সংবাদ শিরোনামঃ

আন্তর্জাতিক চাপে সরকার ** গুমের সঙ্গে এই সরকার জড়িত ** যেমন কর্ম তেমন ফল ** শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ** উৎপাদন খরচ কমলেও বাড়লো বিদ্যুতের দাম ** গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : বিএনপি ** প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, উত্তাল মালয়েশিয়া ** দেশ আতঙ্কিত অথচ সরকার বলছে শান্তিপূর্ণ ** রাষ্ট্র ও সরকারকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ** অনুভূতির সাগরে কুরআনের দেশে ** গুম দিবসও গুম হয়ে গেলো! ** ছোটদের বন্ধু নজরুল ** বন্যায় সারাদেশে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি অপর্যাপ্ত সরকারি সাহায্য ** রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ** যশোরের শার্শায় বাণিজ্যিকভাবে বেদানা চাষ **

ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ভাদ্র ১৪২২, ১৯ জিলকদ ১৪৩৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

তৌহিদুর রহমান
এই পৃথিবীতে যার যা প্রাপ্য বা অধিকার তাকে সেই প্রাপ্য বা হক থেকে বঞ্চিত করার নামই জুলুম। ইনসাফবিরোধী কাজ করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, কারও অধিকার হরণ করা, বিনা অপরাধে মানুষের ওপর হামলা করা, নির্যাতন চালানো, কাউকে শারীরিক, আর্থিক, মানসিক ও মান-সম্মানের তিসাধন করা, কারো উপর নৃশংসতা চালানো, অন্যায়ভাবে কারো সম্পদ দখল করা, অশ্লীল ভাষায় কাউকে গালি দেয়া, কাউকে যন্ত্রণা দেয়া সবই জুলুমের পর্যায়ভুক্ত। এভাবে অন্যায়, অবিচার করে যারা মানুষের হক নষ্ট করে তারা জালেম।

আমরা বার বার স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ইসলাম কখনোই শুধুমাত্র আচার-অনুষ্ঠান সর্বস্ব কোনো ধর্ম নয়। ইসলাম জীবন পরিচালনার একটা সিস্টেম। এটা একটা পরিপূর্ণ জীবন বিধান। অন্তত কয়েক শতক ধরে ইসলাম যে একটা পূর্ণাঙ্গ জীবন à¦ªà¦¦à§à¦§à¦¤à¦¿Ñ à¦¤à¦¾ নিয়ে সারা দুনিয়ায় অহরহ আলোকপাত করা হচ্ছে। কিন্তু অশিতি, কুশিতি, ইসলাম বিদ্বেষী, ধর্মব্যবসায়ী, স্বার্থান্বেষী মুসলমানের কর্ণকুহরে তা যেন কিছুতেই প্রবেশ করছে না! অতএব, যা হবার তাই হচ্ছে, পরিবার, রাষ্ট্র, সমাজ, জ্ঞান-বিজ্ঞান ইত্যাদিতে আজ একচেটিয়া আধিপত্য মুসলিম বিদ্বেষীদের। ইহুদি নাসারাদের। রাষ্ট্র চালাচ্ছে আজ তথাকথিত সেক্যুলার ধর্মব্যবসায়ীরা। জ্ঞান-বিজ্ঞান আজ ইহুদি-নাসারা ও মুসলিম বিদ্বেষীদের হাতে। সমগ্র সমাজ পরিচালনা করছে আজ তথাকথিত প্রগতিবাদীরা! সাম্রাজ্যবাদ, সমাজবাদ, সেক্যুলারবাদ, পুঁজিবাদ আজ মুসলমানদের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে টেনে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে। রাষ্ট্র এখন জুলুমতন্ত্রের হাতিয়ার হিসেবে মানুষের সব ধরনের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ আজ রাষ্ট্রের দাসে পরিণত হয়েছে। অথচ হওয়ার কথা ছিল তার উল্টো। মানুষের জন্য রাষ্ট্রের জন্ম, রাষ্ট্রের জন্য মানুষের জন্ম হয়নি। মানুষের প্রয়োজনেই মানুষ রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তুলেছে। একমাত্র মানুষের কল্যাণের জন্য একটা সিস্টেম গড়ে তোলা হয়েছে রাষ্ট্র ব্যবস্থার মাধ্যমে। অথচ সেই রাষ্ট্রই আজ জুলুমতন্ত্রের সর্বোনিকৃষ্ট হাতিয়ার। সারা দুনিয়াতে এমন একটা রাষ্ট্রও খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে কোন প্রকার জুলুম চলছে না! জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সেই জনগণের উপরই ভয়াবহ নির্যাতন চালায় জালেমরা, শাসকরা।

কিন্তু ইসলামে সব রকমের অত্যাচার, জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন অত্যন্ত কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু অত্যাচার, জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন করা à¦¨à§ŸÑ à¦ সমস্ত অন্যায় কাজে সহযোগিতা করাও ইসলামে হারাম করা হয়েছে। তাছাড়া জালিমদের সাথে সম্পর্ক রাখাও ইসলামে হারাম করা হয়েছে। মানুষের ওপর অত্যাচার, জুলুম, নিপীড়ন, নির্যাতন এমনই এক মারাত্মক অপরাধ যার কারণে দুনিয়ার জীবনেই এর শাস্তি কোনো না কোনোভাবে মানুষ পেয়ে যায়। ইতিহাস সাী অসংখ্য শাসক দুনিয়াতে সীমাহীন জুলুম করার শাস্তি এই দুনিয়াতেই ভোগ করে গেছেন। হাজার হাজার শাসককে অত্যাচার, জুলুম, নিপীড়ন করার কারণে মজলুমের হাতে জীবন দিতে হয়েছে।  

শুধু মানুষ নয়, পশুপাখি ও প্রাণীর ওপরও জুলুম করা হারাম। জুলুম একটি ভয়ঙ্কর অপরাধ। এই অপরাধের কারণে পরকালে অবশ্যই জাহান্নামে যেতে হবে। আমরা এখানে জুলুম, জুলুমের পরিণাম, জুলুম থেকে বাঁচার উপায় ও কারও প্রতি জুলুম করে থাকলে দুনিয়াতে করণীয় কী সে সম্পর্কে আলোচনা করার চেষ্টা করব। আমরা অনেকে পরহেজগার হিসেবে সমাজে বেশ পরিচিত হলেও অন্যের ওপর জুলুম-নির্যাতন করার ক্ষেত্রে অজ্ঞ জালেমের চেয়ে কোন দিক থেকে কম নই। বিশেষ করে দুর্বল মানুষের ওপর, প্রকৃত ধার্মিকদের ওপর, অসহায়দের ওপর জুলুম করাকে আমরা অনেকে অন্যায় মনে করি না। কিছু কিছু েেত্র জালেমরা জুলুম করে কৌতূক ও আনন্দ অনুভব করে। মনে রাখা জরুরি যে জুলুম এমন এক মহাপাপ যা সাধারণত আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না, যতণ পর্যন্ত যার ওপর জুলুম করা হয়েছে সে যদি জালেমকে ক্ষমা না করে। প্রকৃত ধার্মিকদের আরও মনে রাখতে হবে, শুধু নামাজ, রোজা, হজ, জাকাতের নাম ধর্ম নয়। সমস্ত ভালো কাজ পালন করা এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার নাম হচ্ছে ধর্ম। সাথে সাথে ভালো কাজের জন্য উপদেশ দেয়া আর অন্যায় কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখাও ধর্ম। এর অর্থ হচ্ছে কুরআন ও হাদিসের ভালো কাজের আদেশগুলো শুধু মেনে নিলে বা মেনে চললেই ধর্ম পালন করা হবে না, এর পাশাপাশি কুরআন ও হাদিসের নিষেধগুলোও বর্জন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘কিছু লোক এমন আছে যারা বলে আমরা ঈমান এনেছি আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি, আসলে তারা ঈমানদার নয়। তারা আল্লাহকে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে ধোঁকা দেয় এবং আসলে তারা নিজেদের ছাড়া অন্য কাউকে ধোঁকা দেয় না। কিন্তু তারা তা বুঝতে পারে না। (সূরা বাকারা, আয়াত : ৮,৯)। মহান আল্লাহর এ ঘোষণা সম্পর্কে আমাদের যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। কিভাবে একজন মানুষ আল্লাহর বান্দা হিসেবে নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত প্রদান করে আবার সেই একই মানুষ অহরহ অন্যের হক নষ্ট করে, অন্য মানুষের অত্যাচার জুলুম নির্যাতন চালায়! মানুষ নিজেই আল্লাহর সৃষ্টি হয়ে আল্লাহর অন্য সৃষ্টির ওপর জুলুম করবে এ অধিকার আল্লাহ মানুষকে দেননি?

মহাগ্রন্থ আল কুরআনে জুলুম সম্পর্কে ব্যাপক আলোচনা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘জালেমদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহকে কখনও উদাসীন মনে করো না। তবে আল্লাহ তাদের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন, যেদিন চোখসমূহ বিস্ফোরিত হবে, মানুষ মাথা উপরমুখী করে পড়িমরি ভাবে দৌড়াতে থাকবে, তাদের চোখ নিজেদের দিকে ফিরবে না এবং তাদের অন্তর দিশেহারা হয়ে যাবে। মানুষকে আজাব আসার দিন সম্পর্কে সাবধান করে দাও, যেদিন তাদের কাছে আজাব আসবে সেদিন জালেমরা বলবে, হে আমাদের প্রভু! সামান্য সময়ের জন্য আমাদের অবকাশ দিন, আমরা আপনার ডাকে সাড়া দেব (আর কারো ওপর জুলুম করব না) এবং রাসূলদের অনুসরণ করব। (জালেমরা) তোমরা কি ইতঃপূর্বে কসম খেয়ে বলতে না যে তোমাদের কখনো পতন হবে না! যারা নিজেদের ওপর জুলুম করেছে, তোমরা তো তাদের স্থানেই বসবাস করছ এবং ওই সব জালেমের সাথে আমি কি ধরনের আচরণ করেছি, তা তো তোমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া আমি তোমাদের জন্য বহু উদাহরণ পেশ করেছি।’ (সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪২-৪৫)।

অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘জুলুমবাজরা তাদের জুলুমের পরিণতি অচিরেই জানতে পারবে, তাদের গন্তব্যস্থল কেমন?’

‘আর তোমরা জালেমদের প্রতি ঝুঁকে পড়বে না, জালেমদের সহযোগী হবে না, তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাদেরও স্পর্শ করবে’ (সূরা হুদ : ১১৩ : আয়াত)।

জুলুমের ভয়াবহতা সম্পর্কে কুরআন-হাদিসে অসংখ্য বর্ণনা আছে। জালেম বা জুলুমবাজদের জানা উচিত, তাদেরও একদিন আল্লাহর দরবারে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, জালেমদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আল্লাহকে উদাসীন মনে করো না। যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করে, জুলুমবাজরা তাদের অত্যাচারের পরিণতি অচিরেই জানতে পারবে। (সূরা শুরা, আয়াত : ২২)।

রাসূল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা জালেমদেরকে দীর্ঘ সময় দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন তাদের পাকড়াও করেন তখন আর তাদের রেহাই দেন না। অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করেন, তোমার প্রভুর পাকড়াও এ রকমই হয়ে থাকে, যখন তিনি জুলুমরত জনপদে পাকড়াও করেন। তাঁর পাকড়াও হয় অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, অপ্রতিরোধ্য’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)।

রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ঋণী ব্যক্তির ঋণ পরিশোধে টাল-বাহানা করাও জুলুমের শামিল। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২২২৭)

হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। রসূলুলাহ (সা.) বলেছেন, মুমিনরা যখন দোযখের আগুন থেকে পরিত্রাণ পাবে তখন জান্নাত ও জাহান্নামের মাঝে একটি সেতুর উপর তাদেরকে থামানো হবে এবং তখন দুনিয়ায় তারা একে অপরের প্রতি যে জুলুম করছিল তার প্রতিশোধ নেয়া হবে। অবশেষে যখন তারা পাপ মুক্ত হয়ে পবিত্র হবে তখন তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। এরপর তিনি বলেন, সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে মুহাম্মদের à¦œà§€à¦¬à¦¨Ñ à¦¨à¦¿à¦¶à§à¦šà§Ÿà¦‡ তাদের প্রত্যেকের কাছে দুনিয়ার বাড়িঘর যেমন পরিচিত ছিল তার থেকেও বেশি জান্নাতের বাড়ি চিনতে পারবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২২৬৩)

রসূলুলাহ (সা.) বলেছেন, মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার উপর জুলুম করবে না; কিংবা তাকে জালেমের হাতে সোপর্দও করবে না। যে কেউ তার ভাইয়ের অভাব পূরণ করবে, আলাহ তার অভাব পূরণ করবেন। যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের কোনো বিপদ দূর করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার বিপদসমূহের মধ্যে থেকে সবচেয়ে বড় কোন বিপদ দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলামানের দোষ ঢেকে রাখবে আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন রাখবেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২২৬৫)

হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলাহ (সা.) বলেছেন, তোমার ভাইকে সাহায্য কর, সে জালেম হোক কিংবা মজলুম। এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রসূলুলাহ! মজলূমকে আমরা সাহায্য করব, এটা তো বুঝলাম কিন্তু জালেমকে কিভাবে সাহায্য করব? তিনি বললেন, তুমি জালেমের হাত শক্ত করে ধরে রাখবে যাতে সে জুলুম করতে না পারে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২২৬৭)

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সা.) বলেছেন, জুলুম জালেমের জন্য কিয়ামতের দিন কঠিন অন্ধকার হয়ে আসবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২২৭০)

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রসূল (সা.) মুআয (রা.)-কে ইয়েমেনে পাঠালেন এবং তাকে বললেন, মজলুমের অভিশাপকে ভয় কর। কেননা, তার অভিশাপ ও আল্লাহর মাঝে কোনো আড়াল থাকে না। (সহি বুখারি, হাদিস নং- ২২৭১)

হজরত সাঈদ ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুলাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি কারও জমি জোর-জবরদস্তি করে কেড়ে নেবে কিয়ামাতের দিন সাতস্তর জমি তার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস নং- ২২৭৫)

মতা থাকলেই জুলুম করা ঠিক নয়। জুলুমকারী জুলুম করে সুখে নিদ্রা গেলেও মজলুমের চোখে ঘুম থাকে না। তার কষ্টের কথা আল্লাহর দরবারে পৌঁছে যায়। মজলুমের অভিশাপের পরিণাম হয় ভয়াবহ। মানুষ মানুষের অধিকার হরণ, নির্যাতন, উৎপীড়ন ও যন্ত্রণা দেয়া যেমন জুলুম, তেমনি মহান আল্লাহর সঙ্গে তাঁর কোনো সৃষ্টিকে শরিক করা সবচেয়ে বড় জুলুম। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, আল্লাহর সাথে কোনো শরিক করো না। নিশ্চয়ই শিরক হচ্ছে বড় জুলুম। (সূরা লুকমান, আয়াত : ১৩)।

রসূল (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, হে আমার বান্দারা! আমি নিজের ওপর জুলুম হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের পরস্পরের মধ্যেও তা হারাম করেছি। সুতরাং তোমরা পরস্পরের ওপর জুলুম করো না। (সহিহ মুসলিম, তিরমিজি)।

জালেম যতই কৌশলী, জ্ঞানী, শক্তিশালী, বিত্তবান বা রাজা-বাদশা হোক না কেন, সে যদি জুলুমের ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে অবহিত হতো, তাহলে সে কখনও জুলুম করত না। মহানবী (সা.) বলেছেন, কেউ যদি তার ভাইয়ের সম্মানহানি করে অথবা তার কোনো জিনিসের তি করে, তবে আজই তার কাছ থেকে তা বৈধ করে নেয়া উচিত এবং সেই ভয়াবহ দিন আসার আগেই তা করা উচিত। সেদিন টাকা-পয়সা দিয়ে কোনো প্রতিকার পাওয়া যাবে না, বরং জালেমের কাছে কোনো নেক আমল থাকলে তার জুলুমের পরিমাণ হিসেবে মজলুমকে সেই নেক আমল দিয়ে দেয়া হবে এবং ওই মজলুমের অসৎকাজ তার ওপর বর্তাবে। (বুখারি, তিরমিজি)।

মুসলমানদের অবশ্যই উচিত, দুনিয়াবাসীকে সত্যের দিকে ডাকা প্রতিটি মুসলমানের ওপর ফরজ। যারা মানুষকে এ হক থেকে বঞ্চিত করে তারাও জালেমের অন্তর্ভুক্ত। মহান আল্লাহ বলেন, ‘তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে, যার কাছে আল্লাহর প থেকে একটি সত্য রয়েছে, সে তা প্রকাশ না করে গোপন রাখে? (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৪০)। আর যেসব মানুষ আল্লাহর দাওয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের সম্পর্কে আল্লাহপাক বলেন, ‘তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে, যাকে তার রবের আয়াত শুনিয়ে উপদেশ দেয়ার পরও সে তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। (সূরা কাহফ, আয়াত : ৫৭)

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।