বড়াইগ্রামে যুবলীগ সমর্থিত আমির বাহিনীর চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীর সাংবাদিক সম্মেলন

বড়াইগ্রাম (নাটোর) থেকে সংবাদদাতা : নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের প্রায় পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ স্থানীয় যুবলীগ সমর্থিত কুখ্যাত সন্ত্রাসী আমির বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তার অব্যাহত সন্ত্রাস, বাড়িঘর ভাঙচুর, মারধর ও হুমকির কারণে গ্রামের প্রায় ১৫-২০টি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না তারা। এদিকে, এসব বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা সত্ত্বেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গ্রামের লোকজন রীতিমত নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

গত ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার গ্রামের সাধারণ লোকজন বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসকাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সন্ত্রাসী আমিরসহ তার বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করে এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য থেকে জানা যায়, চাহিদামত চাঁদা না দেয়ায় আমির বাহিনীর সদস্যরা সম্প্রতি স্থানীয় কৃষক হাশেম আলীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে আমির মামলা তুলে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দেয়। কিন্তু বাদী মামলা তুলে না নেয়ায় গত ২৬ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে আমির তার বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বড়াইগ্রাম হাসপাতাল থেকে হাশেম আলীকে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় তার আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাদেরকে গণপিটুনী দেয়। বর্তমানে তারা অজ্ঞাতস্থানে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। বর্তমানে সে অজ্ঞাত স্থানে থাকলেও মোবাইলে হাশেমসহ গ্রামের বিভিন্ন লোকজনকে মোবাইলে হুমকি দিচ্ছে। এরপূর্বেও আমির বাহিনী স্থানীয় শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির পদ নিয়ে গত ২০ অক্টোবর আলহাজ্ব নাজমুল ইসলামকে মারাত্মকভাবে পিটিয়ে আহত করেন। এসময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে ৭-৮ জন গ্রামবাসীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে তার সন্ত্রাসীরা। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তার বাহিনীর হাতে মারধর ও চাঁদাবাজির শিকার হয়েছে শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, নাজমুল হক মণ্ডল, মঞ্জিল, হাফেজ গোলাম রব্বানী, শরিফুল ইসলাম, নিয়ামুল ইসলাম সরকার, মবিদুল ইসলামসহ গ্রামের প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষ। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আমির বাহিনীর নির্যাতনের শিকার আব্দুর রাজ্জাক সরদার। এ সময় অন্যদের মধ্যে আহত হাশেম আলী, রফিকুল ইসলাম, শ্রীরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য আবুল কালাম আযাদসহ গ্রামের প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।