‘অসাংবিধানিক’ রুল জারি করে সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের একটি বেঞ্চ। বাংলা নিউজ।

তবে সরকারপক্ষ জানিয়েছে, আক্রমণাত্মক বা জননিরাপত্তার হুমকি, এমন কিছু পোস্ট করা বন্ধ করতেই এই আইনের প্রচলন করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করে সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে।

তবে আদালত তার আদেশে বলেছে, সেকশন ৬৬-এ জনগণের মত প্রকাশের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে।

আদেশ পড়াকালে বিচারপতি আরএফ নরিমান বলেন, সেকশন ৬৬-এ অসাংবিধানিক এবং এই আইন রহিতকরণে আমাদের কোনো দ্বিধা নেই। জনগণের মত প্রকাশ ও জানার অধিকারকে সরাসরি আক্রান্ত হচ্ছে এই আইনের কারণে।

২০১২ সালের নভেম্বরে রাজনীতিক বাল ঠাকরের মৃত্যুর পর ফেসবুকে মন্তব্য করায় দুই নারীকে গ্রেফতারের পর এক আইনের ছাত্র তথপ্রযুক্তি আইনের সেকশন ৬৬-এ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে অভিযোগ দায়ের করে।

আটক দুই নারীর মধ্যে শাহীন ধাড়া নামে একজন বাল ঠাকরের মৃত্যুর পর মুম্বাইয়ে ‘বন্ধ’ কার্যক্রমের’ বিরুদ্ধে সমালোচনা করে মন্তব্য করেন ফেসবুকে। রেনু শ্রীনিবাসন নামে অপর নারী ওই মন্তব্যে ‘লাইক’ দেন। এই অপরাধে তাদের দু’জনকে আটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য জামিনে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর আরো কয়েকজনকে ওই আইনের জোরে আটক করে পুলিশ।

এরপর থেকেই ভারতজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের সেকশন ৬৬-এ’র বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।