সংবাদ শিরোনামঃ

তীব্রতর হচ্ছে আন্দোলন ** পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে ** শক্তি নয় সমাধান সংলাপে ** টানা অবরোধ হরতালে অচল দেশ ** সংলাপে বসতে বহির্বিশ্বের প্রচণ্ড চাপে বেকায়দায় সরকার ** অনুমতি ছাড়াই চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান ** আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে সরকার টিকে আছে ** রাজনৈতিক দমন নিপীড়ন বন্ধ করুন ** আবারও দৃশ্যপটে বিদেশী কূটনীতিকরা ** অভিযান নামের নির্যাতন ** গণতন্ত্র মুক্তির দাবিতে ২০ দলীয় জোটের অবরোধে অচল দেশ ** আল মাহমুদের কবিতা কার প্রেমে, কার সান্নিধ্যে **

ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪২১, ১ রবিউস সানি ১৪৩৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৫

সরকারের প্রতি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ

অবিলম্বে রাজনৈতিকদলগুলোর সাথে সংলাপে বসুন

স্টাফ রিপোর্টার : রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অবিলম্বে একটি অর্থবহ সংলাপে বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। গত ১৮ জানুয়ারি রোববার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ আহ্বান জানান তারা। নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের গণতন্ত্র রক্ষা ও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে জনগণের সাথে সাংবাদিকরাও আগামী দিনে রাজপথে থাকবে। বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া, প্রেস ক্লাবে হামলা, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ, সেন্সরশিপ প্রত্যাহার, সম্প্রচার নীতিমালা বাতিল, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও সাগর-রুনির প্রকৃত খুনিদের গ্রেফতারের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

বিএফইউজে সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধানের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত পোশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, মহাসচিব এমএ আজিজ, ডিইউজের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহীদ, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম মহসীন, সাধারণ সম্পাদক মীর আহমেদ মীরু, ডিইউজের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ, বর্তমান প্রচার সম্পাদক আকন আব্দুল মান্নান, বাসসের ইউনিট প্রধান আবুল কালাম মানিক, নয়াদিগন্তের ইউনিট প্রধান ফয়েজউল্লাহ ভূঁইয়া, মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, ডিইউজের নির্বাহী সদস্য শাজাহান সাজু, খন্দকার আলমগীর হোসেন প্রমুখ।

শওকত মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্র না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা থাকে না। এ জন্য ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সাংবাদিকরাই প্রথম রাজপথে নেমে আসে। এবারও দেশে গণতন্ত্র না থাকায় সাংবাদিকরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে। বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়া, সাংবাদিক হত্যার বিচার, মাহমুদুর রহমানের মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে সাংবাদিকরা জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের সাথে একাত্ম হয়ে রাজপথে নামবে। তিনি বলেন, এ আন্দোলনে কোনো সাংবাদিক আক্রান্ত হলে আঘাতকারীদের জনতার আদালতে বিচার করা হবে। বিএফইউজে সভাপতি অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের আমলে যত সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতিত হয়েছে তা অতীতে কখনো হয়নি। শত শত সাংবাদিককে বেকার করা হয়েছে। একুশে টিভির সাংবাদিকদের কয়েকজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। কুমিল্লায় সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। শুধু তাই নয় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢুকে সরকারদলীয়রা সাংবাদিকদের উপর হামলা চালিয়েছে। তিনি পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব প্রধানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপর হুমকি দিচ্ছে। কিন্তু জনগণ তাদের হুমকিকে ভয় পায় না। আওয়ামী লীগের আন্দোলনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল দিয়েছিলো। তখন যারা রেললাইন উপড়ে ফেলেছিলো তাদেরকে পরে রাষ্ট্রীয় পুরস্কারও দিয়েছিলো। পেশাজীবী এই নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিরোধী জোটের ৭ দফা মেনে নিয়ে অবিলম্বে সংলাপের আয়োজন করুন। নির্দলীয় সরকার দিয়ে বিদায় নিন। অন্যথায় গণঅভ্যুত্থান মোকাবেলা করতে হবে। তখন পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি কেউই সরকারকে রক্ষা করতে পারবে না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবকে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে প্রেস ক্লাব থেকেই সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে। এবারও প্রেস ক্লাব থেকেই আন্দোলন চলবে। এ আন্দোলনে তিনি সবাইকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। একই সাথে তিনি আগামী ২১ জানুয়ারি সকাল ১১ টায় আবার একই স্থানে প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

রুহুল আমিন গাজী বলেন, দেশে বর্তমানে বাকশালের চেয়েও ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা রাজনৈতিক নেতাদের মতো বক্তব্য দিচ্ছে। তিনি পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব প্রধানদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা রাজনীতি করতে চাইলে কোনো সমস্যা নেই। তবে  সরকারি পোশাক খুলে প্রকাশ্য রাজনীতিতে আসতে হবে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্য হয়নি। এ সরকার একটি অবৈধ সরকার। তিনি সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কোনো সরকারই চিরস্থায়ী নয়। জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে কেউ কখনো টিকতে পারেনি, আপনারও টিকতে পারবেন না। এবারও জনগণের আন্দোলনই বিজয়ী হবে।  তিনি সরকারকে একটি অর্থবহ সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে অতিদ্রুত উদ্যোগ নিন। না হলে দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে।

এম এ আজিজ বলেন, চাঁপাইনবাগঞ্জের কানসাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও মুখোশধারীরা মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে যেভাবে ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে তা একাত্তরের চেয়েও ভয়াবহ।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।