রায়পুরে ফেরি করে ইয়াবা বিক্রি ক্ষমতাসীনদের ভয়ে কেউ মুখ খুলছে না

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) থেকে সংবাদদাতা
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় যৌন উত্তেজক নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট ব্যবহার ও কেনাবেচা বেড়ে গেছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কাছে এটি ‘বাবা’ নামে পরিচিত। গত দুই মাস ধরে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে এ ‘বাবা’। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রায়পুরে গত দুই বছর ধরে ইয়াবা কেনাবেচা হয়। শহরের ধনীর দুলালরা প্রতিদিন এটি সেবন করছে। রায়পুর উপজেলায় প্রতিদিন কমপে ৪ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট কেনাবেচা হয়। চট্টগ্রাম ও ফেনী থেকে খালি দিয়াশলাই বক্সে ইয়াবা ভর্তি করে রামগঞ্জ রোড ব্যবহার করে রায়পুর আনা হয়। পরে বিক্রেতারা মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবনকারীদের চাহিদানুযায়ী পালসারসহ বিভিন্ন দামি মোটরসাইকেল হাঁকিয়ে আসক্তদের কাছে পৌঁছে দেয় ইয়াবা। প্রতিটি ইয়াবা বিক্রি হয় ৩০০-৬০০ টাকায়। রায়পুর ছাড়াও প্রতিদিন লক্ষ্মীপুর সদর, রামগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে আসক্তরা এখানে এসে ভিড় জমায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুর জেলার মধ্যে ইয়াবা’র ঘাঁটি রায়পুরে।

রায়পুর পৌর শহরের নতুন বাজার, মহিলা কলেজ এলাকা, জ্বীনের মসজিদ, মোল্লার হাট, মধুপুর আইডিয়াল সিটি, পৌরসভা ভবন এলাকা, মীরগঞ্জ সড়ক, লেংড়াবাজার, বাসস্ট্যান্ড, হল রোড, পোস্ট অফিস এলাকাসহ উপজেলার হায়দারগঞ্জ, পানপাড়া, মালিবাড়ি, রাখালিয়া, বামনী ও চরপাতাসহ অন্তত ৪০টি স্থানে দুই মাস ধরে ফেরি করে ইয়াবা বিক্রি হয়। মূল ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বরাবরই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে তাদের (ইয়াবা ব্যবসায়ী) নিয়োগ করা লোকজন। তারা প্রতিদিন ৩শ’-৫শ’ টাকা হাজিরায় মালিকদের কথা মতো গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে দেয় ইয়াবা।

সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও রায়পুর থানা পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে ফেরি করে ইয়াবা বিক্রি করার সময় দেনায়েতপুর এলাকা থেকে জহির, চরপাতা থেকে জাকির হোসেন ভুট্টু, শহরের প্রধান সড়ক থেকে বিল্লাল, নতুন বাজার এলাকা থেকে আজিজ ও পানপাড়া এলাকা থেকে ইয়াবা ফরিদসহ কয়েক ব্যবসায়ীকে আটক করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক বলেন, অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মতাসীন দলের কিছু সংখ্যক নেতার শেল্টারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও ক্যাডাররা ইয়াবার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তাদের ভয়ে স্থানীয় লোকজন মুখ খুলতে নারাজ।