সংবাদ শিরোনামঃ

বিএনপি-জামায়াতকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না ** ভারতে নেই বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং ** ঢাকায় ১৮ দলীয় জোটের গণমিছিল ** রাজধানীতে যাত্রী দুর্ভোগ চরমে ** মিন্দানাওয়ে সংঘাত অবসানের সম্ভাবনা ** দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্যই মন্ত্রী এমপিদের কাজ করতে হবে ** সাম্প্রদায়িকতার আওয়ামী ছোবল ** অবিলম্বে জামায়াত নেতা আলাউদ্দিনের খুনিদের গ্রেফতার করতে হবে : সেলিম উদ্দিন ** আধুনিক মহাকবি ফররুখ আহমদ ** ঝিনাইদহে সবজি চাষে বিপ্লব চাষির ভাগ্যে মেলে না ন্যায্য দাম **

ঢাকা শুক্রবার ৪ কার্তিক ১৪১৯, ২ জিলহজ্ব ১৪৩৩, ১৯ অক্টোবর ২০১২

॥ হারুন ইবনে শাহাদাত॥
(গত সংখ্যার পর)

গত ২৯ অক্টোবর কক্সবাজারের রামুর বৌদ্ধমন্দির বসতিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করেছে।

স্বঘোষিত সংখ্যালঘুবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন কমেনি, বরং বেড়েছে একথা শুধু দেশেও বিদেশেও আলোচিত বিষয়। কানাডার ফেডারেল কোর্টেও এক রায়ে বলা হয়েছে  আওয়ামী লীগ মতায় আসার পরও সংখ্যালঘু নিপীড়ন অব্যাহত আছে।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ মতায় আসার পরও বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত আছে বলে রায় দিয়েছেন ফেডারেল কোর্ট অব কানাডা।

গত ২৮ জানুয়ারি আদালতের এই রায়ে বিচারপতি মাইকেল এমজে শোর বলেন, ‘সংখ্যাগুরু এবং আওয়ামী লীগ সরকারের গোমূর্খদের হাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এখনও নিপীড়নের শিকার হন। পুলিশ এেেত্র নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।’

চট্টগ্রামের বৌদ্ধমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রূপতনু বড়ুয়ার কানাডার মন্ট্রিলে আশ্রয় (অ্যাসাইলাম) চেয়ে দায়ের করা এক মামলার রায়ে আদালত এই মন্তব্য করেন। আদালত রূপতনু বডুয়াকে সেদেশে থাকারও অনুমতি প্রদান করেন। গতকাল কানাডীয় দৈনিক ন্যাশনাল পোস্টে ‘লেট বুদ্ধিস্ট ম্যান রিমেইন ইন কানাডা, কোর্ট রুলস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে আদালতের রায় প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চট্টগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের অধিকার রায় সক্রিয় থাকার কারণে তিনি নিপীড়নের শিকার হন। এরপর তিনি মন্ট্রিলে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। বাংলাদেশে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।

তিনি কানাডায় আশ্রয় প্রার্থনা করলে দেশটির ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রিফিউজি বোর্ড (আইআরবি)’ তার আবেদন নাকচ করে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে চাইলে তিনি কানাডার ফেডারেল কোর্টে আপিল করেন। এই কোর্ট তার আবেদন মঞ্জুর করেন এবং তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়ায় আইআরবির কড়া সমালোচনা করেন।

কানাডার সুপ্রিম কোর্টের পরই ফেডারেল কোর্টের মর্যাদা। গতকাল আদালত তার রায়ে বলেন, আওয়ামী লীগ মতায় এলেও সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে অবস্থার সত্যিকার উন্নতি হয়নি।

রায়ে বলা হয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগের কারণে দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি দিতে সরকার প্রায়ই ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে এর জন্য দায়ী স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি, ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক হস্তপে।

বিচারপতি শোর তার রায়ে বলেন, এই মামলায় বোর্ডের সামনে উপস্থাপিত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ মতায় আসার পরও সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। দেশে ফেরত যাওয়ার ব্যাপারে আবেদনকারীর ভীতসন্ত্রন্ত হওয়ার যথার্থ ও যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে।

রূপতনু বড়ুয়াকে বাংলাদেশে পাঠাতে হলে নতুন একজন বিচারক দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতির বিস্তারিত মূল্যায়নেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি শো।

 à¦°à¦¾à¦®à§à¦° ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার যশোরের বাঘারপাড়ায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হিন্দু পরিবারের দুটি বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এ সময় এক গৃহবধূ ও দু’শিশু আহত হয়। তাদের রোষানলের শিকার হয় বাড়িতে থাকা দুটি মূর্তিও। ভাঙচুর করে উঠোনে ছুড়ে ফেলে দেয় তারা। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য রণজিৎ রায়ের ক্যাডার বলে তিগ্রস্তরা অভিযোগ করেছেন।

গ্রামবাসী জানায়, গত ৮ অক্টোবর সোমবার বাঘারপাড়া উপজেলার দাদপুর গ্রামের স্বপন ঘোষ ও তার ভাই সুভাষ ঘোষের বাড়িতে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত। তারা বাড়ি দুটিতে ব্যাপক ভাঙচুর করে। লুটপাট করে মূল্যবান মালামাল। বাড়ির মালিক স্বপন ঘোষ জানান, দুর্বৃত্তরা ৫২ হাজার টাকা, ছয় ভরি সোনার গহনা, তিনটি বাইসাইকেল, মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করেছে। ঘরের টিনসহ বহু জিনিসপত্র ফেলে দিয়েছে পুকুরে। বাধা দিতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা স্বপনের স্ত্রী প্রভাতী ঘোষকে পিটিয়ে জখম করে। তাকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সময় বাড়ি দুটির দুই শিশু কথা ঘোষ ও কাব্য ঘোষও আহত হয় বলে দাবি করা হয়েছে।

হামলার শিকার স্বপন ঘোষ ও তার ভাই সুভাষ ঘোষ জানান, তাপস ঘোষ, মাখন ঘোষ, পরিতোষ, অনিল, অনুতোষের নেতৃত্বে প্রায় একশ’ খানেক সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নেয়।  তারা বাড়িতে থাকা মূর্তিও ভাঙচুর করে বাইরে ছুড়ে ফেলে। স্বপন ঘোষ দাবি করেন, তিনি নিজে ও হামলাকারীরা সবাই আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য রণজিৎ রায়ের অনুসারী।

গ্রামবাসী জানায়, ১৯ শতক জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গতকালের ঘটনাটি ঘটে। জমি বিরোধ নিরসনের জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় যশোর সার্কিট হাউজে দু’পকে নিয়ে মীমাংসা বৈঠকে বসেন। কিন্তু সে বৈঠক ব্যর্থ হয়। স্বপনের দাবি, সংসদ সদস্য রণজিৎ রায় একপে অবস্থান নেয়ায় বিরোধ মীমাংসা হয়নি।

এ ঘটনার ব্যাপারে বাঘারপাড়া থানায় এজাহার দেবেন বলে জানিয়েছেন তিগ্রস্তরা। দুপুরে ঘটনাস্থলে যশোরের সাংবাদিকরা গেলে খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হন বাঘারপাড়া থানার ওসি রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনার ব্যাপারে কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তা নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে। তিনি বলেন, আদালতে বিচারাধীন বিরোধপূর্ণ জমিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর কাঁচা ঘরবাড়ি তৈরি করে স্বপন ঘোষ। অথচ তাদের নামে জমির রেকর্ড নাই। যাদের নামে জমির রেকর্ড আছে, তারা হামলা করে স্বপন ঘোষ ও তার ভাই সুভাষ ঘোষকে উচ্ছেদ করেছে।

ঘটনার ব্যাপারে সংসদ সদস্য রণজিৎ রায়ের বক্তব্য জানা যায়নি। একাধিকবার রিং করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

গত পর্বে ২০০৯ থেকে নিয়ে ২০১০ সালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হাতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কিছু ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে। এ পর্বে ২০১১-২০১২ সালের কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হলো:

কয়রায় সংখ্যালঘু পরিবারে যুবলীগ কর্মীদের হামলা ( সংবাদ  ২২-০৬-১২)

গোপালগঞ্জে গির্জার সম্পদ ও খ্রিষ্টানদের বাড়ি দখল বিক্ষোভের পর আওয়ামী নেতার ছেলে গ্রেফতার

সম্প্রতি খ্রিষ্টান ফেলোশিপ নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাজা মিয়া বাটুর ছেলে শহর আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ডিগল, সোহেল ও সোহাগ মিশনের ২ শতাংশ জমি ও বাবুল বিশ্বাসের সাড়ে ৬ শতাংশ জমি বাড়িসহ দখল করে তালা ঝুলিয়ে দেয় । (৩-৮-১২- ইত্তেফাক)

ঝিনাইদহে সংখ্যালঘুদের ওপর ভয়াবহ নির্যাতন : খুন গুম সুন্দরী মেয়েদের ধর্ষণ বাড়িঘর দখলের অসংখ্য ঘটনা প্রকাশ : আওয়ামী লীগ নেতাদের দায়ী করলেন সংখ্যালঘু উপজেলা চেয়ারম্যান

ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় সংখ্যালঘু ও আদিবাসী সম্প্রদায়কে হত্যা, তাদের সুন্দরী মেয়েদের ধর্ষণ, গুম, চাঁদাবাজি, বাড়িঘর দখলের তথ্য-প্রমাণসহ অসংখ্য নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতারা। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সামনেই এসব অভিযোগ তুলে ধরে তারা বলেন, এভাবে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে সরকারের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।

রোববার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকে ঝিনাইদহ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনককান্তি দাস আদিবাসী এবং সংখ্যালঘু নির্যাতনের এই চিত্র তুলে ধরেন। এসময় জেলা প্রশাসক খাজা আবদুল হান্নান, পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভট্টাচার্য ও ঝিনাইদহ র‌্যাব-৬-এর কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার হামিদুল হক, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি নারায়ণ চন্দ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সুবীরকুমার সমাদ্দারসহ নির্যাতিত পরিবারের শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কনককান্তি দাস বলেন, মতাসীন দলের কতিপয় নেতার প্রত্য ও পরো মদতে হিন্দু ও আদিবাসীদের ওপর নির্যাতন চলছে। তিনি বলেন, এভাবে নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে সরকারের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। অথচ প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেও হিন্দুসমাজ কোনো প্রতিকার পায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নির্যাতন বন্ধ না হলে তিনি প্রতিরোধ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন।

কনককান্তি দাস ধর্ষণ, খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরসহ নির্যাতনের রেকর্ড তুলে ধরে বলেন, ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা বাবু জোয়ার্দারের নেতৃত্বে পরেশ ও বিশু বাগদীসহ ৮টি পরিবারের ঘরবাড়ি ভেঙে ভিটে থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। শহরের চাকলাপাড়ার বুলু মিয়া সড়কে পার্বতী রানী সরকারের বসতবাড়ি উচ্ছেদ করেছে ভূমিদস্যুরা। এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা দিতে গেলে ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী মামলা গ্রহণ না করে নির্যাতিতদের থানা থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সদর উপজেলার লৌহাজঙ্গা গ্রামে সরকারদলীয় সন্ত্রাসী অধির কুমারের ছেলে কৃষ্ণ কুমার একই গ্রামের সমরেশচন্দ্র কুণ্ডুর সুন্দরী ভাতিজি টুম্পাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে নির্যাতন করে। প্রতিবাদ করায় সমরেশকে পিটিয়ে গ্রামছাড়া করা হয়েছে। ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেও সমরেশ কুমার সুস্থ হননি বলে লিখিত অভিযোগে জানা গেছে। তিনি এখন টুম্পাকে নিয়ে মাগুরায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি জেলার বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ২২ মেয়েকে ধর্ষণ, সুমন ব্যানার্জী, গুরুপদ, বিকাশ বিশ্বাস ও গৌতমসহ ৬ জনকে খুন এবং ৪২টি সংখ্যালঘু পরিবারের কাছ থেকে জোরপূর্বক চাঁদাবাজি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।

গত ৩ বছরে আওয়ামী লীগের অত্যাচারে কালীগঞ্জ উপজেলার মধুগঞ্জ বাজারের সুনীল কুমার, খোশুনি গ্রামের কুমারেশ, কাজলী গ্রামের দিলীপ কুমারসহ বহু পরিবার ভারতে চলে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া খড়াশি, কাজলী, নারায়ণপুর, ডাকাতিয়া, দণি দুর্গাপুর, খড়াশুন, করাতিপাড়া, চেওনিয়া, খেদাপাড়া, শ্রীমন্তপুর, নৈহাটি, আঁড়মুখ, নলডাঙ্গা, কোলা, কালীগঞ্জের বাদুরগাছা, পিরোজপুর, রাখালগাছি, কামালহাট, বড়বাইসা, তিল্লা, সুন্দরপুর, ভাটপাড়া, কাদিরকোল, তেলটুপি, ভিটশ্বর, হরিণাকুণ্ডুর কেসমতপুর, ঘোড়াগাছা, ভালকী, চিথলিয়াপাড়া, শাখারিদহ ও সদর উপজেলার আসাননগর গ্রামের হিন্দু পরিবারের ওপর জুলুম-নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন জানান, তারা জমি দখল, নারী ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। ঘরে সুন্দরী মেয়ে থাকলে তাকে আর রা করা যাচ্ছে না। তারা অভিযোগ করেন, সদর উপজেলার লৌহাজঙ্গা গ্রামের মৃত অমরেশ কুণ্ডুর মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু তাদের মামলা করার মতা নেই। সেই নির্যাতিত মেয়েটি নিয়ে তার চাচা সমরেশ বাড়ি ছেড়েছেন। আর এসব করা হচ্ছে সরকারি দল আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে। ফলে পুলিশ প্রভাবিত হয়ে কোনো মামলা নিচ্ছে না।

হিন্দু সম্প্রদায়ের এ অভিযোগের জবাবে জেলা প্রশাসক খাজা আবদুল হান্নান বলেন, নির্যাতন ও ধর্ষণের বিষয়ে গোপনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো সংখ্যালঘু পরিবার নির্যাতনের শিকার না হয়, তিনি সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তিনি হিন্দু নেতাদের উদ্দেশে বলেন, যারা নির্যাতন করছে, তারাও তো আপনাদের দলের লোক। এক জায়গায় বসে এসব সমস্যা ঠিক করে নিন। অপরদিকে এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমান সরকারের কাছে কোনো সংখ্যালঘু-সংখ্যাগুরু নেই, সবাই সমান। তিনি বলেন, আমি হিন্দু হয়েও পুলিশ সুপার হয়েছি। সরকারের কাছে এই বাছবিচার থাকলে আমি এসপি হতে পারতাম না। তিনি হিন্দু ও আদিবাসীদের ওপর যারা নির্যাতন চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদপে নেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন। (আমার দেশ-১৪-১০-১২)

রামপুরায় হিন্দু পরিবারের বাসায় আওয়ামী লীগের হামলা। মালামাল লুট, আহত ৪ (সংগ্রাম- ২-০১-১১)

  সিলেটে  মন্দিরের জমি দখল নিয়ে উত্তেজনা (কালের কণ্ঠ-১-৫-১১)

সরকারি দলের ক্যাডারদের তাণ্ডব মানিকগঞ্জে সংখ্যালঘুদের মন্দির ভাঙচুর, ভিটায় আগুন সাংবাদিক আহত (নয়া দিগন্ত ৬-৪-১১, সংবাদ ১০-৪-১১)

 à¦¸à¦¬à¦¾à¦° ওপরে দেশের স্বার্থকে স্থান দিয়ে সরকারের উচিত সংখ্যালঘু নির্যাতনকারীদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা। দলীয় বিবেচনায় অপরাধীদের আস্কারা দিলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এদেশের দীর্ঘদিনে ঐতিহ্যই শুধু ভুলুণ্ঠিত হবে না, জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে আমাদের মর্যাদাও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।