খাদ্যাভাবে দেশজুড়ে ক্ষুধার্তদের বিক্ষোভ অব্যাহত

 

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়েছেন স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যানগণ। বলেছিলেন, করোনা পরিস্থিতিতে যাতে না খেয়ে থাকতে না হয়, সেজন্য খাদ্য সহয়তা দেয়া হবে। কিন্তু অনেকেই সেই কাঙ্ক্ষিত সহায়তা না পেয়ে ক্ষুধার জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে সড়কে বিক্ষোভ করেছেন। কোথাও সরকারি দফতর ঘেরাও করে আবার কোথাও সড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ক্ষুধার্ত মানুষগুলো। কাজ নেই, ঘরে খাবার নেই, তাই বাধ্য হয়েই তারা রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন বলে গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধরা। দেশের অনেক জেলায় বেশ কয়েকদিন ধরে ক্ষুধার্তদের এ বিক্ষোভ চলছে। তারা বলছেন, ত্রাণ ও ১০ টাকা কেজিদরে সরকারি চাল চুরি হয়ে যাওয়ায় তাদের কাছে তা পৌঁছায় না। অবশ্য সরকারের কাছেও এসব অনিয়মের তথ্য রয়েছে। সে কারণে ত্রাণের চাল চুরি ঠেকাতে ইতোমধ্যে দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ জন সচিবকে ত্রাণ সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

 à¦¤à§à¦°à¦¾à¦£à§‡à¦° দাবিতে ঝড়-বৃষ্টির মাঝেও বিক্ষোভ

 à¦¦à¦¿à¦¨à¦¾à¦œà¦ªà§à¦°à§‡à¦° বীরগঞ্জে ক্ষুদ্র নৃজনগোষ্ঠীর তিন শতাধিক নারী-পুরুষ ঝড়-বৃষ্টির মাঝেও ত্রাণের দাবিতে উপজেলার প্রধান ফটকসংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন। গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মাঝে তারা ত্রাণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনের মহাসড়কে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। অবরোধ ও বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, আমরা করোনার কারণে ঘর থেকে বের হতে পারছি না। আমরা গরিব মানুষ। দিন আনি দিন খাই। কাজ না করলে না খেয়ে থাকতে হয়। ত্রাণ না পেয়ে বাধ্য হয়েছি এখানে আসতে। আমাদের জনপ্রতিনিধিরা মুখ চিনে চিনে ত্রাণসামগ্রী দিচ্ছেন। আমাদের কিছুই দেননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, বীরগঞ্জ পৌর এলাকায় ত্রাণ দেয়ার দায়িত্ব পৌর মেয়রের। আমি তাদের সাথে কথা বলেছি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অসহায় দরিদ্র মানুষের যারা এখনও ত্রাণ পায়নি, তারা যাতে দ্রুত ত্রাণ পায় সেই ব্যবস্থা করবো।

 à¦–াবারের দাবিতে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও

 à¦¬à§à¦°à¦¾à¦¹à§à¦®à¦£à¦¬à¦¾à§œà¦¿à§Ÿà¦¾à¦° সরাইলে খাবারের দাবিতে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অসখ্য মানুষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় ঘেরাও করে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেয়। এ সময় তারা ত্রাণের দাবিতে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। উপস্থিত ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার সৈয়দটোলা, ব্যাপারীপাড়াসহ কয়েকটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের সরকারি ত্রাণ দেয়ার কথা থাকলেও তাঁরা তা পাননি। এতে চলমান সংকটে কর্মহীন এসব মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। বাধ্য হয়েই গত ২১ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁরা এ বিক্ষোভ করে। পরে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা বিক্ষুব্ধদের ত্রাণের আশ্বাস দিলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

 à¦°à¦‚পুরে ত্রাণের দাবিতে চার স্থানে সড়ক অবরোধ

 à¦°à¦‚পুরে করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষ খাদ্যের দাবিতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এসব মানুষের অভিযোগ, এখন পর্যন্ত তাদের কাছে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বিতরণ করা কোনো খাদ্য সহায়তা পৌঁছেনি। পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। গত ২০ এপ্রিল সোমবার দুপুরে রংপুর নগরীর চারতলা মোড় ট্রাকস্ট্যান্ড সড়ক, বদরগঞ্জ রোডের মুন্সির মোড়সহ পৃথক চারটি স্থানে খাদ্যের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শত শত নারী-পুরুষ। বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, করোনা সংক্রমণ রোধে তারা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বাড়িতে আছেন। কিন্তু এ কর্মহীন সময়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে কষ্টে দিনযাপন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা তাদের দেয়া হয়নি। অন্যদিকে দুপুর ১২টার দিকে রংপুর নগরীর পুরাতন ট্রাকস্ট্যান্ড ও চারতলা মোড় এলাকায় সড়ক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ত্রাণ সুবিধাবঞ্চিত লোকজন। তাদের অভিযোগ, সংসদ সদস্য সাদ এরশাদ ও ওয়ার্ড কাউন্সিলররা ত্রাণ দেয়ার আশ্বাস দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ দেননি। বরং পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে বলে বলে এক মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেছেন। এতে অসহায় দিনমজুর পরিবারগুলোয় খাদ্য সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

 

নীলফামারীতে অবরোধ বিক্ষোভ

 

ত্রাণের দাবিতে নীলফামারীতে ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমজীবী মানুষ। গত ২০ এপ্রিল সোমবার দুপুরে নীলফামারী-সৈয়দপুর সড়কের টেক্সটাইল এলাকায় এই কর্মসূচি পালন করেন তারা। এতে চড়াইখোলা ও কুন্দপুকুর ইউনিয়নের হাজারো মানুষ অংশ নেন। এক ঘণ্টা পর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বেলায়েত হোসেন উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ মানুষকে ত্রাণ দেয়ার আশ্বাস দেয়ায় অবরোধ তুলে নেন তারা।

 à¦ à¦¾à¦•à§à¦°à¦—াঁওয়ে খাদ্যের জন্য কর্মহীনদের বিক্ষোভ

 à¦•à¦°à§‹à¦¨à¦¾à¦­à¦¾à¦‡à¦°à¦¾à¦¸à§‡à¦° প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের মানুষ ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন। গত ১৯ এপ্রিল রোববার বিকেলে টাঙ্গন নদীসংলগ্ন বালিয়াডাঙ্গী মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে কয়েকশ’ পরিবার। পরিবারগুলোর অভিযোগ, সরকার ও পৌরসভা থেকে তারা কোনো প্রকার সহায়তা পাননি। কাউন্সিলর তাদের কাছ থেকে সহায়তা দেয়ার কথা বলে ভোটার আইডির ফটোকপি কয়েকবার নিয়ে গেলেও আর কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি। এ সময় তারা ত্রাণের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের প্লাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দেন।