সংবাদ শিরোনামঃ

আন্তর্জাতিক চাপে সরকার ** গুমের সঙ্গে এই সরকার জড়িত ** যেমন কর্ম তেমন ফল ** শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে ** উৎপাদন খরচ কমলেও বাড়লো বিদ্যুতের দাম ** গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক : বিএনপি ** প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন বিক্ষোভ, উত্তাল মালয়েশিয়া ** দেশ আতঙ্কিত অথচ সরকার বলছে শান্তিপূর্ণ ** রাষ্ট্র ও সরকারকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ** অনুভূতির সাগরে কুরআনের দেশে ** গুম দিবসও গুম হয়ে গেলো! ** ছোটদের বন্ধু নজরুল ** বন্যায় সারাদেশে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি অপর্যাপ্ত সরকারি সাহায্য ** রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবির কর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ** যশোরের শার্শায় বাণিজ্যিকভাবে বেদানা চাষ **

ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ভাদ্র ১৪২২, ১৯ জিলকদ ১৪৩৬, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

উম্মে আইরিন
মাতৃগর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর মুহূর্তেই মানব শিশু বা প্রাণী শাবক তার সহজাত প্রবৃত্তিবশে অনুভব করতে পারে, তার মায়ের বুকেই রয়েছে তার টিকে থাকার উপাদান। আর সাথে সাথে সে নিজকে সেদিকে টেনে নিয়ে যায়। যে মুহূর্তে সে তার মায়ের স্তনের বোটা স্পর্শ করে, সেই মুহূর্ত থেকেই সে তা চুষতে আরম্ভ করে দেয়। শিশুর এই স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য নির্ধারিত ঐশী ব্যবস্থাপনারই অংশ। মাতৃদুগ্ধের প্রতি শিশুর আকর্ষণ যেমন স্বভাব জাত, তেমনি মায়ের ভিতরে বিদ্যমান গুণাবলীর অংশীদার হওয়াও সন্তানের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য।

ডিন জারোস গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছেন যে, শিশুদের ব্যক্তিত্ব গড়ার জন্য বাবা-মাই প্রধানত দায়ী। ‘তাঁরাই শিশুর সিদ্ধান্ত নেয়ার ধাঁচটি তৈরি করে দেন ও ঘরের বাইরের জগতের সঙ্গে তার মিথস্ক্রিয়ার ধারাটি স্থির করেন। শিশুরা তাদের জীবনে যা কিছুর সম্মুখীন হয় তার বেশির ভাগই মূল্যায়ন করে থাকে তাদের বাবা মায়ের আচরণের ধাঁচের নিরিখে। কেননা বাবা মায়ের আচরণের ধাঁচই তাদের কাছে মানদণ্ড বা আদর্শ বিবেচিত হয়। সংেেপ বলা যায়, শিশুর জীবন শৈলীর বহু সাধারণ বৈশিষ্ট্য বাবা- মায়ের পরিবেশ ও সান্নিধ্যে নির্ধারিত হয়ে থাকে।

তাই বীর সন্তান পেতে হলে প্রয়োজন বীর মাতা অর্থাৎ বীর মাতারাই পারেন সমাজকে বীর সন্তান উপহার দিতে। এ এক অভ্রান্ত সত্য বিধান। এ দাবির সমর্থনে আল্লাহর ঘোষণা - “ভালো জমি আল্লাহর অনুমতিক্রমে উত্তম ফসল উৎপন্ন করে। পান্তরে খারাপ জমিতে অতি সামান্যই ফসল জন্মে।’’ (সূরা আরাফ : ৫৮)

এ সত্যের আর একটি পরো ইঙ্গিত রয়েছে পবিত্র হাদিসে। রাসূল (সা.) বলেন :

 “প্রত্যেক নারীই তার স্বামীর পরিবারের তত্ত্বাবধায়িকা আর সে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কল্যাণ সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” (বুখারী ও মুসলিম)

অর্থাৎ শিশুর স্বভাজাত ভাবে প্রাপ্ত বৈশীষ্ট্যাবলীকে পরিপূর্ণ সুস্থ বিকাশের জন্য রয়েছে মায়েদের প্রধান ভূমিকা। যে গরবিনী বীর মাতা এ কাজটি করতে সম হয়েছেন তার সন্তান গড়ে উঠেছে ঈর্ষণীয় আদর্শ বীর পুরুষ হিসেবে।

এমন একজন বীর মাতা নূরজাহান খানম। এই মহীয়সী বীর মাতার কোল উজ্জ্বল করে জন্মগ্রহণ করেন সিরাজগঞ্জের সিংহ শাবক বাংলার শিরাজী। এই বীরপুরুষ ছিলেন বাংলার মুসলিম নবজাগরণের অগ্রদূত, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। ইসমাইল হোসেন শিরাজী ছিলেন একাধারে কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক, সৈনিক, ধর্মপ্রচারক, সমাজ সংস্কারক। শিরাজী ছিলেন স্বজাতির কল্যাণ ব্রতী এক চিন্তানায়ক। শিরাজীর এত সব গুণ অর্জনের পেছনে ছিল বীর মাতা নুরজাহান খানমের প্রাণঢালা অবদান। সত্যের পথে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথে ছেলে শিরাজীকে উৎসর্গ করেছিলেন মাতা নূরজাহান।

সে ১৩১৩ সালের এক ঘটনা। ৩০ আশ্বিন সিরাজগঞ্জে একটি বিরাট সভার আয়োজন করা হয় এবং সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী এ সভায় বক্তৃতা করেন। সভা পণ্ড করার জন্য এক দিকে সরকার গুণ্ডা লেলিয়ে দেয়, পুলিশ ও গুর্খা সৈন্য দিয়ে শহর ছেয়ে ফেলা হয়। শিরাজী মিছিল করে এ সভায় যোগ দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করলে শিরাজীর নানা তাঁকে সভায় না যাওয়ার জন্য বললেন। কিন্তু নির্ভীক শিরাজী নানার কথা মানতে রাজি হলেন না। তখন শিরাজীর নানা মেয়ে নূরজাহানকে বললেন, “নূরজাহান! তোমার ছেলে আজ সভায় গেলে গুলি খেয়ে মরবে।” এ কথার প্রতি উত্তরে নূরজাহান খানম বললেন, “আমি ওর নাম রেখেছি ইসমাইল, সে জবিউল্লাহ হয়ে যাক, নিষেধ করতে পারব না।”এমন বীর নারীর সন্তান বীর হবেন এটাইতো স্বাভাবিক।

বিভিন্ন সময় শিরাজীর সাহসী ভূমিকা পালনে তাঁর মাতা নূরজাহন খানম তাঁকে অনুপ্রাণিত করেছেন। এই মহীয়সী মাতা শিশু শিরাজীকে শুধু গল্প কাহিনী শুনিয়েই ান্ত ছিলেন না। শিরাজীর যৌবন কালেও তিনি পুত্রকে দুঃসাহসিক কাজের প্রেরণা যুগিয়েছেন। যেমন অনল প্রবাহ লেখার অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। তিনি ১৯১২ সালে ১৪ মে কারামুক্ত হন। ঐ সময় ইউরোপীয় শক্তির দ্বারা তুরস্কের যুদ্ধ শুরু হয়। জেল থেকে সবেমাত্র ফিরে এসে তুরস্কে যাবার মতো আর্থিক সামর্থ্য নেই এই মানুষিক দ্বিধা ও সংশয়ের মধ্যে একদিন গভীর রাতে তাঁর ঘুম ভেঙ্গে যায়। মাতা নূরজাহান খানম তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেন তুমি ঘুমাচ্ছো না কেন? প্রতি উত্তরে শিরাজী জানান তুরস্কের যুদ্ধের চিন্তায় আমার ঘুম আসছে না। আমি কতজনকে যাবার কথা বললাম কেউ রাজি হলো না। এ কথা শুনে শিরাজীর মাতা বললেন, আর কেউ না গেলেও তুই কি যেতে পারিস না? মায়ের এ কথা শুনে তিনি তুরস্কের যুদ্ধে চলে যান।

আর একবারের একটি ঘটনা। ব্রিটিশ সরকার শিরাজীর নামে হুলিয়া জারি করেছিল। শিরাজী তখন কলকাতার চন্দন নগরে অবস্থান করছিলেন। মা তাঁর পুত্রের কোনো খবর না পেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লিখলেন, “আমি এমন সন্তান জন্ম দেইনি যে নাকি ব্রিটিশ সরকারের জেল জুলুমের ভয়ে পালিয়ে থাকতে পারে। আমার এই লেখা পাবার পর তুমি যেখানেই থাক অতি সত্বর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ কর।” প্রতি উত্তরে শিরাজী জানালেন, “মা আমি পুলিশের ভয়ে পালিয়ে আছি এ কথা সত্য নয়। আমি মহাকাব্য পাণ্ডুলিপির কাজ শেষ করতেই আত্মগোপন করেছি। লেখাটি শেষ হলেই আমি আত্মসমর্পণ করব।” এভাবে বীর মায়ের সন্তান বীর মাতার সম্মান রাখতে কোনো দ্বিধা সংকোচ করেননি। তিনি মায়ের অপরিসীম প্রভাব ও ঋণকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন।

সাহাবাদের যুগ থেকে অনেক দূরে বর্তমান পশ্চিমা শিা সংস্কৃতির বিস্তৃতি কালে বসবাস করেও মুসলিম চিন্তা চেতনা ও আদর্শের উপর অবিচল থেকে একজন মা কিভাবে একটি জাতির চিন্তা-চেতনার উৎস হতে পারেন তার উত্তম উদাহরণ আবাদী বানু ওরফে“ বি আম্মা ”।

পাক ভারত উপমহাদেশের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব মাওলানা মুহম্মদ আলী জওহর রামপুরীর শ্রদ্ধেয় মাতা আবাদী বানু। মাওলানা মুহম্মদ আলীর পিতা আবদুল আলী খান ১৮৮০ সালে ইন্তিকাল করেন। তাঁর ইন্তিকালের সময় স্ত্রী আবাদী বানুর বয়স ছিল মাত্র ২৭ বছর এবং মুহম্মদ আলীর বয়স ছিল ২ বছর। স্বামীর মৃত্যুর পরে বিধবা আবাদী বানু সন্তানদের মুখ চেয়ে দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হননি।

তাঁর ছিল তিন পুত্র-যুলফিকার আলী খান গওহর, শওকত আলী ও মুহম্মদ আলী। যুলফিকার আলী খান ছিলেন একজন উচ্চ মানের কবি এবং ধর্ম বিশ্বাসের দিক দিয়ে তিনি ছিলেন আহমদীয়া সম্প্রদায় ভুক্ত। যার ফলে তিনি পরিবার থেকে সম্পর্কহীন হয়ে যান। এ কারণে ‘বি আম্মা’ মাওলানা শওকত আলী ও মুহম্মদ আলীর মা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।

আবাদী বানুকে তাঁর সন্তানেরা ‘বিআম্মা’ বলে ডাকতেন। যে কারণে পরবর্তী সময় খিলাফত আন্দোলন চলাকালে আবাদী বানু এ নামেই উপমহাদেশে খ্যাতি লাভ করেন। তিনি আধুনিক শিায় শিতিা ছিলেন না। তবে কুরআন তিলাওয়াত ছিল তাঁর নিত্য দিনের কাজ। এই মহীয়সী মহিলা নিজ প্রচেষ্টায় উর্দু ভাষা শেখেন। আধুনিক শিায় শিাতা না হয়েও তদানীন্তন সমাজের ইংরেজি বিারোধী ধ্যান ধারণা উপো করে তিনি নিজ পুত্রদের আধুনিক শিা দানের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। নিজ পরিবারে সামান্য উর্দু ফার্সী শিা দানের পর ‘ বিআম্মা’ আধুনিক শিা দানের উদ্দেশ্যে প্রথমে শওকত আলীকে এবং কিছু দিন পরে সাত বছর বয়সের মুহম্মদ আলীকে বেরেলী স্কুলে পাঠান। মুহম্মদ আলীর ভাষায় ঐ শিা ছিল আল্লাহ রাসূল ও পাক কিতাব বিবর্জিত পাশ্চাত্য ধর্মহীন শিা। কিন্তু আধুনিক শিার পাশাপাশি ‘বিআম্মার’ প্রচেষ্টায় তাঁর সন্তানেরা ইসলামের আলোকে নৈতিক ও মানবিক প্রশিণ লাভ করেন।

বেরেলিতে চার বছর অধ্যয়নের পর এগার বছর বয়সে মুহম্মদ আলী বড় ভাই শওকত আলীর সাহচর্যে ও তার তত্ত্বাবধানে ১৮৯০ সালে আলীগড় কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। এখানে ভর্তি হওয়ার পূর্বেই মুহম্মদ আলীর পরিচয় ঘটে আলীগড় কলেজের আরবী, ফার্সির অধ্যাপক মওলানা শিবলির সাথে। মওলানা শিবলির সাহচর্যে মুহম্মদ আলীর মন মানসিকতার উপর সুদূর প্রসারী প্রভাব বিস্তার করে। তিনি শিবলির শাগরিদ রূপে পূর্ণ মর্যাদা নিয়ে তাঁর দরসে কুরআন কাসে বসার অধিকার লাভ করেন। এই সাহচর্যের ফলেই তিনি শিবলির রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক ও শিা বিষয়ক চিন্তা ধারায় উদ্বুদ্ধ হন।

‘বি আম্মার’ সুষ্ঠু পরিচর্যায় মুহম্মদ আলী ও শওকত আলী ইসলামী চিন্তা চেতনায় বড় হতে থাকেন। মায়ের তীè দৃষ্টি ও গভীর অপত্য স্নেহ সন্তানদের বড় হওয়ার পথে প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করেছিল। মায়ের প্রচেষ্টাতে এভাবেই একটি সুন্দর পরিবার গঠিত হলো। ফলে বড় ভাই শওকত আলী তাঁর বেতনের পুরো অর্থই মুহম্মদ আলীর পড়াশুনার জন্য অক্সফোর্ডে পাঠিয়ে দিতেন এবং তাঁর সামান্য ভ্রমণ ভাতা দিয়ে পরিবারের খরচ চালাতেন।

পাক ভারত উপমহাদেশের বিরাট খেলাফত আন্দোলনে মুহম্মদ আলী ও শওকত আলীর ঝাঁপিয়ে পড়ার পেছনে তাঁদের মায়ের অনুপ্রেরণা ছিল প্রবল। ভারতে যখন খেলাফত আন্দোলন তুঙ্গে সে সময় সারা উপমহাদেশের আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতেছিল :

বোলি আম্মা মুহম্মদ আলী কী

জান বেটা খেলাফত পাদে দো

মুহম্মদ আলীর মা বলেছেন :

বৎস! খেলাফতের তরে সপে দাও প্রাণ।

এই মহীয়সী মহিলা খেলাফত আন্দোলনের দুর্দিনে অসীম সাহসিকতা সহকারে মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুহম্মদ আলী ও অন্যান্য নেতাগণ কারারুদ্ধ হলেও খিলাফত আন্দোলন স্তিমিত হয়ে যায়নি বরং আন্দেলনের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। বেগম মুহম্মদ আলী (আমজাদী বেগম) এবং ‘বি আম্মা’ এ আন্দোলনের পে প্রচার কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন এবং খেলাফত কাজের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে থাকেন। প্রসঙ্গত এ ফান্ডে প্রধানত মুসলমানরাই চাঁদা প্রদান করেছিলেন।

এমন এক উন্নত চরিত্র ও সংগ্রামী মায়ের সন্তান হওয়ার কারণেই মুহম্মদ আলী বলতে সম হয়েছিলেন :  কুরআন আমার আইন। আল্লাহর আদেশে আমি অসুরদের সাথেও যুদ্ধ করতে পারি। আমি ফাঁসি কাষ্ঠে ঝুলতে হলেও আমি তাই করবো। এটাই আমার আইন আমি ব্যক্তিগত শত্র“তাবশতঃ একটি ডাঁশকেও মারবো না। কিন্তু আল্লাহর আদেশে আমি সবাইকে মেরে ফেলবো। একজনকেও রেহাই দেবনা- আমি আমার নিজ ভাই , বৃদ্ধা মাতা, স্ত্রী ও সন্তানদেরকেও মেরে ফেলবো এবং এ সব আল্লাহর জন্যই করবো। হে আল্লাহ! আমাকে সাহায্য করুন।”

একটি কনফারেন্সে ভাষণ দিতে গিয়ে মুহম্মদ আলী তাঁর প্রিয় মায়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন,“কোনো হিন্দু যদি আমার স্ত্রীর অবমাননা করে তবুও আমি তার উপরে এ হাত উঠাবো না। আমার মাকে হত্যা করলেও আমি আদালতে মামলা দায়ের করবো না। এখনই জঘন্য পরিস্থিতির প্রতিকার করতে হবে। কথায় কথায় খাপ থেকে তরবারি বের করা অন্যায়। এমনটা হলে আমরা আজাদীর মন্জিল থেকে দূরে সরে যাবো। অন্যরা আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করবে এবং ধিক্কার দেবে।

বিভিন্ন বক্তৃতায় মা’র প্রসঙ্গ তুলে মুহম্মদ আলী তাঁর মায়ের প্রতি প্রচণ্ড ভক্তির প্রকাশ ঘটিয়েছেন; তাঁর মর্যাদাকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন। মুহম্মদ আলী জন্মগ্রহণ করেছিলেন রামপুরের কাব্য মুখর পরিবেশে। তাঁর মায়ের পৃষ্ঠপোষকতায় তাঁর খান্দানে কাব্য চর্চা এবং ‘বি আম্মার’ ঘরে কবি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতো। আর এ ভাবে মায়ের যতেœ বেড়ে ওঠা মুহম্মদ আলী ইশকে ইলাহী ও ইশকে রাসূলের ভাবাবেগে উদ্বুদ্ধ হয়ে আবেগজড়িত কণ্ঠে দেশ ও জাতিকে জিহাদের ময়দানে অবতীর্ণ করার চেষ্টা করেন। ‘বি আম্মা’ এবং বেগম শাহনেওয়াজ পুরুষদের পাশাপাশি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন। জাতির জন্য আজ বড়ই প্রয়োজন ঘরে ঘরে এমন বীর নারীদের, যাদের যতেœ এ দেশে মুহম্মদ আলী ও শিরাজীর মতো শত শত বীর জন্ম নেবে।

লেখক : প্রকৌশলী ও প্রবন্ধকার।

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।