বরিশাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

শাহে আলম, বরিশাল থেকে : বরিশাল ও ঝালকাঠির জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহি প্রকৌশলী শাহ আলমের নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অফিসের স্টাফ ও ঠিকাদাররা এ অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিজের পক্ষে নিতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগে উলে­à¦– রয়েছে, প্রকৌশলী শাহ আলম তার অনুসারী আবদুল মজিদকে অবৈধভাবে কাঁঠালিয়া উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব দেন। মজিদের মাধ্যমে কয়েকটি ভুয়া বিলের রশিদ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এছাড়া, ২০০৯ ও ২০১০ অর্থবছরে ঠিকাদার মেসার্স একে ট্রেডার্স, মেসার্স এসএস কনস্ট্রাকশন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, গোলাম মাসরেক, পটুয়াখালীর সেয়দ চুন্নের নামে পুরাতন পিএসএফ মেরামতের ভুয়া রশিদের মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এডিপির বিশেষ বরাদ্দের পিএসএফ নির্মাণের নামে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, সম্প্রতি শাহ আলমের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তর বরিশাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী রেজাউল­vহকে দায়িত্ব দেন। এতে শাহ আলমের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত টিম গঠন করেন তিনি। পটুয়াখালী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-প্রকৌশলী আবদুল কুদ্দুস, জিয়ানগরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল খালেক, ঝালকাঠির সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, পিরোজপুরের নির্বাহি প্রকৌশলী এএইচএম আবদুল­vহ ও বরিশাল অঞ্চলের প্রধান সহকারী জাকির হোসেনকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। পিরোজপুর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহি প্রকৌশলী ও তদন্ত কমিটির আহবায়ক এএইচএম আবদুলস্নাহ বলেন, প্রাথমিক তদন্তে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

অভিযুক্ত প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। অফিসের কয়েকজন স্টাফ ও ঠিকাদারের মনঃপুত কাজ না করায় তারা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমি যে শতভাগ ভালো লোক তা বলব না, কাজের ক্ষেত্রে উনিশ-বিশ হতে পারে।