সংবাদ শিরোনামঃ

আইনের ব্যাপকতা ও বাধ্যবাধকতা নিয়ে নানা প্রশ্ন ** সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চায় ** আওয়ামী লীগে প্রবল সাংগঠনিক বিপর্যয়; শীর্ষ নেতৃত্বে বিভাজন অত্যাসন্ন ** ঢাবি জাবি রাবি চবি’র চার ভিসি অবৈধ! ** নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ** জাসদই তাহলে মুজিব হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল! ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** ৮০০ রাইস মিলের চালের দুনিয়া এখন খাজানগর গ্রাম ** আইনের শাসন পরিপন্থী অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে : নূরুল ইসলাম বুলবুল ** আদর্শ জননীরূপে একজন নারী **

ঢাকা শুক্রবার ৩০ চৈত্র ১৪১৮, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৩৩, ১৩ এপ্রিল ২০১২

পঞ্চগড় সংবাদদাতা : পঞ্চগড় সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের করুম নদীতে নির্মিত স্লুইস গেট ওয়্যারটি নির্মাণ শেষে দুই বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্লুইসগেট ওয়্যারটি কৃষকের কোনো উপকারে আসেনি। ফলে প্রায় কোটি টাকা জলে গেছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে প্রকাশ, (এলজিইডি) প্রকল্পের আওতায় চাকলাহাট ইউনিয়নের প্রায় ছয়শত হেক্টর জমি শুষ্ক মৌসুমে করুম নদী হতে পানি সরবরাহ করার পরিকল্পনা নিয়ে এই স্লুইস গেট ওয়্যারটি নির্মাণ করা হয়। এছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে পার্শ্ববর্তী এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জমিতে পানির সেচের পরিমাণও কম লাগবে। আমন মৌসুমে সম্পূরক সেচের কাজে লাগবে। কিন্তু এর কোনো সুফল কৃষকরা পায়নি। বরং কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৃষকদের দাবি, অপরিকল্পিতভাবে, আকারে ছোট নির্মাণ করায় এটি পরিত্যক্ত হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, পানি সংরক্ষণ করে শুষ্ক মৌসুমে জমিতে সেচ এবং আমন মৌসুমে সম্পূরক সেচ সুবিধার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের করুম নদীতে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্য এই স্লুইস গেট ওয়্যার নির্মাণ করে। এলজিইডি’র দ্বিতীয় ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন সেক্টর প্রকল্পের আওতায় এই স্লুইস গেট ওয়্যার নির্মাণে ৭৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়। এতে ৫০ সেন্টিমিটারের দুইটি গেট এবং সাত ফুট উঁচু ওয়্যার (আরসিসি ওয়াল) নির্মাণ করা হয়। পানির প্রবাহ বাড়লে এই ওয়্যারের ওপর দিয়ে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাবে। ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণের পর এলজিইডি গত ২০০৯ সালের জুলাই মাসে চাকলাহাট পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির কাছে হস্তান্তর করে। বর্ষা মৌসুমে সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় উজানে কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি হয়। এতে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এলাকার কৃষকদের অভিযোগ, এই স্লুইস গেটের কারণে উজানের পাঁচশত একর জমিতে আমন ফসল আবাদ করতে পারেনি। অনেকে আমন লাগালেও পানিতে ডুবে আমন রোপা নষ্ট হয়ে যায়। এই অবকাঠামোটি সম্প্রসারণ করে আরও ৪টি গেট নির্মাণ করার দাবি জানায় কৃষকরা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় ৫০০ কৃষকের সদস্য নিয়ে একটি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে একটি সংগঠন আছে। প্রকল্পটি চালু না হওয়ায় এই সমিতির কর্মকাণ্ড বন্ধ। এই সমিতির আওতায় সদস্যদের সঞ্চয় প্রকল্প, কৃষি ঋণ বিতরণ, মৎস্য চাষসহ কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করার কথা। এ জন্য একজন সোসিও ইকনোমিস্ট (সমাজবিজ্ঞানী) কর্মকর্তা আছেন। কিন্তু প্রকল্পটি পরিত্যক্ত হওয়ায় এসব কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে আছে।

এদিকে, ২০১০ সালের ১৯ থেকে ২১ মে প্রবল বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢল স্লুইস গেট ওয়্যারটি দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারছিল না। ফলে উজানে ব্যাপক এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে উত্তর ভাটিয়াপাড়া, মেহেরপাড়া, চাকলাহাট, বীরপাড়া, বড়বাড়ি ও নতুনবন্দর এলাকার শতাধিক কৃষকের প্রায় ৬০০ একর বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল পানির নীচে তলিয়ে যায়। স্থানীয় কৃষকদের দাবির মুখে পঞ্চগড়-১ আসনের সাংসদ মো. মজাহারুল হক প্রধান এলাকা পরিদর্শন করে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর উপস্থিতিতে ওই বছরের ২২ মে স্লুইস গেট সংলগ্ন বাঁধ কেটে দেয়া হয়। এই বাঁধ কেটে দেয়ার পর থেকেই এই অবকাঠামোটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।

এলজিইডির একটি সূত্র জানায়, চাকলাহাটে করুম নদীর এই স্লুইস গেট ওয়্যারটি কৃষকের জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছিল। প্রকল্প কৃষকের কোনো কাজে আসেনি। গেটের পাশে বাঁধ কেটে দেয়ায় এটি নির্মাণের পর থেকেই পরিত্যক্ত। এলজিইডি’র দ্বিতীয় ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন সেক্টর প্রকল্পের আওতায় এই স্লুইস গেট ওয়্যার নির্মাণ করা হয়। এখন এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। তৃতীয় ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন সেক্টর প্রকল্পের আওতায় এই অবকাঠামোটি নতুন করে আরো বড় আকারে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার কথা রয়েছে।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।