সংবাদ শিরোনামঃ

গণতন্ত্র না উন্নয়ন? ** দেশ থেকে মানবতা কি বিদায় নিচ্ছে? ** গণতন্ত্রহীনতায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে ** মালয়েশিয়াগামী নিখোঁজদের জন্য আহাজারি ** প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সমীকরণ ** ৩ মাসে ধর্ষণ ১২৩, গতিহীন তদন্ত ** গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধীদল থাকা বাধ্যতামূলক ** জীবন দিতে হচ্ছে বাংলাদেশীদের ** কবি নজরুলের ভুল! ** কমলগঞ্জে ধলাই নদীর তীরে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস ** ধানের দরপতনে ঋণের টাকা পরিশোধে দিশেহারা কৃষক ** নায়ক শেখ আবুল কাসেম মিঠুনের প্রস্থান **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪২২, ১০ শাবান ১৪৩৬, ২৯ মে ২০১৫

মোস্তফা মোঘল, বগুড়া থেকে : গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার  এবং দলের শীর্ষ নেতাদের মুক্তির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বগুড়ায় গত আড়াই বছরে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের নামে প্রায় ২শ’টি মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলার অধিকাংশই দায়ের করেছে পুলিশ। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত। এসব মামলায় জ্ঞাত-অজ্ঞাত আসামি প্রায় দুই লাখ। তবে, বিভিন্ন সময়ে পুলিশের গণগ্রেফতারের কারণে প্রায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘরবাড়ি ছেড়ে ফেরারি জীবন কাটছে জামায়াত-শিবিরের প্রায় আড়াই লাখ নেতাকর্মীর।

অনুসন্ধানে জানাগেছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার প্রথম দফায় ক্ষমতা গ্রহণের প্রায় ৪ বছর পর ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে রাজপথে নামে জামায়াত-শিবির। ওই দিন দুপুরে শহরের জিরোপয়েন্ট সাতমাথায় শত শত জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী ঝটিকা মিছিল বের করে। পুলিশ বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশের টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে আহত হয় কয়েকজন নেতাকর্মী। আটক হয় বেশ কয়েকজন। এরপর থেকেই রাজপথে প্রতিনিয়ত পুলিশের সাথে জামায়াত-শিবিরের ধাওয়া-পাল্টা, সংঘর্ষ চলতে থাকে।

জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা এবং আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির আদেশের পর রাজপথে সংঘাত-সহিংসতা ভিন্নমাত্রা পায়। ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ পর্যন্ত ভয়াবহ গণবিস্ফোরণ ঘটে বগুড়ায়। জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। স্মরণকালের সবচেয়ে সফল হরতাল চলে টানা কয়েকদিন। আল্লামা সাঈদীর মুক্তির দাবিতে ৩ মার্চ মধ্যরাত থেকে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে। বিক্ষুব্ধ জনতাকে থামাতে নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। তাদের সাথে যোগ দেয় র‌্যাব। র‌্যাব-পুলিশের গুলিতে মারা যায় কমপক্ষে ৬ জন। পরবর্তীতে মারা যায় আরও ৩ জন। আহত হয় কয়েক’শ। চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয় ১০ জনের বেশি সাধারণ মানুষ। এই দিনের বিক্ষোভে জেলার বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়ি আক্রান্ত হয়। নন্দীগ্রাম উপজেলা পরিষদ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এসব ঘটনায় প্রায় একশোটি মামলা হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নামে। এসব মামলায় আসামি জ্ঞাত-অজ্ঞাত প্রায় দেড় লাখ। এছাড়াও সরকারবিরোধী আন্দোলনে গত তিন বছরে আরও প্রায় একশোটি মামলা হয়েছে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের নামে। সবমিলিয়ে প্রায় ২শ’ মামলায় জামায়াত-শিবিরের প্রায় দুই লাখ নেতাকর্মী আসামি। ইতোমধ্যেই জেলা আমীরসহ এক হাজারেরও অধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। এখনো কারাগারে আছেন দেড়শরও বেশি নেতাকর্মী। এদের মধ্যে শিবিরের কর্মীর সংখ্যাই বেশি।

পুলিশের ব্যাপক ধর-পাকড়ের মধ্যেই বিগত উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে ব্যাপক সাফল্য পায় জামায়াত। জোটমিত্র বিএনপির সাথে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জেলার ১২টি উপজেলার মধ্যে ৫টিতে চেয়ারম্যান, ৭টিতে ভাইস চেয়ারম্যান ও ২টিতে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয় পায় জামায়াত সমর্থিতরা। কিন্তু পরবর্তীতে জামায়াত সমর্থিত ৩ জন চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করে সরকার। যদিও হাইকোর্টে রিট করে তারা পুনরায় স্বপদে বহাল হয়েছেন। এছাড়া জামায়াত সমর্থিত ৪ জন উপজেলা চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়। ৩ জন জামিনে মুক্ত হলেও শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আলমগীর হুসাইন এখনো কারাগারেই রয়েছেন।

দীর্ঘ ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে জামায়াতের জেলা ও শহর অফিস। পুলিশের অব্যাহত অভিযানে জামায়াত-শিবির ঝটিকা মিছিল ছাড়া প্রকাশ্যে কোনো কর্মসূচিই পালন করতে পারছে না। তবে, নীরবে সংগঠনকে গুছিয়ে নেয়ার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বগুড়া জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক মাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, সরকারের অব্যাহত জুলুম-নির্যাতন সত্ত্বেও জামায়াত-শিবির লক্ষ্যচ্যুৎ হয়নি। দেশের মানুষকে একটি সুখী, সমৃদ্ধশালী, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ উপহার দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় প্রায় আড়াই লাখ নেতাকর্মী মাসের পর মাস বাড়িঘর ছেড়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে। অনেকের পরিবারের লোকদের দিন কাটছে অনাহারে-অর্ধাহারে। শুধুমাত্র ইসলামী আন্দোলন এবং দেশের মানুষের স্বার্থে নেতাকর্মীরা এসব কষ্ট হাসিমুখে মেনে নিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, একদিন এই জুলুমের অবসান হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।