সিএনসি’র আয়োজনে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

জনজাগরণে তিনি অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন

সিএনসি’র আয়োজনে নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রখ্যাত সমাজসেবক, বিদ্যোৎসাহী ও অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুসলিম মন্ত্রী নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী আমাদের ঐতিহ্যের সর্বোচ্চ মিনার এবং প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ১৯২১ সালে বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য লিখিত প্রস্তাব পেশ করেন নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী। নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী বলতেন, শিক্ষাই শক্তির উৎস এবং আমাদের মুক্তি ও উন্নতির একমাত্র পথ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কেবল দাবি-দাওয়া পেশ আর আন্দোলন করেই দায়িত্ব শেষ করেননি, তিনি অর্থ দিয়েও সাহায্য করেছেন।

উপর্যুক্ত কথামালা উচ্চারিত হয় গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৫টায় পিআরসি হলে (ধানমন্ডি) সেন্টার ফর ন্যাশনাল কালচার (সিএনসি) আয়োজিত নবাব সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. মুহম্মদ শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ সেলিম ও প্রফেসর ড. কাজী মেসবাহুল আলম। প্রফেসর ড. এ কে এম আবদুল হান্নান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মুহম্মদ সিরাজউদ্দীন। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন প্রফেসর মুহম্মদ আবদুস সালাম, রাজনীতিবিদ মো. জামিল হোসাইন ও সানওয়ার হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএনসি’র নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল হক।

স্বরচিত কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন কবি মীর্যা সিকান্দার, সাঈদ জোবায়ের, মোহাম্মদ তৈয়ব, শাওন আসগর, মুহম্মদ বদরুল আলম, মীর ইয়াসির উদ্দিন ইয়াসিন, আহমাদ স্বাধীন ও সুজন মীর প্রমুখ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ক্যামব্রিজ। সভায় নিম্নোক্ত দাবিসমূহ উত্থাপন ও গ্রহণ করা হয়।

১. নওয়াব আলী চৌধুরীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার জীবন ও কর্মের উপর গবেষণা করার জন্য স্থায়ী অধ্যাপক চেয়ার স্থাপন করতে হবে। ২. স্কুল-কলেজের পাঠ্যপুস্তকে সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে লেখা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ৩. সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর জীবন ও কর্মের প্রচার ও প্রসারের জন্য বাংলা একাডেমি কর্তৃক পুস্তক প্রকাশ করতে হবে। ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি রাস্তা ‘নওয়াব আলী চৌধুরীর’ নামে নামকরণ। ৫. সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরীর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলের নামকরণ করতে হবে। ৬. নওয়াব আলী চৌধুরীর কর্মের উপর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করতে হবে এবং তার জন্ম মৃত্যু বার্ষিকীতে রেডিও-টেলিভিশনে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন মো. মামুন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।