বড়লেখায় প্রবাসী মহিলার ভূমি জবরদখলের অভিযোগ॥ হামলায় আহত ১

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) থেকে সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের বড়লেখার গল্লাসাঙ্গনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কর্তৃক লন্ডন প্রবাসী মহিলার কোটি টাকার ভূমি জবরদখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত ৩ এপ্রিল ওই মহিলার ওপর হামলাও চালিয়েছে জবরদখলকারীরা। ভূমিখেকোদের হামলায় আহত যুবক আবু তারেক বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

নির্যাতিত প্রবাসী পরিবার ও থানায় দেয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিজবাহাদুরপুর ইউনিয়নের গল্লাসাঙ্গন গ্রামের লন্ডন প্রবাসী রাবেয়া খানম রশীদের কয়েক কোটি টাকার প্রায় ৪২ কেয়ার ভূমি বিগত কয়েক বছর ধরে জবরদখলের পাঁয়তারা করে আসছে ওই মহিলার ভাসুরপুত্র একই গ্রামের লোকমান হোসেন আলম ও আবু সাহেদ গং। এ নিয়ে একাধিকবার বিচার-বৈঠকও হয়েছে। বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা চালান স্থানীয় এমপি অন্য জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। কিন্তু লোকমান হোসেন আলম গং বিষয়টি মীমাংসার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। উপরন্তু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ওই প্রবাসী পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রভাবশালী নেতা। ফলে দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে গত ৩ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে।

প্রবাসী রাবেয়া রশীদের সাথে লোকমান হোসেন আলমের পারিবারিক দ্বন্দ্ব থাকায় ওই বাড়িতে বসবাস করতেন না। লন্ডন থেকে দেশে এলে পাশের বাড়ির প্রতিবেশী নাতি তারেক আহমদের বাড়িতে থাকতেন রাবেয়া রশীদ। আর এটি সহ্য করতে পারেনি লোকমান গংরা। ৩ এপ্রিল তারেকের বাড়িতে থাকাকালীন লোকমান ও তার ভাই আবু শাহেদ তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। রাবেয়া রশীদকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে আবু তারেক (২৮) মারাত্মক আহত হন। তাকে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে লোকমান গং কর্তৃক নানাভাবে নির্যাতিত ও হয়রানির শিকার রাবেয়া খানম রশীদ জানান, লোকমান হোসেন আলম গংরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আমার সম্পত্তি জবরদখল করে রেখেছে তারা। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপসহ ন্যায়বিচার চেয়েছেন।

এ ঘটনায় নির্যাতিত রাবেয়া খানম রশীদ বাদী হয়ে গত ৪ এপ্রিল বড়লেখা থানায় ভূমি জবরদখলকারীদের বিরুদ্ধে মামলা (নং-০৪) দায়ের করেছেন।

বড়লেখা থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মাসুদুর রহমান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রবাসী মহিলা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি ও নির্যাতিত হয়ে আসছেন। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।