সংবাদ শিরোনামঃ

গণতন্ত্র না উন্নয়ন? ** দেশ থেকে মানবতা কি বিদায় নিচ্ছে? ** গণতন্ত্রহীনতায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে ** মালয়েশিয়াগামী নিখোঁজদের জন্য আহাজারি ** প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণ ** ৩ মাসে ধর্ষণ ১২৩, গতিহীন তদন্ত ** গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধীদল থাকা বাধ্যতামূলক ** জীবন দিতে হচ্ছে বাংলাদেশীদের ** কবি নজরুলের ভুল! ** কমলগঞ্জে ধলাই নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস ** ধানের দরপতনে ঋণের টাকা পরিশোধে দিশেহারা কৃষক ** নায়ক শেখ আবুল কাসেম মিঠুনের প্রস্থান **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২, ১০ শাবান ১৪৩৬, ২৯ মে ২০১৫

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বাড়ছে অপরাধ

সোনার বাংলা রিপোর্ট : ‘এটা মর্যাদার ব্যাপার। উপজেলাবাসীকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আমার। যদি আমার বাড়িতে ডাকাতি হয়, সাধারণ মানুষের কী হবে?’ চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম মামুন উজ্জামানের এই অসহায় বক্তব্যে দেশের আইন-শৃঙ্খলার চিত্র ফুটে উঠেছে। শুধু চূয়াডাঙ্গা নয় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের প্রশাসনের ব্যর্থতার চিত্র এটি। পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, প্রশাসন ও পুলিশের এই ব্যর্থতার কারণ অতিরাজনীতিকরণ ও দলীয়করণ। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিরোধীদলকে শায়েস্তা করতে পুলিশকে উস্কানি দেয়ার পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত এই বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্য ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধিতে মেতে উঠেছে। দায় মুক্তির দিবাস্বপ্ন তাদেরকে অপরাধে জড়াতে উৎসাহিত করছে বলে পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন।

অপরাধের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ। জাতীয় পত্র-পত্রিকা সূত্রে প্রকাশ, টাকা না পেয়ে নির্যাতন, বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়া, সাধারণ মানুষকে হয়রানি এমনকি শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগও উঠেছে এ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে। ঘুষের জন্য হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাইসহ নিরীহ মানুষ ধরে নিয়ে খুন, চোখ বেঁধে পায়ে গুলি ও থানা হাজতে নির্যাতনের বিষয় এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এছাড়া নিরীহ মানুষকে যখন তখন ধরে নিয়ে গুম ও গ্রেফতার এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় এখন রীতিমতো ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ বিপদে পড়লে সবার আগে যেখানে পুলিশের কাছে ছুটে যায়, সেই পুলিশই এখন মহাবিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তা দেয়ার নামে পুলিশই এখন সবচেয়ে অনিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পুলিশের কিছু অসাধু সদস্যের কারণে বাহিনীর বদনামের পাশাপাশি অপরাধও বাড়ছে লাগামহীনভাবে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের হিসাবে গত ৪ মাসে সারা দেশে গুম হয়েছে ২৮ ও ক্রসফায়ারে প্রাণ হারিয়েছে ৫৯ জন। থানা ও জেলহাজতে মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। অতি সম্প্রতি পুলিশের আগ্রাসী ভূমিকার শিকার হয়েছে একটি ছাত্র সংগঠনের এক নারী নেত্রী। এ নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। আন্দোলনের মুখে একজন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বাধ্য হয় পুলিশ সদরদফতর। সাংবাদিকরাও পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। গত ৪ মাসে একজন সাংবাদিক নিহত, ৪৮ জন আহত, লাঞ্ছিত ১৮, হুমকিতে ৮ এবং ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত চার মাসে সারা দেশের অপরাধ পরিসংখ্যানেও দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতির চিত্রই ফুটে উঠেছে। পুলিশ সদরদফতরের শত চেষ্টা এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেও পরিস্থিতির তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। গত চার মাসে রাজধানীসহ সারা দেশে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৮১৮টি। এর মধ্যে রাজধানীতে খুন হয়েছেন ৩৪০ জন বিভিন্ন পেশার নারী ও পুরুয়। এর আগে গত চার মাসে সারা দেশে খুনের সংখ্যা ছিল ৭১টি। অন্যদিকে গত চারমাসে ডাকাতি, ছিনতাই ও অপহরণের মতো ঘটনাও বেড়েছে জ্যামিতিক হারে। গত চার মাসে ডাকাতির সংখ্যা ১ হাজার ৮১৫টি। ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে ২ হাজার ৩১২টি। আর অপহরণের ঘটনা ছিল ৩৪৬টি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৪৫টি ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ১০২ নারী ও শিশু। এছাড়া এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছে ২১ নারী, গণপিটুনিতে মারা গেছেন ৫৭ এবং রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত হয়েছেন ১১৯ জন।

দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হন নিরীহ কলেজ ছাত্র আবদুর রহমান চঞ্চল। একই দিন নরসিংদীতে পুত্র হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে ছাড়া পেয়ে খুন করে বাবাকে। ১৬ মে বাড্ডায় প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় যুবলীগ কর্মী দুলাল হোসেনকে ২৫ মার্চ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে খুন হন সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী রওশন আরা ও তার গৃহকর্মী কল্পনা আক্তার। এসব ঘটনায় পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার কিংবা আটক করতে পারেনি। এমন কি কিছু কিছু ঘটনায় ঘাতকদের শনাক্তও করতে পারেনি। আলোচিত এসব হত্যা মামলা তদন্তে পুলিশের ব্যর্থতা কেবল এটি নয়। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত বারবার তদন্ত কর্মকর্তা বদলানোর পরও যে তিমিরে ছিল, সে তিমিরেই রয়ে গেছে। তদন্ত কাজে পুলিশের কৌশল সেকেলে বলেই এমনটি হচ্ছে বলে মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে অসাধু কিছু পুলিশ সদস্যের সখ্য গড়ে ওঠায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। দেশে একের পর এক ঘটছে লোমহর্ষক খুনের ঘটনা। পুলিশের অনীহা ও দলবাজির কারণে লোমহর্ষক এসব খুনের ঘটনার তদন্তও চলছে ঢিমেতালে। দীর্ঘদিন পার হলেও চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি গ্রেফতার তো দূরের কথা, শনাক্তও করতে পারছে না পুলিশ। এর পেছনে পুলিশের গাফিলতিকেই দায়ী করছেন অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে মাত্রারিক্ত দলবাজি ও এলাকাবাজির প্রভাবে কিছু কিছু পুলিশ কর্মকর্তার প্রভাব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, তারা কাউকে পাত্তাই দিতে চান না। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হতেই এখন ভয় পান। খুন, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন ঢাকা মহানগরবাসীসহ দেশের সাধারণ মানুষ।

অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, চলতি বছরের গত চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) পুলিশ সদরদফতরের সিকিউরিটি সেলে ৪ হাজার ৫৬৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে। অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই হাতেনাতে ধরা পড়ায় গ্রেফতার হয়েছেন ২৮ পুলিশ সদস্য। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ৭৮৭ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ সদস্যকে গ্রেফতার ছাড়াও চাকরিচ্যুত ও বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে ৫৭ জনকে। তবে যাদের চাকরিচ্যুত কিংবা বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে পুলিশের কনস্টেবল পর্যায়ের সদস্য বেশি। এছাড়া লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে ২ হাজার ২ পুলিশ সদস্যকে। অভিযুক্ত এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে অনেকের নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বেতন স্কেলে দক্ষতাসীমা অতিক্রম বন্ধ, বেতন স্কেলের নিম্নধাপে অবনমিতকরণ এবং কর্তব্যে অবহেলার জন্য সরকারের আর্থিক ক্ষতির সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ বেতন হতে আদায় করা হচ্ছে। গত চার মাসে পুলিশ সদরদফতরে জমা পড়া অভিযোগের মধ্যে ১ হাজার ৮৮১ জনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে চুরি, ডাকাতি, খুন কিংবা ছিনতাইয়ের মতো গুরুতর সব অপরাধ। ২ হাজার ৩১৫ জনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ঘুষ গ্রহণ, সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও পেশায় নানা অনিয়ম-অনাচারসহ শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ। বাকি ১ হাজার ৩৭০টি অভিযোগ এসেছে ক্ষমতার অপব্যবহার ও স্বেচ্ছাচারিতার।

সূত্র জানিয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের মধ্যে ৩ পুলিশ সুপার, ৭ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ১৮ সিনিয়র সহকারী সুপার, ৪৮ ইন্সপেক্টর, ৮১২ এসআই, ১ হাজার ২১৮ এএসআই, ১ হাজার ১১৫ সার্জেন্ট ও টিএসআই, ৪৩১ হাবিলদার এবং ৩ হাজার ১৩২ জন নায়েক ও কনস্টেবল।

সদরদফতর সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-১৯৮৫ অনুযায়ী অভিযুক্ত এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়া সদরদফতরে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগসূত্র রয়েছে এমন অভিযোগের তদন্ত চলছে পুলিশের ১ হাজারেরও বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পেশাদার বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেই অভিযোগের পাল্লা ভারি। এক পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তারা বলেছেন, রাজনৈতিক উচ্চমহলে যোগাযোগ থাকায় পুলিশের এসব সদস্য সব সময় বেপরোয়া আচরণ করে থাকে। এসব সদস্যের চেইন অব কমান্ড ভাঙার প্রবণতাও বেশি। তাদের মতে, পুলিশকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করতে না পারলে এ বাহিনীকে সাধারণ মানুষের প্রকৃত সেবক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না।

পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হক বলেন, এত বড় বাহিনীতে কিছু খারাপ লোক থাকতেই পারে। তবে কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে পুলিশ সদরদফতর জিরো টলারেন্স নীতিতে বিশ্বাসী।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান বলেন, বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ বাহিনীর আমূল পরিবর্তন দরকার। এ বাহিনীর কিছু সদস্য অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। শাস্তিও হচ্ছে কারও কারও। তবে এ সংখ্যা খুবই কম।

বাহিনীতে কমিটমেন্ট এবং রিসোর্সের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আরও কার্যকর পদক্ষেপ দরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দীন খান বলেন, বিভিন্ন ঘটনায় তদন্তকালে পুলিশ প্রকৃত তথ্য পায় না। আবার অনেক সময়ে প্রতক্ষদর্শীরা ভয়ে পুলিশকে তথ্য দিতে চায় না এমন অভিযোগও রয়েছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে অবশ্যই এ ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মনে করেন। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ নূরুল হুদা বলেন, একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্যদের অপরাধে জড়ানোর খবর দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুপারভিশনের অভাবেই অধস্তনরা সাধারণ কিংবা ফৌজদারি নানা অপরাধে জড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে। এটি বন্ধ করতে হলে অপরাধে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দিয়ে দৃষ্টান্ত তৈরি করতে হবে, যাতে অন্য কেউ নতুন করে অপরাধ করার সাহস না পায়।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।