নিয়োগ পরীক্ষায় দলীয় প্রার্র্থী বাদ পড়ায় খাদ্য কর্মকর্তাকে মারধর, অফিস ভাংচুর

নীলফামারী থেকে একরামুল হক : নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফিল্ড সুপারভাইজার ও উপজেলা পরিষদের গাড়ি চালক পদে দলীয় প্রার্থীকে না নেয়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা অফিস ভাংচুর ও দু’কর্মকর্তাকে মারধর করেছে। তাদের হামলায় উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুল জলিল মণ্ডল গুরুতর আহত হয়েছে। গত ৮ এপ্রিল রোববার দুপুরের এই ঘটনায় জলঢাকা উপজেলায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর জলঢাকা অফিসের ৫টি ফিল্ড সুপারভাইজার পদে শুক্রবার ও জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক পদে শনিবার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিনই লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সরকারদলীয় মনোনীত প্রার্থীরা পরীায় উত্তীর্ণ না হয়েও নিয়োগের জন্য নানাভাবে প্রভাবিত করতে থাকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। প্রশাসন তাদের কথায় রাজী না হওয়ায় রোববার সকালে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুরের নের্তৃত্বে ৫০-৬০ জন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সামনে অবস্থান নেয়। নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছ হয়নি এ অভিযোগ এনে দুপুর ১২টায় তারা স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল কার্যালয় এবং উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় ভাংচুর চালায়। তারা ওই দুটি অফিসের দরজা জানালা ও চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। এ সময় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল জলিল মণ্ডল বাধা দিলে তাকে বেদম মারধর করা হয় এবং উপজেলা প্রকৌশলী মতিয়ার রহমানকে চরমভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় আব্দুল জলিল মণ্ডলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।  উপজেলা চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।