সংবাদ শিরোনামঃ

সিটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে একতরফা! ** কামারুজ্জামানের কবর জিয়ারতে শেরপুরে হাজারো মানুষের ঢল ** আওয়ামী লীগ মরিয়া ** শহীদী কাফেলায় মুহাম্মদ কামারুজ্জামান ** গণতন্ত্রহীনতায় অরক্ষিত অর্থনীতি ** সরকার সিটি নির্বাচনকে পুরোপুরি রাজনৈতিককরণ করেছে ** অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা হোক ** পহেলা বৈশাখের ‘লীলা’ ** আমার সন্তানের কি দোষ ** ফারাক্কা বাঁধের কারণে সাতক্ষীরার ২৭টি নদী এখন মরা খাল ** যাদের কাছে কোনো পুঁজি নেই তারাই সমালোচনা করে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে চায়: মনজুর আলম **

ঢাকা, শুক্রবার, ১১ বৈশাখ ১৪২২, ৪ রজব ১৪৩৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৫

এম এ কে জিলানী, দ্য রিপোর্ট : ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তা নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ‘গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস সিকিউরিটি ব্যুরো’ (জিসিএসবি) গত এক দশকেরও বেশি সময় বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সম্পর্কে গোপনে নজরদারি চালিয়েছে। নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম ‘নিউজিল্যান্ড হ্যারল্ড’ বৃহস্পতিবার এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি এখনো দেখিনি। এ সম্পর্কে এখনো কিছু জানি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনা সত্য হলে আমরা অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নিব।’ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘বলেন কী! এই বিষয়ে কিছুই জানি না। জেনে জানাব।’

র‌্যাবের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘কত কিছুইতো বের হয়। কিন্তু যাচাই না করে কীভাবে বলব। যাচাই করে দেখে নেই। তারপর বলব।’

এই বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য গত ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযাগ করলে জনসংযোগ কর্মকর্তা মেরিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘কী জানতে চান তা মেইল করুন।’ এরপর যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে মেইল করলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা) কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।  à¦¨à¦¿à¦‰à¦œà¦¿à¦²à§à¦¯à¦¾à¦¨à§à¦¡ হ্যারল্ডে ১৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে (http://www.nzherald.co.nz/nz/news/article.cfm?c_id=1&objectid=11433216) বলা হয়, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী সম্পর্কে গোপনে নজরদারি চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত বিষয়গুলো গোপনে নজরদারি করেছে দেশটি। এই গুপ্ত নজরদারিতে নিউজিল্যান্ডের সরকারি সংস্থা জিসিএসবি কাজ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারণার অংশ হিসেবে এই কাজ করেছে নিউজিল্যান্ড। যা ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের পর চালু করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসএ) ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের ওপর গোপন নজরদারি সম্পর্কেও বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের একটি অংশে বলা হয়, ‘জিসিএসবি ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার ওপর গোপন নজরদারি চালাচ্ছে। জিসিএসবি বাংলাদেশের ওপর গোপন গোয়েন্দা তৎপরতার তথ্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগকে (এনএসএ) সরবরাহ করেছে।’

বাংলাদেশে জিসিএসবির গোপন তৎপরতা খুবই বিস্ময়কর এবং অস্পষ্ট জায়গা থেকে পরিচালিত হয়েছে। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে পররাষ্ট্র সম্পর্ক খুব বেশিদিনের নয়। নিউজিল্যান্ড সরকারের মতে, ‘বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব বিদ্যমান।’

নিউজিল্যান্ড হ্যারল্ডে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জিসিএসবি গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের ওপর গোপন নজরদারি চালাচ্ছে।’

নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের সময় ২০০৩ সালে বাংলাদেশের ওপর গোপন নজরদারি শুরু করে জিসিএসবি। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে এনএসএ-এর সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ২০০৪ সালে নজরদারি শুরু করা হয় বলে বলা হয়েছে। কিন্তু এনএসএ-এর একজন কর্মকর্তা ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে জিসিএসবিকে একটি ব্রিফিং নোট দেন। ওই নোটে বলা হয়, ‘সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে উগ্র ইসলামী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের ওপর।’

বাংলাদেশে গোপন নজরদারি বিষয়ে ২০০৯ সালে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘জিসিএসবির ‘ওসিআর’ নামে একটি একক দল বাংলাদেশের ওপর গোপন নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করে। তবে জিসিএসবি আরেক সংস্থার সহায়তা নিয়ে এই তৎপরতা চালায়। জিসিএসবির বাংলাদেশের ঢাকাতে নিজস্ব কোনো অফিস না থাকলেও সংস্থাটি ঢাকাতে বসেই এই কাজ চালায়।’

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর সাবেক সদস্য এডওয়ার্ড স্নোডেন যিনি দেশটির ইন্টারনেট নজরদারি কর্মসূচির তথ্য ফাঁস করে এখন রাশিয়ায় পলাতক রয়েছেন। তার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘জিসিএসবি ঢাকাতে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের অফিসের সহায়তা নিয়ে এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস অফিস ব্যবহার করেই নজরদারি চালায়। পাশাপাশি জিসিএসবি এনএসএ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এর সহায়তা নিয়ে এই তৎপরতা চালায়।’ ২০০৯ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ মুঠোফোনের কথোপকথনের তথ্য (ইন্টারনাল জিএসএম) ধারবাহিকভাবে এফ৬ নামে পরিবেশগত জরিপের জন্য পাঠানো হয়।’ এফ৬ নামে পরিবেশগত জরিপ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ ও এনএসএ-এর বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি।

নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হ্যারল্ড এ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ২০১৩ সালে এনএসর প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘‘বাংলাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডের ওপর জিসিএসবি চমৎকার তথ্য সংগ্রহ করেছে। গোয়েন্দা প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের জন্য বাংলাদেশে একাধিক সংস্থা কাজ করে থাকে। যার মধ্যে ডিজিএফআই, এনএসআই ও পুলিশের বিশেষ শাখা রয়েছে। এ ছাড়া র‌্যাব মূলত বাংলাদেশের সন্ত্রাস দমনে মূল দায়িত্ব পালন করে আসছে। তবে বাংলাদেশের এই সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বছর ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।

হিউম্যান রাইট ওয়াচ ২০০৮ সালে অভিযোগ করে বলে, ঢাকার মগবাজারের পাশে অবস্থিত পুলিশের বিশেষ শাখার (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) প্রধান কার্যালয়ে আটক করা ব্যক্তিদের নির্যাতন করা হয়। এনএসআই ২০১০ সালে ট্রেড ইউনিয়নের একজন কর্মীকে আটক করে নির্যাতন করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ওই একই ব্যক্তিকে দুই বছর পর অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে মৃত হিসেবে উদ্ধার করা হয়। ওই ব্যক্তির পা ও আঙুলগুলো ভাঙা ছিল। তার দেহে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন ছিল।

বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করে। বিশেষ করে তারা কুখ্যাত কাজ করার জন্য জিজ্ঞাসাবাদের নামে টাস্কফোর্স সেল বানিয়েছে। যা ঢাকার উত্তরে অবস্থিত। এই সেল র‌্যাব নিয়ন্ত্রণ করে।’’

নিউজিল্যান্ডের আরেকটি গণমাধ্যম রেডিও নিউজিল্যান্ডনিউজ বৃহস্পতিবার এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জন কীর মন্তব্য প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশের ওপর জিসিএসবির নজরদারির বিষয়টি জন কী প্রত্যাখ্যান করেন।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।