দেখার কেউ নেই

অস্বাভাভিক হারে বাড়ছে পণ্যমূল্য

অস্বাভাভিক হারে বাড়ছে পণ্যমূল্য

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজি বন্ধ হচ্ছে না। তারা নাজুক পরিস্থিতির মধ্যেও মদুজদারির মাধ্যমে পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের ঠকাতে কুণ্ঠাবোধ করছেন না। পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকলেও ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বিশেষ করে রমজান এলেই ব্যবসায়ীদের মধ্যে দাম বাড়ানোর এই অসুস্থ প্রতিযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিকে কৃষক যথাযথাভাবে উৎপাদিত পণ্যের (বিশেষ করে সবজি) সঠিক দাম পাচ্ছেন না; অন্যদিকে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ এসব পণ্যের দাম ব্যবসায়ীরা রমজানকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করেছেন। চালের দাম গত এক মাসে কয়েক দফায় বৃদ্ধি করেছেন। এছাড়া রোজায় ইফতার আইটেমগুলোর (ছোলা, মুড়ি, বেসন) দামও বেড়েছে। তাছাড়া বাজারে নতুন করে বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার দাম। মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে রোজার মতো একটি ইবাদত পালনকালে যেখানে ব্যবসায়ীদের পণ্যের দাম কমানো জরুরি ছিল, তা না করে তারা উল্টো মূল্যবৃদ্ধি করে ইবাদতকারীদের কষ্ট দিচ্ছেন। তাছাড়া বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনায় আক্রান্ত হাজার হাজার মানুষ। এতে মৃত্যের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রায় পুরো দেশ লকডাউন করে ফেলা হয়েছে। সাধারণ মানুষের কাজকর্ম নেই। চলছে অর্থ সঙ্কট। এই অবস্থায় পণ্যের দাম কমানো জরুরি হলেও অসাধু ব্যবসায়ীদের দমনে সরকারের তৎপরতা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছেন ক্রেতারা।

বিভিন্ন বাজারের খবর নিয়ে জানা গেছে, বাজারে নতুন পেঁয়াজ ওঠার পরে দাম নেমে এসেছিল ৩০ টাকায়। করোনার প্রভাবে যখন বাজার উত্তাল, তখনো রান্নাঘরের এ প্রধান মশলাটির দাম ৪০ টাকার বেশি ছিল না। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানে রমজান সামনে রেখে দাম আবারও ৭০ টাকা ছাড়িয়েছে। কারণ বাজারে পাইকারিতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর খুচরা বাজারে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। আরও দুটি প্রধান মশলার দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। দেড়শ’ টাকার আদা পৌঁছেছে ৩০০ টাকায়। ৮০ টাকার দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও দেশি রসুন ১১০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল রয়েছে চালের বাজার। অন্য সময় থেকে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে চালের দাম। মাঝারি মানের চাল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। আর চিকন দানা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৮ টাকায়। ভালোমানের ব্র্যান্ডের চালগুলো প্রায় বাজারশূন্য হয়ে গেছে। এদিকে গত সপ্তাহের মতোই কাঁচাবাজারে সবজিগুলো বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে আর দাম বাড়েনি। গরুর গোশতের দাম কিছুটা বাড়লেও দাম বাড়েনি ব্রয়লার, দেশি মুরগি ও ডিমের দাম। এদিকে মাছের বাজারেও নতুন করে দাম বাড়েনি।