সংবাদ শিরোনামঃ

সরকারের শেষ রক্ষা হবে না ** চাণক্যদের নোংরা খেলা ** ১০০ বছরের জ্বালানি সম্পদ হারিয়েছে বাংলাদেশ ** আফগানিস্তানে মতৈক্যের সরকার এবং শান্তির প্রত্যাশা ** সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণে মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ** কুরবানির পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়ে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন ** লতিফ সিদ্দিকী বনাম কাদের সিদ্দিকী ** জিতেছে চাঁদ দেখে পক্ষ ** ঝিনাইদহে সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ নেতার মার্কেট ** কবি ফররুখ আহমদের শিশু কবিতায় বিচিত্র পাখি **

ঢাকা, শুক্রবার, ২ কার্তিক ১৪২১, ২১ জিলহজ ১৪৩৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৪

তৌহিদুর রহমান
দাউদ সাহেব আজ প্রায় তিরিশ বছর ধরে হাঁটা চলা করতে পারেন না। কোনো মতে কষ্টেশিষ্টে বারান্দায় এসে বসেন রোজ সকাল নয়টা-দশটার দিকে। তিনি পাঘাতগ্রস্থ। অনেকের করুণার উপর এখন তাকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া সংসারের কেউ তেমন কোনো কথা-বার্তা তার সাথে বলে না। কোনো কোনো ছেলেমেয়ের সাথে দু’দশ দিনেও তার এখন আর দেখা সাক্ষাৎ হয় না। সারাদিন একাই বসে থাকেন বারান্দায়। অনেক সময় খানাপিনাও করেন এই বারান্দায় বসেই। তিনি বারান্দায় বসে বসে কাক দেখেন, পাখি দেখেন, আকাশ দেখেন। একটা কাজের মেয়ে আছে সেই তার দেখাশোনা করে। সময় মত খানাপিনা সেই তাকে দিয়ে যায়। এ নিয়ে দাউদ সাহেবের মনে কোনো আপে নেই।

যাহোক, প্রায়ই খাবারের অবশিষ্ট অংশ তিনি বারান্দায় হুইল চেয়ারে বসে কাকদের দিয়ে থাকেন। কাকরা এখন তার জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। তিনি অনেক কাককেই খুব ভালোভাবে চেনেন, জানেন। কাকরাই তার এখন অনেক আপনজন।

এখন আষাঢ় মাস। কদিন ধরেই আকাশটা ঘোর আঁধার হয়ে আছে। সেই সাথে দাউদ সাহেবের মনটাও কদিন ধরে অন্ধকার হয়ে আছে। ঘোর এই অন্ধকারে কদিন ধরে কাকরাও ঠিক মত খেতে আসেনি। তবে কাল সারাদেশে প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। পত্রিকা পড়ে জেনেছে এতে দেশের অনেক স্থানে বেশ তি হয়েছে। কয়েকজন লোক মারাও গেছে।

সকাল হয়েছে। পরিষ্কার আকাশ। কাকেদের প্রচণ্ড হৈচৈ শুনে দাউদ সাহেব হুইল চেয়ারটা ঠেলে বারান্দায় গিয়ে বসলেন। দেখলেন, বারান্দার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বিদ্যুতের তারে অনেকগুলো কাক হৈ হুল্লোড় করছে। দাউদ সাহেব একমনে কাকদের ঝগড়া ঝাটি দেখছেন। অসংখ্য কাকের মধ্যে তিনি একটা অপরিচিত কাক দেখতে পেলেন। সেটি দাড় কাক নয়। দেশি কাকও নয়। বেশ বড়-সড় কাকটা। তবে সেটি স্ত্রী কাক। এদেশীয় পাতি কাকের চেয়ে দেখতে অনেক সুন্দর। ঠোঁটের উপর একটা ঝুটিও আছে। এই পাতি কাকের মধ্যে এই অদ্ভূত সুন্দরী কাকটা কোথা থেকে এল তা নিয়ে তিনি ভাবছিলেন। এই এলাকার বেশির ভাগ কাক তাকে চেনে এবং তিনিও অনেক কাককে চেনেন। 

সহসা তিনি দেখলেন, শত শত কাক আকাশে উড়াউড়ি করছে। এদিকেই ধেয়ে আসছে। তিনি বেশ মনোযোগী হয়ে উঠলেন কাকদের প্রতি। বুঝতে চেষ্টা করলেন কি ঘটতে যাচ্ছে। ক্রমেই কাকদের চেচামেচিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। বুঝলেন কাকাধিকার নিয়ে কাকরা বেশ হৈচৈ করছে।

দাউদ সাহেব বিভিন্ন জিওগ্রাফি চ্যানেল দেখে দেখে পশু-পাখি সম্পর্কে বেশ জ্ঞান লাভ করেছেন। তিনি দেখেছেন দুনিয়ার সব জীব-জন্তু, পশু-পাখির আচরণ ঠিক মানুষেরই মত। খাওয়া-দাওয়া, স্নেহ-প্রীতি, প্রেম-ভালোবাসা, কাম-ক্রোধ, জন্ম-মৃত্যু, অধিকার সংরণ, দায়িত্ব পালন, যুদ্ধ-বিগ্রহ, চাষ-বাস সবই অবিকল মানুষের মত। মানুষ দুঃখ পেলে কাঁদে, তারাও কাঁদে। মানুষ সুখে আনন্দিত হয় তারাও হয় ইত্যাদি।

কাকদের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে তিনি পেপারে মন দিলেন। দাউদ সাহেব পেপার থেকে মুখ না তুলেও টের পাচ্ছেন কাকদের চেঁচাচেচির। শব্দটা যেন থামছেই না। রাস্তার দিকে মুখ করে বসেছিলেন তিনি। এবার মুখ তুলে বাইরের দিকে তাকালেন। দেখলেন অসংখ্য কাক।

সহসা তার চোখে পড়ল বিদ্যুতের তারের উপর নখ বসিয়ে ঝুলে আছে একটা কাক। কাকটা পুরুষ কাক। কাকটা বিকট শব্দে একটানা কা কা করছে। সেই সাথে প্রচণ্ড জোরে ডানা ঝাপটাচ্ছে। কাছেই বিদ্যুতের তারের উপর বসে আছে আরো কয়েকশো কাক। অন্য পাশের তারে বসে এই কাকটির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিৎকার করছে আরও কয়েকটি কাক। মাঝে মাঝে হৈহুল্লোড় করে অনেক কাক উপরে নিচে উড়াউড়ি করছে। কেউ উড়ছে, কেউ গিয়ে আবার তারে বসছে। কেউ ছাদে, কেউবা অন্য বাসার কার্নিশে অথবা পাশের গাছের ডালে গিয়ে বসছে। খবর পেয়ে শত শত কাক এদিকে ধেয়ে আসছে। যেন কাকের স্রোত নেমেছে।

দাউদ সাহেব একটু আনমনা হয়ে আবার পত্রিকার পাতায় ফিরে আসেন। দেশের কোথায় কি হয়েছে দেখতে থাকেন। কিন্তু কিছুতেই পত্রিকায় মন বসাতে পারলেন না। কাকদের সেই মহাকলোরব আবার তার কানে ভেসে আসে। পেপারটা টি-টেবিলে রেখে তিনি কাকদের দিকে তাকাতে বাধ্য হলেন। অগুণীত কাক আবার উড়ে এসে ঝুলে থাকা কাকটার পাশে বিদ্যুতের তারে নখ বসিয়ে ঝুলে থাকছে। অনেকে ডানার ঝাপটা মারছে তারে। সব কাকই প্রায় ঝুলে থাকা কাকটাকে বাঁচানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছে।

দাউদ সাহেব খুব পরখ করে দেখলেন ঝুলে থাকা কাকটাকে যে কাকটা বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছে সেটি নতুন সেই সুন্দরী কাক। মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতর, ঝুলে থাকা কাকটা দাউদ সাহেবের বহুদিনের পরিচিত। বেশির ভাগ পশু-পাখি দুনিয়াতে জোড়ায় জোড়ায় জন্মগ্রহণ করে। তাদের জন্মের আগেই তাদের বিয়ে হয়ে যায় প্রকৃতির নিয়মে। কিন্তু এই কাকটা দুনিয়াতে এসেছেই হতভাগা হয়ে। জন্মের সময় তার কোনো সংগী ছিল না। সংগীবিহীন একা একাই সে বেড়ে উঠেছে। দাউদ সাহেবের বাসার সামনের এই বিদ্যুতের খুঁটিতে তার বাবা-মা বাসা বানিয়েছিল আজ থেকে প্রায় পনের বছর আগে। সেখানেই তার জন্ম। এই কাকটা প্রায় সর্বণ এই এলাকাতেই থাকে। দাউদ সাহেব দেখলেন তার সেই অতি পরিচিত কাকটা তার দিকে তাকিয়ে আছে সকরুণ দৃষ্টিতে। তার দিকে তাকিয়েই কাকটা হাঁপাচ্ছে আর কি সব যেন ইঙ্গিত করছে। কাকটার চোখ থেকে যেন উপচে পড়ছে অশ্র“, একই সংগে কান্না আর হতাশা। সে বাঁচতে চায়।

কাকটা বিদ্যুতের তার ধরে বাঁচার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু খুব খেয়াল করে দেখলেন দাউদ সাহেব, কিছু কাক ঝুলে থাকা কাকটাকে ঠোঁকর মারছে, কামড় দিচ্ছে, পাখার ঝাপটা মারছে! তিনি অবাক হলেন! কাকদের দ্বন্দ্ব তিনি প্রায়ই দেখে থাকেন। তাদের মধ্যে রক্তয়ী সংঘর্ষও হয় অনেক সময়। তবে কোনো কাক বিপদে পড়লে তাকে সবাই একজোট হয়ে বাঁচাতে চেষ্টা করে, এটা কাকদের ধর্ম। কিন্তু আজ তার উল্টোটা তিনি দেখছেন। তবে তার সেই সুন্দরী কাকটা আগের মতোই উড়াউড়ি করছে, ডাকাডাকি করছে। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের তার থেকে নেমে একেবারে দাউদ সাহেবের বারান্দার কাছে গিয়ে গ্রিল ধরে বসছে। লাফালাফি করছে-চেচাঁচ্ছে। বারবার দাউদ সাহেবের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে।

কাকদের এই হৈচৈ কি ভয়, আতঙ্ক নাকি ক্রোধ? ক্রমে সেই হৈ চৈয়ের বিষয় দাউস সাহেবের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠতে লাগল। তিনি চেয়ার ছেড়ে উঠে গিয়ে দাঁড়ালেন গ্রিলের পাশে। দেখলেন তাদের গ্রিলে নখ ও ঠোঁট দিয়ে ঝুলে আছে নতুন সুন্দরী কাকটি। তাকে দেখেই উড়ে চলে গেল একটু দূরে। বসল গিয়ে গাছের ডালে। তারপর সেখান থেকে উড়ে গিয়ে ঝুলে থাকা কাকটির পাশে গিয়ে বসছে। বারবার সে উড়ে একবার দাউদ সাহেবের কাছে আসছে আবার দ্রুত গিয়ে ঝুলে থাকা কাকটার কাছে যাচ্ছে। তার ক্রোধ ও অশ্র“র আগুন যেন দাউদ সাহেবের গায়েও এসে লাগছে। অন্যান্য কাক আগের মতোই উড়াউড়ি করছে। কখনো ঝগড়াঝাটি, মারামারি করছে। আবার কেউ কেউ এসে নতুন কাকটার সহযোগী হয়ে দাউদ সাহেবের গ্রিলে বসে দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

সকালের মোলায়েম রোদ ততোণে অনেকটা তেতে উঠেছে। কাকরা আগের মতোই হৈচৈ, চীৎকার, চেচামেচি আর উড়াউড়ি করছে। দাউদ সাহেব বুঝতে পারছেন কিছু একটা হয়েছে। কিন্তু কি হয়েছে তাই বুঝতে পারছেন না। তিনি সব কিছু বুঝে ওঠার আর সময় পেলেন না। গোসলের সময় হওয়াতে হুইল চেয়ার ঠেলে চলে গেলেন ভেতরে।

পরের দিন সকাল। আবার কাকদের সেই শোরগোল। তিনি কিছুণ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলেন। আসলে কি ঘটেছে তা জানতে চেষ্টা করলেন। একটু পরখ করে এদিক সেদিক তাকালেন। হঠাৎ দেখতে পেলেন ঝুলে থাকা সেই পুরুষ কাকটা তারে ঝুলে নেই। তার বুকটা কেঁপে উঠলো। তিনি দেখলেন কিছু কাক নিচে মাটিতে গোল হয়ে নীরবে বসে আছে। তাদের সবার চোখে অশ্র“। তাদের মধ্যে সেই সুন্দরী স্ত্রী কাকটিও আছে। ইতঃপূর্বে ঝুলে থাকা পুরুষ কাকটির স্পন্দনহীন নীরব নীথর দেহ মাটিতে পড়ে আছে। অন্য কাকরা সেই মৃতদেহ ঘিরে চুপচাপ বসে আছে। শোক-তাপ জানাচ্ছে। সবাই যেন অধিক শোকে পাথর হয়ে গেছে। ক্রমেই ওদের বেদনাবিধুর কান্না দাউদ সাহেবের বুকের মধ্যেও প্রবাহিত হতে লাগল।

কটা দিন পার হয়ে গেছে। কাকরাজ্য একেবারে নীরব। তবে সুন্দরী সেই সঙ্গীবিহীন কাকটা একা বসে আছে সেই বিদ্যুতের তারে, যেখানে তার সংগীর মৃত্যু ঘটেছে।  দাউদ সাহেব প্রতিদিন নামাজ শেষে সকালে এসে গ্রিল ধরে বসে। আগের মত কাকদের আনাগোনা আর ল্য করা যাচ্ছে না। একাকী সেই সুন্দরী কাকটি উড়ে এসে দাউদ সাহেবর ছাদের কার্নিশে বসে। একটু পর উড়ে এসে দেয়ালের উপর বসে চীৎকার করতে থাকে। যেন মাতম করছে। প্রচণ্ড মাতম! মাতমের সাথে মিশে আছে ক্রোধ। সেই ঘৃণা আর ােভ!

সেই সাথে অন্য তারে বসে কিছু কাক মৃত কাকটা যেখানে পড়ে ছিল সেদিকে মুখ করে মাতম করছে। নিঃসঙ্গ কাকটা মাঝে মাঝে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে তারের উপর; তারপর উড়ে গিয়ে বসছে মৃত কাকটা যেখানে পড়ে ছিল সেখানে। কিছুণ চেয়ে থাকছে তারের দিকে। যেন রাজ্যের ঘৃণা বারে বারে আক্রমণ করছে ওকে। সঙ্গীহীন কাকটা থেকে থেকে বেপরোয়া হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছে মাটিতে, তারের উপর।  দাউদ সাহেব চুপ করে বারান্দায় বসে আছেন। কাকটার মৃত্যুর কথা মন থেকে কিছুতেই সরাতে পারছেন না। পার্থিব সমস্ত কোলাহল, সমস্ত আওয়াজ ছাপিয়ে যেন কানে ভেসে উঠছে কাকদের চীৎকার।

আকাশে অনেক মেঘ জমেছে। কালো মেঘে আকাশ চেয়ে আছে। সব প্রায় অন্ধকার হয়ে এসেছে। বিদ্যুতের সেই তারের উপর কয়েকটি কাক বসে আছে। সংগীহারা কাকটা একটু দূরে একাকী বসে আছে। দাউদ সাহেব জানেন এদের সম্পর্ক কী? এরা বাপ-মা, ভাইবোন আর ছেলেমেয়ে।

সারাণই ওরা ডাকাডাকি করছে। কিন্তু নিঃসঙ্গ কাকটি মাথা নিচু করে আনমনে চেয়ে আছে মাটির দিকে।   যে কাকের কারণে তার সঙ্গীর মৃত্যু হয়েছে এবং যারা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী, তারা নিজেই তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যাবে। এই অন্যায়ের ভয়াবহ বোঝা তারা বহন করতে পারবে না। তাদের জন্যও করুণ পরিণতি অপো করছে। সমস্ত কাক জাতির প থেকে আমরা তাকে অভিশাপ দিচ্ছি, হোক সে ধ্বংস, ধ্বংস হোক তার বংশ।   

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।