জামায়াতে ইসলামীর ডাকে কুমিল্লায় স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালিত

সোনার বাংলা রিপোর্ট : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জামায়াত নেতা আলাউদ্দিন হত্যার প্রতিবাদে জামায়াতের ডাকে গত ১৫ অক্টোবর দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে স্বতঃস্ফূর্ত  à¦¹à¦°à¦¤à¦¾à¦² পালিত হয়েছে। ভোর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে যানবাহন চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। জেলার বিভিন্ন স্থানে হরতাল চলাকালে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইটপাটকেল ও টিয়ারশেল নিপে, পুলিশের লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেটের গুলিতে পুলিশের এক কনস্টেবলসহ কমপে ২৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া লাকসাম শহর শাখার শিবিরের সাবেক সভাপতি শহীদউল্লাহর হাত-পায়ের রগ কেটে ও  মাথা ফাটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কমপে ৩০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে বিকেলে মহানগর জামায়াতের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আলাউদ্দিন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান সাবেক এমপি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ও অন্যান্য নেতা। এ সময় আন্দোলন-পরবর্তী কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াত সভাপতি ডেকরা গ্রামের আলাউদ্দিন গত ১৩ অক্টোবর শনিবার বিকেলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। এরই প্রতিবাদে হরতালের ডাক দেয় জেলা জামায়াত।

সদর দণি উপজেলার সুয়াগাজী থেকে জামায়াত নেতা শামীম ও মাইনুল হুদা, চৌয়ারা বাজার থেকে নাঈম, দাউদকান্দি থেকে তিতাস উপজেলা শিবিরের সভাপতি জাকারিয়া মোল্লা, আবুল বাশার ও দেবিদ্বার থেকে শিবির কর্মী রেজাউল করিমকে আটক করে পুলিশ।

আমাদের চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি জানান, সেখানে হরতালের সমর্থনে সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিয়ারবাজার, লালবাগ, চিওড়া, আমজাদের বাজার, জগন্নাথদীঘি, বাতিসা, আটগ্রাম, চৌদ্দগ্রাম পৌর এলাকার ফালগুনকরা, চৌদ্দগ্রাম বাজার, সরকারি কলেজ রোড ও লাকসাম রাস্তার মাথাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে জামায়াত-শিবির কর্মীরা ইটপাটকেল নিয়ে রাস্তায় পিকেটিং করে। এ সময় তারা ৮-১০টি গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে। পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল নিপে ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলিতে জামায়াত নেতা কামালসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। চৌদ্দগ্রামে যারা আটক হয়েছেন তারা হলেন খালেদ সাইফুল্লাহ, আবদুস সাত্তার, শাহেদ, আবুল হাশেম, পলাশ, পারভেজ, সোহাগ, হাসান, শাহাদাত হোসেন ও সোহেল ফরিদসহ ১১ জন। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন জানান, জামায়াত কর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বিভিন্ন স্পটে ৮২ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে বলেও তিনি জানান।

এছাড়া আমাদের মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি জানান, সেখানে হরতালে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে। দোকানপাট, ব্যাংক, বীমা ও শিাপ্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ। দূরপাল্লার কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। হরতাল সমর্থনে ইসলামী ছাত্রশিবির দফায় দফায় বিােভ মিছিল করে। এ সময় পুলিশ ও ছাত্রশিবির কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। তবে বড় ধরনের কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

চান্দিনা উপজেলা প্রতিনিধি জানান, এ উপজেলায়ও সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে।