নীলফামারীর চার ছিটমহলে নিবন্ধিত ১১৯টি পরিবার

নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার অভ্যন্তরে থাকা ভারতীয় চারটি ছিটমহলের জনগণনায় ১১৯টি পরিবারের ৫৪৫জন সদস্য নিবন্ধিত হয়েছে। তবে তারা কেউ ভারতের নাগরিক হননি। তারা সকলে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য নিবন্ধন করেছেন।

এবারের জনগণনায় ২০১১ সালের চেয়ে চারটি ছিটমহলে জনসংখ্যা ২৩ জন পুরুষ ও ১৬ জন নারী বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯ জন হয়েছে। এবারের জরিপে শিশু জন্ম, বিয়ে ও মৃত্যুর হিসাব যোগ বিয়োগ করা হয়। বিয়ের কারণে যেসব মেয়ে ছিটমহলের বাইরে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে চলে গেছে তাদের জরিপে বাদ দেয়া হয়েছে। আবার বাংলাদেশের ভুখণ্ড থেকে ছিটমহলে যে সব মেয়েদের বিয়ে হয়েছে তাদের এই জরিপে সংযুক্ত করা হয়েছে। ২০১১ সালের জনগণনার পর ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়নে ২০১৫ সালের নতুন করে জনগণনা গত ৬ জুলাই থেকে শুরু হয়ে চলে দশদিনব্যাপী যা ১৬ জুলাই শেষ হয়। জানা যায়, ২০১১ সালের ১৫ জুলাই হতে ১৮ জুলাই পর্যন্ত জনগণনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে সময় বাংলাদেশের নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার অভ্যন্তরে ৪টি ছিটমহলের জরিপে ১১৯টি পরিবারের ৫০৬ জন জনসংখ্যা ছিল। যার মধ্য পুরুষ ২৫৮ জন ও নারী ২৪৮ জন। এবারের ২০১৫ সালের জনগণনায় পরিবারের সংখ্যা ঠিক থাকলেও জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪৫ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ২৮১ ও নারী ২৬৪ জন। যা ২০১১ সালের চেয়ে ২০১৫ সালে বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৯ জন। জনগণনা অনুযায়ী দেখা যায় ২০১১ সালে ২৮ নম্বর বড়খানকীবাড়ী ছিটমহলে ২১টি পরিবারে পুরুষ ৪৩ ও নারী ৪৩ সহ ৮৬ জনের জনসংখ্যা ছিল। এবারের জরিপে এই ছিটমহলে পরিবারের সংখ্যা ঠিক থাকলেও ৩ জন বৃদ্ধি পেয়ে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫ ও নারী ৪৪ জন। ২৯ নম্বর বড়খানকীবাড়ি ছিটমহলে ২০১১ সালে ৪৫টি পরিবারের জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষ ৯২ জন ও নারী ৯৪ জনসহ ১৮৬ জন ছিল।

এবারে জনসংখ্যা ৮ জন বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ জন ও নারী ৯৮ জন। ৩০ নম্বর বড়খানকিবাড়ী খারিজা গীতালদহ ছিটমহলে ২০১১ সালে ৮টি পরিবারের জনসংখ্যায় পুরুষ ১৯ ও নারী ১৮সহ ৩৭ জন। এবার জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন ও নারী ১৯ জন। ৩১ নম্বর নগর জিগাবাড়ি ছিটমহলে ২০১১ সালে ৪৫টি পরিবারের জনসংখ্যা ছিল ১৯৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ১০৪ জন ও নারী ৯৩ জন। এবার এখানে জনসংখ্যা ২৩ জন বৃদ্ধি পেয়ে মোট জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২০ জনে। এরমধ্যে পুরুষ ১১৭ জন ও নারী ১০৩ জন। উল্লেখ্য যে, গত ৬ জুলাই থেকে ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ১৬২টি ছিটমহলের যৌথ জনগণনা শুরু করা হয়। যা ১০ দিন ব্যাপী জনগণনার পর গত ১৬ জুলাই শেষ হয়।