হজ গাইডলাইন কর্মশালায় আমীরে জামায়াত
আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে
গত ৭ মে মঙ্গলবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে হজ গাইডলাইন কর্মশালা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মোনাজাত পরিচালনা করেন দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, হজ একটি মৌলিক ইবাদত। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হজ পালন করা। মহান আল্লাহ যাদের আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও শারীরিকভাবে সুস্থ রেখেছেন. তাদের জন্য হজ অবশ্যই পালনীয় বা বাধ্যতামূলক ফরজ ইবাদত। একজন মুসলিম হিসেবে আমরা চাই, হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজ ইবাদত যেন আল্লাহ আমাদের সকলের জন্য কবুল করেন। একে অন্যের প্রতি বিশেষ দরদভরা মন নিয়ে হজের সময়ে সেখানে অবস্থান করবেন। ২০২৪ সালে হজে যাওয়ার জন্য যারা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন, তারা মূলত এখন থেকেই মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে গণ্য হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দাওয়াত এসেছে বলেই আপনারা হজে যেতে পারছেন। যে আল্লাহ আপনাকে তার মেহমান হিসেবে কবুল করেছেন, এখন থেকে জীবনের বাকি সময়টুকুও ঐ আল্লাহর হুকুম পালনে তার রাস্তায় নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে। বাংলাদেশের সবুজ ভূ-খণ্ডে পরিপূর্ণভাবে ইকামতে দীনের বিজয়ের জন্য সত্য ও সুন্দরের পক্ষে দৃঢ়তা প্রদর্শন করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে গত ৭ মে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি মিলনায়তনে ২০২৪ সালে হজ গমনেচ্ছুদের নিয়ে হজ গাইডলাইন কর্মশালা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান। কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় হজের গাইডলাইন প্রদান করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট আলেমেদীন মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মু. দেলাওয়ার হোসাইন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে শামসুর রহমান, এডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, সহকারী অফিস সম্পাদক আব্দুস সাত্তার সুমন, সহকারী সমাজকল্যাণ সম্পাদক শাহীন আহমদ খানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদতটি কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে পালন হওয়া খুবই জরুরি। এখানে অনেক কর্মসূচি রয়েছে, যা একজন হাজীকে পর্যায়ক্রমে সম্পাদন করতে হয়। আজ হজ গাইডলাইন কর্মশালায় সেই বিষয়গুলো শেখানো হয়েছে। এজন্য ঢাকা মহানগরী দক্ষিণকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। প্রিয় রাসূল (সা.) হজ পালনে যেসব নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, সেভাবেই সবার হজ পালন হওয়া দরকার। সফল হজ বা হজে মাবরুর আল্লাহর নিকট কবুল হওয়ার জন্য যথাযথ নিয়মগুলো হাজীদের অনুসরণ করতে হবে- যাতে করে হজ পালন শেষে আমরা নিজেকে পূতঃপবিত্র করতে পারি। যাদের আল্লাহ রাব্বুল আলামিন হজ পালনে কবুল করেছেন, তারা অবশ্যই সম্মানিত। তাদেরকে এটাও মনে রাখতে হবে- এ হজ পালনের বাইরেও সামগ্রিক জীবনে আমাদের আরো কিছু মৌলিক ইবাদত ও দায়িত্ব মহান আল্লাহ প্রদান করেছেন। সেসব ইবাদতেও যেন আমরা লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক বলার যোগ্যতা অর্জন করি। খেয়াল রাখতে হবে, হজ পালনের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে যেন সকল পর্যায়ে এটা আমাদের দাওয়াতি কাজেরও অংশ হিসেবে পরিগণিত হয়।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, পবিত্র হজ পালন আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দার নৈকট্য লাভের একটি মাধ্যম, যা আল্লাহর আদেশ। তিনি যাকে পছন্দ করেন, তাকে তার মেহমান হিসেবে কবুল করে নেন। সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে হজ পালনের মাধ্যমে মূলত আল্লাহর কাছে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমাদের হজ পালন করা যেন শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতা না হয়, বরং তা যেন আমাদের আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের মাগফিরাতের উছিলায় পরিণত হয়, সে ব্যাপারে হাজী সাহেবদের সচেতন থাকতে হবে।
ড. খলিলুর রহমান মাদাীন বলেন, ইসলামের মূল স্তম্ভসমূহের পঞ্চমটি হলো হজে বায়তুল্লাহ। ঈমান, নামায, জাকাত ও রোজার পরই হজের অবস্থান। হজ মূলত শারীরিক ও আর্থিক উভয়ের সমন্বিত একটি ইবাদত। তাই উভয় দিক থেকে সামর্থ্যবান মুসলিমের ওপর হজ পালন করা ফরজ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যারা হজে যাওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন, তারা প্রকৃত আল্লাহর মেহমান। তাই প্রত্যেকের উচিত সর্বদা আল্লাহর আনুগত্য ও তার মুহববতের অনুভূতি নিয়ে সেখানে অবস্থান করা। বায়তুল্লাহ ও আল্লাহর অন্যান্য নিদর্শনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। সকল প্রকার গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা। হজে থাকা অবস্থায় পরিবার-পরিজন ও নিজ দেশের কল্যাণে বিশেষ দোয়া করা আপনাদের নিকট এটা আমাদের সবার চাওয়া।
হজ গাইডলাইন কর্মশালা ও দোয়া অনুষ্ঠানে আল্লাহর মেহমান সম্মানিত হাজীদের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার হিসেবে লাগেজ ব্যাগসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
এ পাতার অন্যান্য খবর
- সব নির্বাচনই অগ্রহণযোগ্য
- হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- দেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই
- স্মৃতিতে অম্লান মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী
- ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক আসবে কবে?
- আওয়ামী অর্থনীতিবিদদের টার্ন অ্যারাউন্ড
- ফিলিস্তিনের পক্ষে জাগছে বিশ্ববিবেক
- নিউইয়র্কে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
- রেলের ভাড়া বৃদ্ধি অনির্বাচিত সরকারের জনস্বার্থবিরোধী পদক্ষেপ : মিয়া গোলাম পরওয়ার
- বাড়ছে দুর্ঘটনা, ঘটছে প্রাণহানি
- দীন প্রতিষ্ঠার চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে
- বিরোধীদলের ডাকে জনগণের ভোট বর্জন
- শাহাদাতে বালাকোট আমাদের প্রেরণা
- গাজা গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছেন আনোয়ার ইব্রাহিম