সংবাদ শিরোনামঃ

সরকারের শেষ রক্ষা হবে না ** চাণক্যদের নোংরা খেলা ** ১০০ বছরের জ্বালানি সম্পদ হারিয়েছে বাংলাদেশ ** আফগানিস্তানে মতৈক্যের সরকার এবং শান্তির প্রত্যাশা ** সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কারণে মানুষ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়েছে ** কুরবানির পশুর চামড়া ক্রয় বিক্রয়ে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন ** লতিফ সিদ্দিকী বনাম কাদের সিদ্দিকী ** জিতেছে চাঁদ দেখে পক্ষ ** ঝিনাইদহে সরকারি বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগ নেতার মার্কেট ** কবি ফররুখ আহমদের শিশু কবিতায় বিচিত্র পাখি **

ঢাকা, শুক্রবার, ২ কার্তিক ১৪২১, ২১ জিলহজ ১৪৩৫, ১৭ অক্টোবর ২০১৪

সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী ১১১তম লেখক হিসেবে মোদিয়ানোর নাম ঘোষণা করে। ৬৯ বছর বয়সী মোদিয়ানো একাদশ ফরাসি সাহিত্যিক, যিনি এই পুরস্কার পেলেন। স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির সেক্রেটারি পিটার ইংলান্দ বলেন, প্যাত্রিক মোদিয়ানোকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলো তার শৈল্পিক স্মৃতিগ্রন্থনার জন্য, যার মধ্য দিয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন মানব ভাগ্যের দুর্বোধ্যতার কথা, উন্মোচন করেন আগ্রাসনের বিশ্বে জীবনের স্বরূপ।

১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায় প্যারিসের পশ্চিমে এক শহরতলীতে জন্ম নেন মোদিয়ানো। তার ইহুদি বংশোদ্ভূত ইতালীয় বাবার সঙ্গে বেলজীয় অভিনেত্রী মায়ের যখন দেখা হয়, প্যারিস তখন হিটলারের নাৎসি বাহিনীর দখলে। সেইসব দিনের প্যারিস বার বার ফিরে এসেছে মোদিয়ানোর লেখায়। নাৎসি আগ্রাসন আর ইহুদিদের আত্মপরিচয়ের সঙ্কট তৈরি করে দিয়েছে তার অধিকাংশ উপন্যাসের পটভূমি। ১৯৬৮ সালে প্রকাশিত তার ‘লা প্লাস দো লিতোয়াইল’ বইটি জার্মানিতে হলোকাস্ট পরবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে মোদিয়ানো ভর্তি হন প্যারিসের লুসি অঁরি-৪ সেকেন্ডারি স্কুলে, যেখানে তিনি শিক হিসাবে পান লেখক রেমো কুইনোকে। বলা হয়, কুইনোর উৎসাহ আর পরিচর্যাই লেখক মোদিয়ানোর ভিত্তি গড়ে দেয়। তিনিই প্রকাশনা সংস্থা গ্যালিমার সঙ্গে মোদিয়ানোর যোগাযোগ ঘটিয়ে দেন। ফ্রান্সের পাঠকদের কাছে প্যাত্রিক মোদিয়ানো একটি পরিচিত নাম। তার বেশ কিছু বই ইংরেজিতেও অনূদিত হয়েছে। তারপরও অন্য ভাষার পাঠকরা তার লেখার সঙ্গে পরিচিত নন খুব একটা। আলোর শহর প্যারিসও এই নিভৃতচারী সাহিত্যিকের ওপর খুব বেশি আলো ফেলতে পারেনি। সংবাদপত্রগুলো খুব কমই তার সাক্ষাৎকার ছাপতে পেরেছে। এমনকি সুইডিশ একাডেমিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে রেওয়াজ অনুযায়ী তাকে টেলিফোনে নোবেলপ্রাপ্তির খবর জানাতে পারেনি।

কেবল উপন্যাস নয়, মোদিয়ানোর হাত দিয়ে শিশু সাহিত্য, এমনকি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও বেরিয়েছে। তবে তার সবচেয়ে পরিচিত কাজ সম্ভবত ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত ‘রুই দে বুটিক অবসকিউর’ (ইংরেজি অনুবাদের নাম মিসিং পারসন), যে উপন্যাসের জন্য তিনি সম্মানজনক ‘প্রি গুনকুয়া’ পুরস্কার জিতে নেন।

এ উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে এমন এক গোয়েন্দাকে ঘিরে, যিনি ঘটনাচক্রে স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছেন এবং জীবনের শেষ ‘কেইস’ হিসেবে নিজের পরিচয় উদঘাটনের তদন্তে নেমেছেন। এই অন্বেষণে ইতিহাসের পাতায় তিনি অনুসরণ করে চলেছেন নিজেরই ফেলে আসা পদচিহ্ন। সুইডিশ একাডেমির সেক্রেটারি পিটার ইংলান্দ বলেন, “আকারে ছোট, ১৩০ থেকে ১৫০ পৃষ্ঠার এক একটি বই। অধিকাংশ কাহিনীতেই ফিরে ফিরে এসেছে স্মৃতি, স্মৃতিলোপ, আত্মপরিচয়ের সঙ্কট আর নিজের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা।” মোদিয়ানোর বহু উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে তার শৈশবের প্যারিসে। তারই জীবনের টুকরো টুকরো অংশ নিয়ে গল্পের পরিণতির দিকে এগিয়েছে এক একটি চরিত্র। কখনো কখনো তিনি উপন্যাসের মাল-মসলা সংগ্রহ করেছেন মানুষের সাক্ষাৎকার থেকে, পত্রিকার নিবন্ধ থেকে, কখনো কখনো নিজের ডায়েরিতে লেখা নোট থেকে, বছরের পর বছর ধরে যা তিনি লিখে চলেছেন।

কখনো আবার মোদিয়ানোর একটি উপন্যাসের গল্প থেকেই জন্ম নিয়েছে আরেকটি উপন্যাস, এক কাহিনীর চরিত্র অন্য কোনো উপন্যাসে হাজির হয়েছে ভিন্ন কোনো প্রোপটে।  ১৯৭০ সালে দোমিনিক জাহফুসকে বিয়ে করেন মোদিয়ানো। ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালে জন্ম নেয় তাদের দুই মেয়ে জিনা ও মারি। মোদিয়ানোর লেখা ৩০টির বেশি উপন্যাসের মধ্যে ইংরেজিতে অনূদিত কয়েকটির নাম রিং রোডস, ভিলা ত্রিস্তে, আ ট্রেস অব ম্যালিস ও হানিমুন। চলতি বছর প্রকাশিত হয়েছে তার সর্বশেষ বই ‘পুর কু তু নে তো পেহদু পা দঁ লে ক্যাৎচি’ বাংলায় যার তর্জমা দাঁড়ায় ‘যাতে তুমি নিজেকে নিজের পাড়ায় হারিয়ে না ফেল’। আগামী ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে মোদিয়ানোর হাতে পুরস্কার বাবদ তুলে দেয়া হবে ৮০ লাখ ক্রোনার। গত বছর সাহিত্যে নোবেল পান ছোটগল্পকার এলিস মুনরো, প্রাঞ্জল গদ্যে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা ফুটিয়ে তোলায় মুনশিয়ানার জন্য যাকে ‘কানাডার চেকভ’ বলা হয়।

সূত্র : বিডিনিউজ২৪.কম

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।