সংবাদ শিরোনামঃ

বিএনপি-জামায়াতকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না ** ভারতে নেই বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ** ঢাকায় ১৮ দলীয় জোটের গণমিছিল ** রাজধানীতে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে ** মিন্দানাওয়ে সংঘাত অবসানের সম্ভাবনা ** দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্যই মন্ত্রী এমপিদের কাজ করতে হবে ** সাম্প্রদায়িকতার আওয়ামী ছোবল ** অবিলম্বে জামায়াত নেতা আলাউদ্দিনের খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে : সেলিম উদ্দিন ** আধুনিক মহাকবি ফররুখ আহমদ ** ঝিনাইদহে সবজি চাষে বিপ্লব চাষির ভাগ্যে মেলে না ন্যায্য দাম **

ঢাকা শুক্রবার ৪ কার্তিক ১৪১৯, ২ জিলহজ্ব ১৪৩৩, ১৯ অক্টোবর ২০১২

রাজধানী ঢাকার যানজটের নিত্যদিনের চিত্র

যানজটে সময় নষ্ট হচ্ছে ৮১৬ কোটি ঘণ্টা ॥ আর্থিক ক্ষতি প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা
॥ ফারুক আহমাদ॥
অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে রাজধানীতে যানজটের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন বৃদ্ধি ও সড়ক স্বল্পতা, অবৈধ পার্কিং, রাস্তা, ফুটপাত দখল, মাত্রাতিরিক্ত প্রাইভেটকার, যত্রতত্র রেলক্রসিং, অকার্যকর ও ত্রুটিপূর্ণ ট্রাফিক সিগনাল ব্যবস্থা, যেখানে-সেখানে বাস কাউন্টার স্থাপন, ঢাকা কেন্দ্রিক সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও ট্রাফিক পুলিশের অপ্রতুলতা এবং ট্রাফিক আইন মেনে না চলার প্রবণতার কারণে রাজধানীতে যাতায়াত ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়েছে। এক ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগছে ২ থেকে আড়াই ঘণ্টা।

অপরদিকে রাজধানীর চালকদের ৯৮ শতাংশই বিআরটিএ’র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নয়। ফলে বিশ্বের অন্য দেশের শহরের তুলনায় ৪০-৫০ গুণ বেশি দুর্ঘটনা হচ্ছে ঢাকায়। যানজটের কারণে প্রতিবছর ৮ শত ১৬ কোটি ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে, যার বাৎসরিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার ৫ শ’ ৫৫ কোটি টাকা।

খোদ ডিটিসিবি’র হিসাবে, ১৯৯১ সালে রাজধানীতে পথচারীরা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৬৭ শতাংশ তা ২০০৮ এ দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে। এখানে ১৯ শতাংশ হেঁটে, ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসে, ৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ রিকশায় এবং ৫ দশমিক ২ প্রাইভেট গাড়িতে যাতায়াত করে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়ক, নদী ও রেল পথসহ তিনটি মাধ্যমকেই যথাযথভাবে উন্নত করা হলে যানজটের তীব্রতা হ্রাস পাবে।

সিটি কলেজের কাউসার বলেন, আমাদের মতো সাধারণ ঘরের সন্তানদের কি হবে? আমাদের তো গাড়ি নেই। সকালে কাসে যেতে রিকশার জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ১ ঘণ্টা। এরপর বাসস্ট্যান্ডে গেলে বাস থাকে না, সেখানেও দাঁড়িয়ে থাকি আরও ১ থেকে দেড় ঘণ্টা। প্রায় দিনই কাসে যেতে দেরি হয়। টিচার জিজ্ঞাসা করে দেরি কেন? বলি গাড়ি পাই নাই, স্যার। তিনি বলেন, এটা কোনো কারণ না। যাও এই কাস আর তোমার করতে হবে না। ধমক দেন। দু’একদিন কাস থেকে বেরও করে দেন। কিন্তু আমরা কি রাস্তার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি পাবো না?

রাজধানীর পল্টনের একটি অফিসে কাজ করেন নূর মোহাম্মদ। তিনি যাতায়াত ব্যবস্থার বিশৃঙ্খলার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, আমি প্রায় দিন যাত্রাবাড়ী থেকে হেঁটে পল্টনে যাই। কারণ গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাই না। গাড়ির মধ্যে এতো ভিড়! এক গাড়িতে তিন গাড়ির লোক তোলা হয় গাদাগাদি করে। আবার পল্টন পর্যন্ত যাইতে ২০ মিনিটের রাস্তায় লাগে দেড় ঘণ্টা। লোকাল বাসে আপনি বসার জায়গা তো দূরে থাক, দাঁড়ানোর জায়গা পর্যন্ত পাবেন না। কারণ আপনি বাস ধরতে ধরতেই আরও মানুষ বাস এর মধ্যে বাদুর ঝোলা হয়ে ঝুলে যাচ্ছে। আবার দেখা যাচ্ছে অনেক বাস কোনো ধরনের সেবার মান উন্নয়ন করেনি। অথচ তারা নিজেদের সিটিং বাস গাঁয়ে লেখে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছ থেকে। এতদিন জানতাম রিকশা হচ্ছে মধ্যবিত্তের বাহন। কিন্তু আমার মতো মধ্যবিত্তরা আজ এই রিকশা ভাড়া বহন করার মতা রাখে না অফিস টাইমে এরাও রাজবংশীয় লোক বনে যায়। যাবেই না কোথাও। ৫-৬ জনকে জিজ্ঞাসা করার পরও যদি কেউ যেতে চায় তারা ভাড়া চায় আসল ভাড়ার দিগুণ বা তিনগুণ।

মধ্য বয়সী এক সাংবাদিক ফোন করে তার যাতায়াতের দুর্ভোগ নিয়ে বলেন, ভাই আমার ৩০ মিনিটের রাস্তা পৌঁছাতে সময় লেগেছে দুই ঘণ্টার উপরে। পাবলিক বাসগুলোতে গাদাগাদি করে মানুষ তুলছে। পুলিশের প্রিজন গাড়ির চেয়ে এসব বাসগুলো মারাত্মক। বসা তো দূরে থাক দাঁড়ানোর মতো জায়গাও নেই। বাস ব্রেক কষলে একজন যাত্রীর গাঁয়ের উপর আরেকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ে। নেই কোনো ধরনের সেবার মান। ফ্যান তো না-ই বরং বেশির ভাগ গাড়িতে বসার সিটগুলো পর্যন্ত ভাঙ্গা, নোংরা।

সর্বনিম্ন ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকার সর্বনিম্ন ভাড়া করেছে ৫ টাকা। তাহলে কেন তারা কিলোমিটারের হিসাব দাঁড় করিয়েছে। ভাড়া বেড়েছে কিন্তু যাত্রীদের জন্য সেবার কোনো উন্নতি হয়েছে কি?

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পথের যাত্রী সায়মা বলেন, আমি প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকায় এসে চাকরি করি। বিকেলে বাড়ি ফেরার পথে পল্টনে গাড়ির জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় দুই আড়াই ঘণ্টা। আবার বাস যানজটে আটকা পড়ে থাকে কয়েক ঘণ্টা। এভাবে অযথা প্রায় ৪-৫ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। কিন্তু ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেল লাইনটি যদি দুই লাইনে করা যেত তাহলে রেলে যাতায়াত করে অনেক সময় বাঁচানো যেত। যা আমার পরিবারে দিতে পারতাম। কিন্তু সুযোগ না থাকায় গাড়ির জন্য অপো করে সময় নষ্ট করছি।

কমলাপুর থেকে টঙ্গী পথের নিয়মিত যাত্রী রিয়াজ হোসেন বলেন, টঙ্গী থেকে কমলাপুর আসতে রেলে আধা ঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা লাগে। এ পথে যাতায়াত করা যানজট থেকে বাঁচা যায়। বাসে টঙ্গী যাতায়াত যেন কষ্টের অন্ত থাকে না। এ লাইনে ভালো সার্ভিস দিলে আমাদের যাত্রীদের উপকার  হতো।  

রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, রেলের যাত্রীসেবার মান উন্নয়ন করা হবে। আগামীতে ঢাকার আশেপাশে রেল যোগাযোগের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া হবে। তাছাড়া রাজধানীতে মেট্রো রেল পথ নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে আশা করি যানজট সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিআরটিসি, বিকল্প সিটি সুপার সার্ভিস লিমিটেড, সূচনা বিআরএফ, ফাল্গুন আর্ট ট্রান্সপোর্ট (প্রা.) লি., ২৭ নম্বর ভিআইপি সেফটি সিটিং সার্ভিস ও মেগাসিটি বাস কোম্পানী লি.সহ রাজধানীতে ৩০ টি বাস সার্ভিস চালু রয়েছে। সূচনা বি.আর.এফ আজিমপুর এতিমখানা মোড় থেকে ছেড়ে কলাবাগান, আসাদগেট, ফার্মগেট, মহাখালী, বনানী, হয়ে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং পর্যন্ত চলাচল করে। বিআরটিসি ও বেভকো সিএনজি পরিবহনের গাড়িগুলো ইডেন কলেজের থেকে  সায়েন্সল্যাব, কলাবাগান, আসাদগেট, খামারবাড়ী, কাকলী, বনানী হয়ে আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত চলাচল করে। বিআরটিসিতে কাকলী-বনানী পর্যন্ত ভাড়া ২০ টাকা। এই পরিবহন দুটিতেই আবদুল্লাহপুর পর্যন্ত ৩০ টাকা ভাড়া নেয়া হয়। আজমেরী গ্লোরী লি. ও স্কাইলাইন এক্সপ্রেস লি. সদরঘাট.থেকে গাজীপুর বাইপাস হয়ে চন্দ্রা পর্যন্ত চলাচল করে সদরঘাট থেকে মহাখালী এয়ারপোর্ট, গাজীপুর বাইপাস ও চন্দ্রার ভাড়া যথাক্রমে ২০ টাকা, ৩৫ টাকা, ৫০ টাকা ও ৭৫ টাকা।

কর্ম ঘণ্টা নষ্ট : চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব লজিস্টিক এন্ড ট্রান্সপোর্ট বাংলাদেশ এবং মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) পরিচালিত ২০১১ সালের গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঢাকায় যানজটের কারণে ৮ দশমিক ১৬ বিলিয়ন অর্থাৎ ৮১৬ কোটি ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। যার বাৎসরিক আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৯ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা।

রেলক্রসিং : রাজধানীর ভিতর দিয়ে রেল চলাচল যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ। রেলওয়ের প্রকৌশলী সুবক্তগীনের তথ্য মতে, ১৯৮৩ সালের ১৪২ ও ১৪৩ মটরযান অধ্যাদেশ দ্বারা রেল চালিত হচ্ছে। ঢাকা ডিভিশনে মোট রেল লাইনের পরিমাণ ২৭৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার। ঢাকা-টঙ্গী ১৬ কিলোমিটার, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ২২ কিলোমিটার, মোট ৩৮ কিলোমিটারের মাঝে ৪টি ব্রিজ, ৩৫টি গেইট, গেন্ডারিয়া, কমলাপুর, তেজগাঁও, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট ও বিমানবন্দরসহ ৬টি রেলস্টেশন রয়েছে।  প্রতিদিন গড়ে ৭২টি রেল ঢাকায় যাতায়াত করে থাকে। ৭২টি রেল ৩৫টি গেইট দিয়ে চলাচলের সময় ৫ মিনিট করে বন্ধ রাখলেও প্রায়  ৬-৭ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়। প্রতিদিন ১ ঘণ্টা পর পর ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ শহরে ১০ টি রেল যাতায়াত করে থাকে। 

মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক) মাহবুবুর রহমান বলেন, মূল সড়ককে তিনভাগে ভাগ করে প্রতিটি গাড়ীকে নিজ নিজ লাইনে যাওয়ার জন্য তাগিদ দেয়া হচ্ছে। তাছাড়া দড়ি, বাশ ও লোহার রড দিয়েও রোড বিভক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনানুযায়ী ট্রাফিক নেই বর্তমানে। ৮ শতাধিক সার্জেন্টের তুলনায় আছে ৪২৫ জন। টিআই ৮০ জনের স্থলে ৪৫ জন। ঢাকার ৪টি ট্রাফিক জোনে ৭০টি পয়েন্টে ২০ শতাংশ সিগনালবাতি অকেজো হয়ে আছে। ৩ হাজার ৫ শতাধিক কনস্টেবলের স্থলে রয়েছে ৩ হাজার ১৯৮জন। 

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গির আলম বলেন, ঢাকা যানবাহন সমন্বয় বোর্ড (ডিটিসিবি) ২০১১ সালের তথ্য মতে রাজধানীতে চলাচলকারী যানবাহনের সংখ্যা ১০ লাখের উপরে। অথচ ঢাকার সড়কের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১ দশমিক ৫ লাখ। রাজধানীর সুষ্ঠু পরিবহণের জন্য ১২ থেকে ১৫ শতাংশ সড়কের বিধান থাকলেও আছে মাত্র ৮ শতাংশ রাস্তা। ১৯৯২ সালে রাজধানীতে প্রতি কিলোমিটারে গাড়ি চলাচল করতো ২৪৬ দশমিক ৪৯টি বর্তমানে তা ৫ শতাধিকের উপরে। ২০০৩ সালে মোট গাড়ি চলাচল করত ৩ লাখ ৩ হাজার ২১৫ টি এবং ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ১৯৭ টিতে। 

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)র চেয়ারম্যান আইউবুর রহমান বলেন,ঢাকা রাজধানীতে সড়কের পরিমাণ ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার, আয়তন ৫শ’ ৯০ বর্গমাইল। প্রধান সড়ক ৩শ’ ৮৮ কি.মি., ৬৯ শতাংশ সড়ক ৮ দশমিক ৭ মিটারের চেয়ে কম। ৪০০ কিলোমিটারের বেশি ফুটপাত ফড়িয়াদের দখলে। ৩০ ধরণের প্রায় ১৫ লাখ গাড়ি চলাচল করে। রিক্সা ৮ লাখ, প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক নতুন গাড়ি নামে। প্রাইভেটকারগুলো ৯ শতাংশ যাত্রী বহন করলেও জায়গা দখল করে ৩৪ শতাংশ।

ঢাকার যানজট নিয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)র দুর্ঘটনা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শামসুল হক বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের খেসারত রাজধানীবাসীকে দিতে হচ্ছে। প্রতিনিয়ত যানজটের কবলে পড়ে আমরা কত সময়, শ্রম, মেধা ও কর্মঘণ্টা নষ্ট করে চলেছি এর কোনো হিসাব নেই। শুধু সড়ক পথের উপর গুরুত্ব দিতে গিয়ে আমরা নদীপথ ও রেল পথকে উপো করেছি। ফলে যানজট বিকট আকার ধারণ করেছে। ঢাকা শহরের এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যেতে ২০ মিনিটের রাস্তায় সময় ব্যয় হচ্ছে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা। ২০ বছরের পরিবহন পরিকল্পনায় ঢাকার পূর্ব-পশ্চিম পাশে ৫০টি নতুন সড়ক সংযোগ ও নিমার্ণের পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। ঢাকায় প্রতিদিন ১৯০টি নতুন গাড়ি নামানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা এতটাই খারাপ হয়েছে যা থেকে বের হয়ে আসা সহজ নয়। আল্লাহ আমাদের উপর রহম করে ঢাকার চারপাশে ৪টি নদী দিয়েছিল। কিন্তু আমরা এক দুর্ভাগা জাতি যে সব কটিকেই ধ্বংস করে ফেলেছি। রেল পথ, নৌপথ ও সড়কপথসহ তিনটি মাধ্যমেই যদি সমান গুরুত্ব দিয়ে গ্রহণ করা হয় তবে রাজধানীর যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নতি হতে পারে। 

তিনি আপে করে বলেন,রেল পথকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে তা সড়কের সাথে সমস্যার সৃষ্টি হয়। দৈনিক ঢাকায় ৬৫-৭২টি রেল যাতায়াতের ফলে ক্রসিংগুলো বন্ধ রাখতে হয়। আবার ঢাকায় ফাইওভার করে ভবিষ্যতে যে রেল যোগাযোগের েেত্র উন্নয়ন কিছু করবে তার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। টঙ্গীতে একটি রেল ঢুকলেই তাকে ২৫ কিলোমিটার বেগে চালাতে হয়। আর তা না করলে নির্ঘাত দুর্ঘটনায় পতিত হবে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এ অবস্থা কিন্তু নেই। আমরা রেল পথকে অবহেলা করে ধূলিসাৎ করে দিয়েছি।

স্বতন্ত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শামসুল হক বলেন, নদীপথ, সড়ক ও রেলপথকে সমান গুরুত্ব দিয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে রাজধানীর যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাভাবিকতায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে এ জন্য কোনো প্রকার অবহেলা বা অবঝজ্ঞার সুযোগ নেই। তবে এ জন্য রেলপথে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তাছাড়া রেলে সব সময় দুর্ঘটনাও কম হয়ে থাকে। রাজধানীতে প্রাইভেট গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা না হলে যানজট নিরসন সম্ভব নয়। যত্রতত্র পার্কিং সুবিধা বন্ধ করতে হবে। বিআরটিসি ও অন্য বাস সার্ভিস গুলোর প্রতি যতœà¦¶à§€à¦² হওয়া একান্ত প্রয়োজন। ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদের পরিবর্তে তাদেরকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফুটপাত ব্যবহারের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কারণ দেশের একটি বিশাল অংশ এখানে ব্যবসা  করে অর্থনৈতিক েেত্র অবদান রাখছে।

বুয়েটে’র দুর্ঘটনা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড.হাসিব মুহাম্মাদ আহসান বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষ দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এ সংখ্যা বেশি। আর বাংলাদেশ তা ৪০-৫০ শতাংশ বেশি সংঘটিত হয়। দেশের ৭০-৮০ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়ে থাকে মহাসড়কে। এতে ৫০-৭০ শতাংশ পথচারী আক্রান্ত হয়। তার মধ্যে শহরে ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনা হয়ে থাকে বাস,ট্রাক ও মিনিবাসের কারণে। এটি মোট যানবাহনের ৪ শতাংশ মাত্র। সড়কসংযোগ স্থানে ৫০ শতাংশ দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়। এসবের ড্রাইভারদের বয়স ২৬-৩৫ বছরের মধ্যে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে বিভিন্ন দুর্ঘটনার মাঝে ১৯৯০ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দিক দিয়ে বাংলাদেশ ৯ ম স্থানে ছিল তা ২০২০ সালে ৩য় স্থানে এসে দাঁড়াতে পারে।

বাংলাদেশের শহরগুলোতে যে পরিমাণ দুর্ঘটনা হয়ে থাকে তা বিশ্বের অন্যকোনো দেশের শহরে হয় না। আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় ১০-১২ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারায়। এদের মধ্যে ২১ শতাংশই শিশু। ১৯৯৮-২০০৬ সালের মধ্যে বিভিন্ন দেশে যে দুর্ঘটনা হয়েছে সে তুলনায় ঢাকা শহর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।  চীনের হংকং এ ৬৭টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছে ও তাইপাইয়ে ১৯ টি দুর্ঘটনায় ১৩জন আক্রান্ত হয়েছে, কোরিয়াতে ৪৮টি দুর্ঘটনা ঘটে, সিঙ্গাপুরে ২৫টি দুর্ঘটনায়  ১৭ জন আক্রান্ত হয়, মালেশিয়াতে ১৫টি দুর্ঘটনায়  ১৩জন আক্রান্ত হয়েছে, ঢাকায় ৬২টি দুর্ঘটনায়  ৩২ জন আক্রান্ত হয়েছে, নেপালে ৪৫টি দুর্ঘটনায়  ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছে, পাকিস্তানের করাচিতে ৫০ টি দুর্ঘটনা হয়, শ্রীলঙ্কায় ৪৫টি দুর্ঘটনায়  ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছে।

ঢাকা শহরে যানজট সৃষ্টির অন্যতম কারণ হচ্ছে অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত চালকদের কারনে। এরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে  কোন প্রতিষ্ঠানিক স্থান থেকে ড্রাইভিং শিখে না। ট্রাফিক আইন-কানুন জানে না এবং মানে না। নিজের ইচ্ছা মাফিক গাড়ী চালায়। যেখানে সেখানে পার্কিং করে। ২০০৬ সালে রাজধানীর ২৬টি স্থানে ৫০০ চালকের মাঝে একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে এদের মধ্যে স্থানীয় চালক ২০ শতাংশ পড়ালেখা জানে না, ৩০ শতাংশ  পঞ্চম শ্রেণী ও ২০ শতাংশ এসএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করেছে। চালক সমীক্ষায় স্থানীয় চালক ২৭৯ জন  ৫৬ শতাংশ ও আন্ত:জেলা ১২১ জন। এদের মধ্যে চেয়ার কোচ চালক ৪৬ শতাংশ, সাধারণ ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ, বিআরটিসি ২শতাংশ ও অন্যান্য ২ দশমিক ৫শতাংশ।

বিআরটিএ’র ২০১২ সালের জুনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকা শহরে চলাচল করে: ২০০৩ সালে ঢাকা শহরে লাইসেন্সকৃত মোটর গাড়ি চলাচলের সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার ৮৬৬ টি ২০১২ সালের জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৭ টিতে। ২০০৩ সালে লাইসেন্সকৃত জিপ গাড়ির সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৩৯১ টি ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ হাজার ২৩০ টিতে। ২০০৩ সালে লাইসেন্সকৃত টেক্সির সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৩৬৯ টি ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার ৬৮২ টিতে। ২০০৩ সালে লাইসেন্সকৃত বাসের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬১৪ টি ২০১২ সালের জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৬০ টিতে। ২০০৩ সালে মিনিবাস চলাচলের সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪৬০ টি ২০১২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৫৮৩ টিতে। ২০০৩ সালে লাইসেন্সকৃত ট্রাক চলাচলের সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৩৪২ টি, ২০১২ সালের জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায়  ৪১ হাজার ৫৫৮ টিতে। ২০০৩ সালে লাইসেন্সকৃত অটো রিক্সা চলাচলের সংখ্যা ছিল ১০ হাজার ৬৮৭ টি ২০১২ সালের জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২০হাজার ২৯১ টিতে। ২০০৩ সালে ঢাকা শহরে লাইসেন্সকৃত মোটর সাইকেল চলাচলের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১৯ হাজার ২৯৯ টি ২০১২ সালের জুনে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ লাখ, ২১ হাজার ৮০ টিতে। ২০০৩ সালে অন্যান্য গাড়ি চলাচল করতো ১৩ হাজার ১৮৭ টি, ২০১২ সালে সেখানে চলাচল করছে ২৯ হাজার ৩৩৯ টি। ২০০৩ সালে মোট গাড়ি চলাচল করতো ৩ লাখ ৩ হাজার ২১৫ টি এবং ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৮ হাজার ১৯৭ টিতে। 

বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের বলেন,পথচারীদের নিরাপত্তা দেয়া সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব। কিন্তু তারা সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। ঢাকা শহরের একটি বড় অংশের মানুষ হেটে চলাচল করলেও নগর পরিকল্পনায় পথচারীরা বরাবরই উপেতি। ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের ল্েয হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ হলেও পথচারীদের জন্য নেই বরাদ্ধ ও পরিকল্পনা। চলতি বছরের ৭ মার্চ হাইকোর্ট পথচারীদের নিরাপত্তায় ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চলানো বন্ধসহ কতিপয় নির্দেশনা দিয়েছিল কিন্তু অনেক চালক তা মানছে না। নগরে পথচারীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য অবকাঠামো গড়ে তোলার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। ২০০৯ সালের সিটি কর্পোরেশন আইনের তফসিল ১৯.১ এ বলা হয়েছে পথচারী যাহাতে পথচলিতে বিপদগ্রস্ত না হন এবং নিরাপদ ও অনায়াসে পথ চলাফেরা করিতে পারে সেই জন্য করপোরেশন প্রবিধান দ্বারা যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করিতে পারিবে।

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের সদস্য এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ঢাকা শহরে যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়নের ল্েয পাবলিক পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরী। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনক বিষয় হলেও সত্য ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় পাবলিক পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কোন ধরনের পদপে গ্রহণ করা হয়নি। এক কোটির বেশি জনসংখ্যার যাতায়াতের জন্য গণপরিবহন বাসের সংখ্যা যাত্রীবাহী ১০ হাজার ৬ শ’ ৮২টি। এক সময় বিআরটিসির ডবল ডেকার এবং সাধারণ বাস চলাচল করতো কিন্তু পরিবহন মালিকদের প্ররোচনায় বা প্রভাবে এগুলো চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ২০১০ সালে প্রাইভেট গাড়ী নেমেছে ২৬ হাজার ২৪৪টি ও বাস নেমেছে ১ হাজার ২৪৩টি। ২০১১ সালে জানুয়ারী পর্যন্ত ১০ হাজার ২৮৯টি ও বাস নেমেছে ৬শত ৫৬ টি। বর্তমানে রাজধানীতে ২ লাখ ৪২ হাজার ৪ শত ২৪ টি প্রাইভেট গাড়ি এবং যাত্রীবাহী বাস ১৮ হাজার ৪ শত ২৬ টি চলাচল করছে। আর শহরে যানজট সৃষ্টির জন্য মূলত এসব প্রাইভেট গাড়িই দায়ী। কেননা প্রাইভেট গাড়িগুলোতে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ যাতায়াত করে। তাদের কারণে ৯৫ শতাংশ যাত্রীরা দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। রাজধানীতে ৩৮ দশমিক ৭টি ট্রিপ হয় রিক্সায়। নারীদের েেত্র তা ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ ও স্কুলে যাতায়াত করে ৪১ শতাংশ। 

সিটি কর্পোরেশনের তথ্য মতে, রাজধানীর রাস্তায় যাতায়াত ব্যবস্থায় ১৯ শতাংশ হেঁটে, ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ বাসে,৩৮ দশমিক ৭ শতাংশ রিক্সায় এবং ৫ দশমিক ২ প্রাইভেট গাড়িতে যাতায়াত করে থাকে। ৭৬ শতাংশের যাতায়াত ৫ কিলোমিটারের নীচে। এদের মধ্যে আবার অর্ধেক ২ কিলোমিটারের মাঝে চলাচল করে। এখানে ১৯ শতাংশ ট্রিপ হয় হাঁটার মাধ্যমে। ১৯৯১ সালে রাজধানীতে পথচারীরা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছিল ৬৭ শতাংশ তা ২০০৮ এ দাঁড়ায় ৮৬ শতাংশে। আরবান হেলথের তথ্যানুযায়ী, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে ৫০-৬০ শতাংশ পর্যন্ত হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুকি কমে যায়। হাইপারটেনশন কমে ৩০ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ স্তন ও বৃহদন্তের ক্যান্সার এবং ৪৭ শতাংশ বিষন্নতা কমে যায়।

বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনে পথচারীদের অধিকারের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বসহকারে বলা হয়েছে। মোটরযান আইন ১৯৮৩ এর ১৪৩ নং ধারায় বলা হয়েছে, রাস্তার প্রকৃতি, অবস্থা প্রভৃতি অবলোকন করে জনসাধারণ বিপদের সম্মুখীন হতে পারে এমনভাবে কিংবা এমন গতিতে কেহ গাড়ি চালালে এই ধারায় দণ্ডিত হবে। ১৫৭ নং ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি প্রকাশ্য সড়কে বা প্রকাশ্য স্থানে মোটর গাড়ি রাখিয়া উহা মেরামত করাইলে অথবা বিক্রয়ের জন্য যেখানে মোটর গাড়ীর যন্ত্রাংশ বা অন্য কোন জিনিস রাখিলে যদি যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় তাহা হইলে সে অপরাধী হইবে। ঢাকা মহানগরী পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর ৬৬ নং ধারায় বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি রাস্তায় বা সাধারণের ব্যবহার্য স্থানের এমন কোন অংশে গাড়ী রাখে বা থামিয়ে রাখে, যেখানে গাড়ি দাঁড়াইলে পুলিশ কমিশনার কর্তৃক নিষিদ্ধ, তবে সেই ব্যক্তি একশত টাকা জরিমানা দিতে হবে।

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এ সমস্যা তো আমি একা সমাধান করতে পারবো না। স্বরাষ্ট্র, স্থানীয় সরকার, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ হয়েছে। তারা কথা দিয়েছে অচিরেই সবাই মাঠে নামবে। কেন?  à¦•à§‹à¦¥à¦¾à§Ÿ, কী কারণে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে তা চিহ্নিত করা হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।