ভোলাহাটে কৃষি জমিতে নতুন ইট ভাটা

ফসল ও আমের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
ভোলাহাট (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা : চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট উপজেলায় সরকারি নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে একশ্রেণীর অসাধুচক্র ফসলি জমিতে নতুন করে ইটভাটা তৈরি শুরু করায় কৃষি ফসল ও আমের ব্যাপক য়তির আশঙ্কার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্বে যখন জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাবে বায়ু দূষণ প্রচণ্ড খরা ভূগর্ভস্থ পানি নিচে নেমে যাওয়ায় চরম প্রভাব পড়ছে ঠিক এমন সময় উপজেলার আদাতলা মৌজার তিন ফসলি কৃষি জমি অসহায় সরল কৃষককে বিভিন্ন প্রকার লোভ দেখিয়ে অল্প টাকায় প্রায় ৩০ বিঘা জমি র্দীঘ মেয়াদি লিজ নিয়ে ইটভাটা তৈরি শুরু করেছে অসাধুচক্রের সদস্য গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর গ্রামের কাশেম মোল্লার ছেলে ইউনুস আলী ও ভোলাহাট উপজেলার গোহালবাড়ী গ্রামের আদিন মণ্ডলের ছেলে আফসার আলী। সরকারি নিয়মানুযায়ী একটি ইটভাটা করতে হলে বন্যায় ডুবে যাওয়া পরিত্যক্ত ফসল হয় না এমন এক একর জমির উপর ইটভাটা তৈরি করতে হবে এবং বায়ু দূষণ না হয় এমন চিমনীসহ সরকারের আরো নিয়ম মেনে ইটভাটা তৈরি করবে। কিন্তু এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, উল্লেখিত ব্যক্তিরা নিজেদের এক স্বার্থে লাভবান হতে আদাতলা, পঞ্চনন্দপুর, হরিপুর ও খড়কপুর গ্রামের ব্যাপক জনগোষ্ঠী অসহায় কৃষক সরকারি-বেসরকারি ৩-৪টি গভীর নলকূপসহ অন্যান্য উপায়ে আউস, আমন ও বোরোসহ টমেটো, আলু, মুশরী, খেসারী, ভূট্টাসহ নানা প্রকার ফসল উৎপাদন করে প্রায় ১ হাজার বিঘা জমিতে। এ দিকে ইটভাটা তৈরিতে কৃষি ফসলে সেচ কাজে ব্যবহৃত ড্রেনগুলোকে ভেঙ্গে ফসল চাষাবাদে অনুপযোগী করে ফেলেছে। অপরদিকে উপজেলার একমাত্র অর্থকরী ফসল আম। এ তৈরিকৃত ইটভাটার পাশেপাশে প্রায় সহস্রাধিক আমবাগান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমেরও ব্যাপক ক্ষতি হবে। ইটভাটা তৈরি হলে উল্লেখিত ফসলের তিতে এলাকায় চরম দুর্ভি দেখা দেয়ার আশঙ্কায় হতাশ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। ফলে এলাকার কৃষক, আমবাগান মালিক ও গভীর নলরূপ সংশ্লিষ্টরা তৈরিকৃত ইটভাটায় বিভিন্ন ফসল ও আমের ব্যাপক য়তির আশঙ্কায়  প্রায় দেড় শতাধিক এলাকাবাসী ইটভাটা না হওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রেরণ করেছেন ৩১ মে।

কিন্তু ইটভাটার অসাধু মালিক চক্র বিভিন্ন দফতরে প্রভাব খাটায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রকার পদপে গ্রহণ করেনি কর্তৃপ। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোস্তাকিম (আর্মি) জানান, ইটভাটার কারণে এলাকার বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় শঙ্কিত এলাকাবাসী। ফলে নতুন ইটভাটা না হওয়ার দাবি জানান তিনি।  বর্তমানে হতাশ এলাকাবাসী ফসলি জমি ও আমবাগানের পাশে নতুন করে ইটভাটা তৈরি করে ব্যাপক য়-তির হাত থেকে কৃষক ও আমবাগান মালিকদের বাঁচাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্তৃপরে হন্তপে কামনা করেছেন।